Just In
সুখে-শান্তিতে থাকতে চান? সঙ্গে অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে ক্রিস্টালের কচ্ছপ সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না!
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ড্রয়িং রুমে এমন শোপিস এনে রাখলে নানা ধরনের উপকার মিলতে শুরু করে।
পকেট ভর্তি টাকা, সঙ্গে শান্তির ঘুম। উফফ...সেই কবে থেকে এমন স্বপ্ন দেখে আসছি। কিন্তু খোলা চোখে ড্যাব-ড্যাব করে দেখা সেই স্বপ্ন যেন দিনের আলো দেখার নামই নেয় না। এদিকে গত ৫ বছরে ২৫ টা চকরি বদলে ফেলেছি। তাতে উপকার যে হয়নি এমন বলবো না। মাইনে বেড়েছে, বেড়েছে স্টেটাসও। কিন্তু পকেটের বেহাল অবস্থায় কোনও বদল আসেনি। কেন বলতে পারেন!
আমার-আপনার মতো অনেকেরই যে মনে এমন প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আসলে এই লেখায় এমন একটি জিনিসের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যা বাড়িতে রাখলে নাকি স্ট্রেসের মাত্রা কমতে সময় লাগে না। ফলে উড়ে য়াওয়া রাতের ঘুম ফিরে আসে তার পুরানো ঠাকানায়। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে এমন পরিবর্তন হতে শুরু করে যে পকেট ভর্তি টাকার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু কি তাই মেলে আরও অনেক উপকারও, যে সম্পর্কে বাকি প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় ভাবছেন কী এমন বিষয়ের উপর লেখা হতে চলেছে, যা এত কাজে আসতে পারে। তাহলে জেনে নিন বন্ধু এই প্রবন্ধে ক্রিস্টাল দিয়ে বানানো কচ্ছপের মূর্তির গুনাগুণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ড্রয়িং রুমে এমন শোপিস এনে রাখলে নানা ধরনের উপকার মিলতে শুরু করে। যেমন ধরুন...
১. অর্থনৈতিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়:
অল্প দিনে বড়লোক হয়ে উঠতে এই টোটকাটির কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে একটি ক্রিস্টাল কচ্ছপ এনে রাখলে গৃহস্থের প্রতিটি কোনায় শুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে বাড়ির অন্দরে মা লক্ষ্মী এবং ধন দেবতা কুবেরের আগমণ ঘটে। আর যখন এমনটা হয় তখন সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। ফলে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন যেমন পূরণ হয়, তেমনি পরিবারে কোনও ধরনের অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও যায় কমে।
২. আয়ু বৃদ্ধি পায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে এই শোপিসটি এনে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে পেজটিভ এনার্জির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে শরীর এবং মস্তিষ্কের উপর এমন প্রভাব পরে যে দেহের অন্দরে হিলং পাওয়ারের বিকাশ ঘটে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই আয়ু যে বৃদ্ধি পায়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো বলি বন্ধু, দীর্ঘদিন যদি সুস্থ শরীরে বাঁচতে হয়, তাহলে বাড়িতে ক্রিস্টালের কচ্ছপ এনে রাখতে ভুলবেন না যেন!
৩. কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা দূর হয়:
গৃহস্থের অন্দরে যখন খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে, তখন একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে লেজুড় হয় অর্থনৈতিক সমস্যা। এই কারণেই তো প্রতিটি বাড়িতে ক্রিস্টালের এই মূর্তিটি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। অসলে যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ক্রিস্টালের কচ্ছপ বাড়িতে শুভ শক্তির মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। ফলে খারাপ শক্তির প্রভাব কমে যেতে সময় লাগে না।
৪. স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে:
শুনতে হয়তো আজব লাগছে। কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে মানসিক চাপ কমাতে ক্রিস্টালের কচ্ছপের মূর্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এমন ধরনের ক্রিস্টালের মূর্তি ধারে কাছে থাকলে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে স্ট্রেস লেভেল কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদের প্রকোপও কমে। প্রসঙ্গত, সরকারি এবং বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে আমাদের দেশে গত কয়েক বছরে যে যে মারণ রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছ, তার প্রায় সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। এবার নিশ্চয় বুঝছেন বন্ধু কেন প্রতিটি বাড়িতেই এমন ক্রিস্টালের শোপিস এনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৫. মনোযোগ ক্ষমতা বাড়ে:
এমনটা বিশ্বাস কা হয় যে অফিস ডেস্কে ক্রিস্টালের কচ্ছপ রাখলে মনোয়োগ ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। ফলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। বিশেষত চটজলদি পদন্নতি লাভের স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, বাচ্চাদের পড়ার ঘরে এই শেপিসটি রাখলেও দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পড়াশোনায় উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো।