Just In
Don't Miss
রাশি অনুযায়ী বাড়ির সদর দরজা কোন দিকে হওয়া উচিত জানা আছে কি?
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির সদর দরজা যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে তৈরি করা না হয়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির সদর দরজা যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে তৈরি করা না হয়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে বাড়িতে খারাপ শক্তির প্রবেশ বেড়ে যাওয়ার যেমন আশঙ্কা থাকে, তেমনি বাস্তু দোষ লেজুর হওয়ায় একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে। বিশেষত, ছোট-বড় নানা কারণে পরিবারের অন্দরে অশান্তি এবং কলহ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো প্রতিটি রাশির জাতক-জাতিকাদের বাড়ির সদর জরজা কোনও দিকে হওয়া উচিত তা জেনে নিয়ে যেমন দরজা তৈরি করা উচিত, তেমনি মূল ফটকে কী কী জিনিস রাখলে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যেতে পারে সে সম্পর্কেও জ্ঞান থাকাটা জরুরি। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখ-শান্তিতে থাকতে হয়, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!
তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধু, চলুন খোঁজ লাগানো যাক রাশি অনুযায়ী ভাড়ির সদর দরজা কোনও দিকে হলে নানাবিধ উপকার মিলতে পারে, সে সম্পর্কে...
১. মেষরাশি, সিংহরাশি এবং ধনুরাশি:
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে এই তিন রাশির জাতক-জাতিকারা যদি বাড়ির পূর্ব দিকে সদর দরজা বানান, তাহলে দারুন উপকার হয়। বিশেষত বাস্তু দোষের খপ্পরে পরার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও আর থাকে না।
২. বৃষরাশি,তুলারাশি এবং মকররাশি:
এই তিন রাশির অধিকারীরা যখন বাড়ি বানাবেন, তখন খেয়াল করে মূল ফটক দক্ষিণ দিকে বানাতে ভুলবেন না যেন! কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এই নিয়মটি মেনে যদি বাড়ি তৈরি করা হয়, তাহলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৩. মিথুনরাশি এবং কুম্ভরাশি:
পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে, সেই সঙ্গে অফুরন্ত অর্থের সন্ধান যদি পেতে চান, তাহলে আপনারা বাড়ির পশ্চিম দিকে সদর দরজা তৈরি করতে ভুলবেন না যেন!
৪. কর্কট, বৃশ্চিক এবং মীনরাশি:
কারও কারও সদর দরজা বানাতে হবে পূর্ব দিকে, তো কেউ যদি দক্ষিণ দিকে মূল ফটক বানালে তবে উপকার মেলে। কিন্তু এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বাড়ির কোনও দিকে বানাতে হবে মূল দরজা? বিশেষজ্ঞদের মতে কর্কট, বৃশ্চিক এবং মীনরাশির জাতক-জাতিকাদের সদর দরজা বানাতে হবে বাড়ির উত্তর দিকে।
রাশি অনুযায়ী বাড়ির কোন দিকে সদর জরজা বানানো উচিত, সে সম্পর্কে না হয় জানা গেল। কিন্তু মূল ফটকের সামনে কী কী জিনিস রাখলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে, সে সম্পর্কে তো জানা হল না!
১. কাঁচের পাত্র এবং গাছ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সদর দরজার সামনে একটি কাঁচের পাত্রে জল রেখে তাতে একটি ফুল গাছ লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এমনটা করলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিটি সদস্যের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কে কখনও খাদ পরে না।
২. পাতার মালা:
অশ্বত্থ গাচের পাতা, আম পাতা এবং অশোক গাছের পাতা দিয়ে একটি মালা বানিয়ে বাড়ির সদর দরজায় লাগুয়ে রাখুন। এমনটা করলে দেখবেন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। শুদু তাই নয়, পরিবারে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল যখন দেখবেন পাতাগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে, তখন সেটিকে বদলে দিতে ভুলবেন না যেন!
৩. মা লক্ষীর ছবি:
অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে চান? তাহলে বন্ধু বাড়ির দরজায় মা লক্ষীর ছবি লাগিয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন! এই নিয়মটি মানলে দেখবেন ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। ফলে খালি পকেট ভরতে থাকবে টাকায়। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেখানে ছবিটি রেখেছেন, তার সামনে যেন জুতো রাখা না হয়।
৪. সদর দরজায় যেন ফাটল না থাকে:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল দরজায় ফাটল থাকলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দূরে পালায়, সেই সঙ্গে সুখ-শান্তিও সেই ফাটল গলে বেরিয়ে যায়। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে।
৫.সদর দরজা মাপ হতে হবে সবথেকে বড়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সদর দরজা যদি বাকি দরজার থেকে বড় হয়, তাহলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির পরিবেশ সব সময় বজায় থাকে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।
৬. দরজা খোলার সময় যেন কোনও আওয়াজ না হয়:
কোনও কোনও বাড়িতে দেখবেন সদর দরজা খোলার সময় শব্দ হয়। এমনটা হওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী সজর দরজা খোলার সময় কোনও আওয়াজ হলে বাড়ির প্রতিটি কোণা নেগেটিভ এনার্জিতে ভরে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর এমনটা হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
৭. সোয়াস্তিকা চিহ্ন:
বাড়ির গেটে এই চিহ্ন আঁকা থাকলে যে কোনও রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে শরীর যত রোগমুক্ত থাকে, মন তত আনন্দে ভরে ওঠে, আর মন যত আনন্দে ভরে ওঠে, তত পরিবারের অন্দরে সুখ-শান্তি জায়গা করে নেয়। প্রসঙ্গত, কিছু কিছু বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কিত বইয়ে এমনও লেখা আছে যে বাড়ির সদর দরজায় সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকা থাকলে গুড লাক এবং সুখ-সমৃদ্ধি রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে।
৮. দরজা-জানলার মোট সংখ্যা:
বাস্তু শাস্ত্র মতে বাড়ির সবকটি দরজা এবং জানলার যোগ ফল যদি হয় ২,৪,৬ বা ৮, অর্থাৎ জোর সংখ্যা, তাহলে তা বেজায় শুভ। কিন্তু একটা কথা এক্ষেত্রে মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। কী কথা! বাড়ির মোট দরজা এবং জানলার যোগফল যেন কখনই শূন্য দিয়ে শেষ না হয়। যেমন-১০,২০ প্রভৃতি।
৯. ছায়া যেন না পরে:
বাস্তুশাস্ত্রের নিয়মনীতি আপাত দৃষ্টিতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে এই নিয়মগুলি বেজায় সাহায্য করে কিন্তু! যেমন ধরুন এই শাস্ত্রে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির অন্দরে যদি পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটাতে হয়, তাহলে এমনভাবে সদর দরজা বানাতে হবে, যাতে তার উপর কোনও কিছুর ছায়া না পরে, এমনকি গাছেরও নয়। কারণ বাড়ির মূল দরজায় ছায়া পরলে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
১০. মানি প্লান্ট:
বাস্তু শাস্ত্র মতে বাড়ির দরজায় অথবা বাড়ির উত্তর দিকে মানি প্লান্ট গাছ রাখলে ভাগ্য ফিরতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধি লাভের পথও প্রশস্ত হয়। তাই তো বিল বন্ধু কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে এখনই এই টোটকাটিকে কাজে লাগিয়ে দেখুন। উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।
১১. কুবের দেবতার ছবি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির সদর দরজায় ধনদেবতা কুবেরের ছবি লাগালে সেই পরিবার অর্থনৈতিক দিক থেকে বেজায় সমৃদ্ধি লাভ করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফলে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন তো পূরণ হয়েই, সেই সঙ্গে রোগমুক্ত শরীর লাভের আশাও পূর্ণ হতেও সময় লাগে না।
১২.গণেশ দেবের ছবি:
বাড়ির সদর দরজায় শ্রী গণেশের ছবি লাগাতে ভুলবেন না যেন! কারণ হিন্দু শাস্ত্র মতে এমনটা করলে নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, শাস্ত্রে এমনটাও উল্লেখ পাওয়া যায় যে গণেশ দেবের আশীর্বাদ পেলে মনের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না।
১৩. সদর দরজার সামনের অংশ:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির সদর দরজার সামনের জায়গা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ এমনটা না করলে পরিবারের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
১৪. সিঁড়ির সংখ্যা:
রাস্তা থেকে বাড়ির সদর দরজায় পৌঁছাতে যদি সাঁড়ি চরতে হয়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে সেই সিঁড়ির সংখ্যা যেন জোড় সংখ্যায় হয়। কারণ বাস্তুশাস্ত্র মতে এমনটা করলে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
১৫. মা লক্ষীর পাদুকা:
সদর দরজা থেকে বাড়ির ভিতরের দিকে মুখ করে আঁকা মায়ের পায়ের ছবি বা আলপোনা প্রায় প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই দেখতে পাওয়া যায়। আসলে এমন আলপনা আঁকলে সমৃদ্ধি বাড়ি মুখো হয়। ফলে জীবন হয়ে ওঠে সুখময়!