Just In
- 2 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 4 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 4 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 22 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
রুদ্রাক্ষের মালা পড়লে আজব সব উপকার পাওয়া যায়? যেমন ধরুন...
মুণি-ঋষিদের রুদ্রাক্ষের মালা পরতে নিশ্চয় দেখেছেন? কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি কেন এমনটা করে থাকেন তারা? ভাবেননি তো! এই কারণেই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।
মুণি-ঋষিদের রুদ্রাক্ষের মালা পরতে নিশ্চয় দেখেছেন? কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি কেন এমনটা করে থাকেন তারা? ভাবেননি তো! এই কারণেই তো এই প্রবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আসলে এই লেখায় এমন একটি দিকের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে, যা হয়তো এর আগে কেউ করেনি।
কী বিষয়? রুদ্রাক্ষের মালা পরলে কী কী উপর মিলতে পারে, এই বিষটির উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে, এবং শুনলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন যে রুদ্রাক্ষের সঙ্গে ধর্ম পা পুজো পাঠের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এই প্রকৃতিক উপাদানটি আমাদের শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন করতে শুরু করে যে বেশ কিছু মারণ রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১. কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:
বেশ কিছু প্রাচীন গ্রন্থ ঘেঁটে জানা গেছে রুদ্রাক্ষের মালা পরলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বাড়ে যায় যে পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। শুধু তাই নয়, শরীরের অন্দরের ক্ষমতাও বেড়ে যায়। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগভোগের সম্ভাবনাও দূর হয়। এই কারণেই তো সাধুরা সারাক্ষণ রুদ্রাক্ষের মালা পরে থাকেন। কারণ তাদের তো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেরাতে হয়। তাই শরীর খারাপ হলে কে দেখবে বলুন!
২. কালা যাদু ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:
আমাদের আশেপাশে ইর্ষান্বিত লোকজনের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। তাই তো তাদের কুদৃষ্টি হাত থেকে বাঁচতে প্রত্যেকেরই রুদ্রাক্ষের মালা পরাটা জরুরি। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি যে কোনও ধরনের নেগেটিভ এনার্জিকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কালা যাদুর প্রভাবকেও কমায়। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৩. মনযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে চার বা ছয়মুখি রুদ্রাক্ষ তামার কভারে মুড়িয়ে পরলে ব্রেন পাওয়ার এতটা বেড়ে যায় যে স্মৃতিশক্তি তো বৃদ্ধি পায়ই, সেই সঙ্গে মনোযোগ ক্ষমতা এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না। ফলে পড়াশোনা হোক কি কর্মক্ষেত্র, সবেতেই চোখে পরার মতো সাফল্য লাভ করার পথ প্রশস্ত হয়। এই কারণেই তো ছোট থেকে বড় সবারই রুদ্রাক্ষের মালা পরা উচিত।
৪. যন্ত্রণা কমে:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন শরীরে যে কোনও অংশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যন্ত্রণা কমাতে রুদ্রাক্ষের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, যে কোনও ধরনের পোকা মাকড় কামড়ানোর পর ক্ষতস্থানে পাঁচ মুখি রুদ্রাক্ষের পেস্ট বানিয়ে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান আমাদের দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন করে যে কোনও ধরনের দৈহিক কষ্ট কমতে সময় লাগে না। এবার বুঝেছেন তো মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে রুদ্রাক্ষের প্রয়োজন কতটা!
৫. পেটের রোগের উপশম ঘটায়:
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা দাবী করা হয়েছে আমাদের শরীর কতটা সুস্থ থাকবে, তা নির্ভর করে বায়ু, পিত্ত এবং কফের উপর। তাই তো এই তিনটি উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। এই কারণেই রুদ্রাক্ষের মালা পরাটা একান্ত প্রয়োজন। আসলে রুদ্রাক্ষ এই তিনটি এলিমেন্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, রুদ্রাক্ষের পাউডার, জলে গুলে যদি প্রতিদিন পান করা যায়, তাহলেও কিন্তু সমান উপকার মেলে।
৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
রুদ্রাক্ষের অন্দরে মজুত থাকে প্রচুর মাত্রায় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি, যা সারা শরীরে রক্তের প্রভাব এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের রুদ্রাক্ষের মালা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, রুদ্রাক্ষের মালা যদি পরতে ইচ্ছা না করে, তাহলে ২ মুখি রুদ্রাক্ষের গুঁড়ো জলে গুলে খাওয়া শুরু করতে পারেন। কারণ এমনটা করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
৭. ত্বকের রোগের প্রকোপ কমায়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন। একাধিক ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে রুদ্রাক্ষের কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের ক্ষত সারাতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে রুদ্রাক্ষের মালা পরতে হবে না, বরং একটা তামার গ্লাসে একটা রুদ্রাক্ষ সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। আর পরদিন সকালে উঠে খালি পেটে সেই জলটি পান করতে হবে। তাহলেই কেল্লা ফতে!