Just In
লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে আছেন? জেনে নিন এর কিছু সুবিধা
ভালোবাসার মানুষটিকে চোখের সামনে দেখতে, কার না ভালো লাগে! কিন্তু সব সময়ে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কেরিয়ার, কাজ, পড়াশোনার মতো বিভিন্ন কারণে, অনেক সময় রিলেশনশিপে থাকা সত্ত্বেও, দু'জনকে একে অপরের থেকে অনেক দূরে থাকতে হয়, যাকে বলে লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ।
বর্তমানে লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ খুবই সাধারণ ব্যাপার। অনেকের মতে, দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না, একে অপরের প্রতি সন্দেহ বাড়ে। কিন্তু লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধাও আছে। দেখুন সেগুলি কী কী -
১) একসঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত বিশেষ ও মূল্যবান হয়ে ওঠে
লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপে, সাধারণত খুব কম সময়ের জন্যই একসঙ্গে সময় কাটানো হয়ে থাকে। যার ফলে প্রতিটি মুহূর্তই হয়ে ওঠে, অত্যন্ত বিশেষ এবং মূল্যবান। এমনকি একে অপরের উপর বিরক্ত হওয়ার মতো সুযোগ থাকে না। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার সময়, এটি "সাধারণ ডেট"-এর থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
২) শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই একে অপরকে জানা সম্ভব
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, শারীরিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে যে সকল সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা ক্ষণস্থায়ী হয়। তবে লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে না। এক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ছাড়াই, একে অপরকে জানার, চেনার যথেষ্ট সুযোগ থাকে।
৩) ভ্রমণের সুযোগ বাড়ে
এই ধরনের রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে একটি মজার ব্যাপার হল, ভ্রমণের সুযোগ অনেক বেশি পাওয়া যায়। সঙ্গী যেখানে থাকে সেখানে কিছুদিনের জন্য বেড়াতে যাওয়া অথবা অন্য কোনও জায়গা বেছে নিয়ে সেখানে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো, এগুলি লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ ব্যাপার।
৪) আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
প্রযুক্তিগত উন্নতি, লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে বরদান বলা চলে। স্কাইপ, গুগল মিট, ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং আরও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গোটা বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। যে যতই দূরে থাকুক না কেন, সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে যখন খুশি যেখানে খুশি তার খোঁজ খবর পাওয়া যায়। চ্যাট, ইমেল অথবা ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আর পাঁচটা সাধারণ সম্পর্কের মতোই হয়ে ওঠে।
দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কে থেকে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখবেন কীভাবে? রইল কিছু টিপস্
৫) সেলফ রিফ্লেকশন
লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে, রিলেশনশিপ এবং সঙ্গীর সম্পর্কে গভীর ভাবনা চিন্তা করার সুযোগ পাওয়া যায়। রিলেশনশিপকে কীভাবে আরও দৃঢ় করে তোলা যায়, সে ব্যাপারে উপায় খুঁজে বার করা যায়। এমনকি আপনি আপনার সঙ্গীর প্রশংসা করতে পারেন, তার প্রচেষ্টার জন্য।
৬) ভালবাসা বাড়ে
দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কে, একে অপরের প্রতি ভালবাসা আরও বাড়ে। একে অপরের সঙ্গে ইমোশনালি অ্যাটাচমেন্ট বাড়ে। আপনি আপনার সঙ্গীকে কতটা ভালবাসেন, তার অনুভূতি হয়।