Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
বাড়ির সদর দরজায় গণেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি রাখা জরুরি কেন জানা আছে?
নানাবিধ খারাপ ঘটনার খপ্পর থেকে যদি বাঁচতে চান, তাহলে বাড়ির মূল ফটকে গণেশ ঠাকুরেরে মূর্তি রাখতে ভুলবেন না যেন। কারণ এমনটা করলে...
বাড়ির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কোনটা বলতে পারেন?
কোন জায়গাটা হওয়া উচিত, তাই ভাবছেন নিশ্চয়! দাঁড়ান দাঁড়ান আর মস্তিষ্ককে কাজে লাগাতে হবে না, বরং সঠিক উত্তরটা আমিই দিয়ে দিচ্ছি! বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির মূল ফটক হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। কারণ এখান থেকেই পজেটিভ এবং নেগেটিভ শক্তি গৃহস্থের অন্দরে প্রবেশ করে থাকে। তাই তো বাড়ির সদর দরজাকে যদি আগলে রাখতে পারা না যায়, তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে বাড়ির মূল ফঠক দিয়ে নেগেটিভ শক্তির প্রবেশ ঘটবে। আর এমনটা হলে পরিবারে যেমন অশান্তি এবং কলহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে, তেমনি খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যাবে বেড়ে। বিশেষত, এক্ষেত্রে কোনও ধরনের এক্সিডেন্ট যেমন হতে পারে, তেমনি নানাবিধ রোগের মারে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, এই সব খারাপ ঘটনার খপ্পর থেকে বাঁচতে যদি চান, তাহলে বাড়ির মূল ফটকে গণেশ ঠাকুরেরে মূর্তি রাখতে ভুলবেন না যেন। কারণ এমনটা করলে...
১. কুদৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা মিলবে:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ভিতরের দিকে মুখ করে যদি সদর দরজার উপরে একটি গণেশ মূর্তি রাখা যায়, তাহলে কারও কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে কালো যাদুর প্রভাবও কমে যায়। তাই তো বলি বন্ধু, আজকের দিনে যেখানে প্রায় সবাই আপনার খুশিতে ইর্ষান্বিত, সেখানে নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপদে রাখতে বাপ্পার হাত ধরাটা যে বেজায় জরুরি, তা আর অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
২. সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই বাস্তু নিয়মটি মেনে চললে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কোনও ধরনের মনোমালিন্য এবং অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৩. বাস্তু দোষ কেটে যায়:
বিশেষজ্ঞদের মতে কারও বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি পরিবারে ঝগড়া-ঝাটি এতটাই বেড়ে যায় যে সুখ-শান্তিতে দূরে পালায়। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হয় কারও বাড়িতে বাস্তু দোষ আছে কিনা তা সাধারণ মানুষদের পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। তাই তো বাড়ির সদর দরজায় গণেশ ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে এমনটা করলে দেবের আশীর্বাদে বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আর থাকে না।
৪. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে বাড়ির মূল ফটকে গণেশ ঠাকুরের ছবি রাখলে গৃহস্থের অন্দরে দেবের প্রবেশ ঘটে। ফলে বাপ্পার আশীর্বাদে অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে উঠতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি নানা ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যাও মিটে যায়।
প্রসঙ্গত, বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির সদর দরজায় গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখার পাশাপাশি যদি এই জিনিসগুলিও রাখা যায়, তাহলেও কিন্তু দারুন সব উপকার মেলে...
১. কাঁচের পাত্র:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সদর দরজার সামনে একটি কাঁচের পাত্রে জল রেখে তাতে একটি ফুল গাছ লাগালে নেগেটিভ শক্তি দূরে পালায়। ফলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিটি সদস্যের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কে কখনও খাদ পরে না।
২. পাতার মালা:
অশ্বত্থ গাচের পাতা, আম পাতা এবং অশোক গাছের পাতা দিয়ে একটি মালা বানিয়ে বাড়ির সদর দরজায় লাগুয়ে ফেলুন। এমনটা করলে দেখবেন খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। শুধু তাই নয়, পরিবারে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে। তবে যখন দেখবেন পাতাগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে, তখন সেটিকে বদলে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
৩. মা লক্ষী:
কম সময়েই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে চান নাকি? তাহলে বন্ধু বাড়ির দরজায় মা লক্ষীর ছবি লাগিয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন! এই নিয়মটি মানলে দেখবেন ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। ফলে খালি পকেট ভরতে উঠতে দেখবেন সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেখানে ছবিটি রেখেছেন, তার সামনে যেন জুতো রাখা না হয়।
৪. মা লক্ষীর পা:
সদর দরজা থেকে বাড়ির ভিতরের দিকে মুখ করে আঁকা মায়ের পায়ের ছবি বা আলপোনা প্রায় প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই দেখতে পাওয়া যায়। আসলে এমনটা করলে সমৃদ্ধি বাড়ি মুখো হয়। ফলে জীবন হয়ে ওঠে সুখময়!
৫. সোয়াস্তিকা চিহ্ন:
বাড়ির গেটে এই চিহ্ন আঁকা থাকলে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উটতেও সময় লাগে না। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে শরীর যত রোগমুক্ত থাকে, মন তত আনন্দে ভরে ওঠে, আর মন যত আনন্দে ভরে ওঠে, তত পরিবারের অন্দরে সুখ-শান্তি জায়গা করে নেয়। প্রসঙ্গত, কিছু কিছু বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কিত বইয়ে এমনও লেখা আছে যে বাড়ির সদর দরজায় সোয়াস্তিকা চিহ্ন আঁকা থাকলে গুড লাক এবং সমৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়।
৯. মানি প্লান্ট:
বাস্তু শাস্ত্র মতে বাড়ির দরজায় অথবা বাড়ির উত্তর দিকে মানি প্লান্ট গাছ রাখলে ভাগ্য ফিরতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে সমৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়। তাই কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেলে এখনই এই টোটকাটিকে কাজে লাগিয়ে দেখুন। উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।