Just In
- 9 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 9 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 12 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 15 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
New Year 2024: নতুন বছরে নতুন ভাবে বাঁচুন, করুন নতুন প্রতিজ্ঞা
কথায় আছে, সময় স্রোতের মতো বয়ে যায়। ঠিক তেমনই, আরও একটি বছর শেষ হয়ে শুরু হয়ে গেল নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৪ সাল। পুরানো স্মৃতি, কষ্ট, দুঃখ সমস্তকে ভুলে নতুন করে বাঁচার আশায় তৈরি সকলে।
বাঁচতে হবে, ভাল থাকতে হবে, জীবনের সমস্ত পথকে প্রশস্ত করাই হবে নতুন বছরের মূল উদ্দেশ্য। এই ভাবনা মাথায় নিয়েই এগিয়ে যায় সকলে। কেউ হয় সফল, কেউ বা ব্যর্থ। হার মানেন, আবার উঠে দাঁড়ান। এভাবেই চলে বছরের দৈনন্দিন জীবনগুলি। কিন্তু, আবার যখন এক নতুন বছরের সূর্য উদিত হয়, তখন পুরনো সব ব্যর্থতাকে ভুলে নতুন করে বাঁচার লড়াইয়ে উঠে পড়ে সকলে। কারণ, নতুন বছর মানেই নিজের কাছে নিজের নতুন প্রতিজ্ঞা বা প্রতিশ্রুতি।
ইতিমধ্যেই হয়ত তৈরি করে ফেলেছেন আপনার নতুন বছরের রেজোলিউশন। যাইহোক না কেন, জীবনকে আরও সুন্দরভাবে কাটাতে করুন কিছু বিশেষ প্রতিজ্ঞা। ২০২৪ সালে আপনি কী কী রেজোলিউশন নিতে পারেন, আসুন তা জেনে নিই -
দূরে থাকুন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
বর্তমান দিনে সোশ্যাল মিড়িয়ার প্রতি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন সকলে। কাজের থেকে খারাপ কাজে মন মজেছে বেশিরভাগ মানুষের। সোশ্যাল মাধ্যম, যেমন-ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপ, কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলেও বেশিরভাগ সময়ই এর পিছনে অযথা সময় নষ্ট করে থাকি আমরা। দিনের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ব্যয় করে ফেলি স্মার্টফোনের পর্দায়। নতুন বছরে এই খারাপ অভ্যাস থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠুক আপনার কাছে। কাজ ব্যতিত অযথা সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই খারাপ অভ্যাস বর্জন করলে হয়ত আরও এগিয়ে যেতে সফল হব আমরা।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কম নিন
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোনও না কোনওভাবে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে। চেষ্টা করতে হবে এই স্ট্রেস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার। এই সমস্ত মানসিক চাপের বাইরে বেরিয়ে উপভোগ করতে হবে জীবনকে। ভাল রাখতে হবে নিজেকে।
নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন
নতুন বছরে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে গ্রহণ করতে বদ্ধকরিকর হন। মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন বা কোনও নির্ভরযোগ্য বন্ধুর থেকে গ্রহণ করুন মতামত। কিন্তু, সিদ্ধান্ত কেবলই থাকবে আপনার নিজের। অন্যের সিদ্ধান্তকে নিজের বলে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
জীবনকে উপভোগ করুন
এক জায়গায় সীমাবদ্ধ না থেকে উপভোগ করুন জীবনকে। আপনার যা করতে ভাল লাগে বা ভালবাসেন, তাই করুন। বেরিয়ে আসুন একঘেয়েমি জীবন থেকে। জীবন সুন্দর করতে নতুন বছরের নতুন রেজোলিউশনে অবশ্যই এটি রাখুন।
সঞ্চয়ের দিকে মনোযোগ দিন
অর্থ সঞ্চয় আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যয় করুন, তবে উপার্জিত অর্থের মধ্যে কিছু অংশ সঞ্চয়ের জন্য তুলে রাখুন, যা আপনার ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত ও সুন্দর করতে পারে। এই নতুন বছরে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন নিজের সঞ্চয়ের প্রতি। করুন টাকা জমানোর অভ্যাস।
নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগা থেকে দূরে থাকুন
আপনি যেমন, সর্বদা তেমনই থাকুন। কালো থেকে ফর্সা, রোগা থেকে মোটা, বেঁটে থেকে লম্বা এই সমস্ত নিয়ে কখনই মাথা ঘামাবেন না। সর্বদাই সন্তুষ্ট থাকুন নিজেকে নিয়ে। হীনমন্যতায় না ভুগে গর্বিত হন নিজের প্রতি।
দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করুন
যারা ভ্রমণ পিয়াসী, তাদের ক্ষ্রেত্রে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে, যারা ভ্রমণ করতে সেইভাবে ভালবাসেন না, তারা নতুন বছরে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। দেশের যেকোনও জায়গায় একবার হলেও ঘুরে আসুন। কারণ, ভ্রমণ হল জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ। রোজকার একঘেয়েমী জীবন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হল ভ্রমণ। এটি আমাদের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।
বাইরের খাবার বর্জন করুন
বেঁচে থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। বর্তমানে আমরা বাইরের খাবারের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছি। ফলে, শারীরিক অসুস্থতা লেগেই আছে। এবার দূরে থাকতে হবে বাইরের খাবার থেকে। খেতে হবে বাড়ির তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার। নতুন বছরের রেজোলিউশন লিস্টে রাখুন এই পয়েন্টটি।
ধূমপান বা মদ্যপান বর্জন
ধূমপান বা মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এটা আমরা জেনেও নিজেদের রোজ এই নেশায় জড়িয়ে ফেলি। নতুন বছরে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এগুলির থেকে দূরে থাকার জন্য। এগুলি বর্জনের মাধ্যমে, সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর জীবন অতিবাহিত করুন।
দেশ-বিদেশের খবরাখবর রাখুন
নিজের দেশের সাথে সাথে বাইরের দেশের খবরের দিকেও নজর রাখুন। অবসর সময়ে নজর দিন খবরের কাগজ, ওয়েব মিডিয়া অথবা টেলিভিশনের পর্দায়। সময়কে অযথা নষ্ট না করে দেশ ও বিদেশের অবস্থা সম্পর্কে আপডেটেড থাকা খুবই জরুরি। এছাড়াও, নিজেদের জ্ঞানকে বৃদ্ধি করার জন্য এই সমস্ত বিষয়ে নজর দেওয়া খুব জরুরি। তবেই, প্রকাশ করা যাবে নিজের স্পষ্ট ও নিরপেক্ষ মতামত।