For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

গল্প হলেও সত্য!

আশ্চর্য বীর্জের কাহিনি।

|

প্রযুক্তির উন্নতি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনও উন্নত হতে শুরু করেছে। এসেছে অনেক বদল, যা সমগ্র মানব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছে আরও কয়েক কদম। তবে প্রযুক্তির এই হাত পা ছাড়ানোতে খারাপ যে কিছু হয় নি, এমনও নয়। তবে খারাপের থেকে ভালোর সংখ্য়াটা এত বেশি যে ২১ শতকের উন্নত, আধুনিক পৃথিবী ছোট-বড়, প্রায় সব প্রটুক্তিকেই খোলা মনে গ্রহণ করেছে।

আজ এই প্রবন্ধে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির একটি বিশেষ অবদান নিয়ে আলোচনা করবো, যা পড়তে পড়তে আপনি অবাক হতে বাধ্য়। এই গল্পটা একটি নবজাতক এবং তার বাবাকে নিয়ে। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, কম করে প্রায় ২৩ বছরের পুরানো বীর্জের সাহায্য়ে জন্ম হয়েছে এই নবজাতকের। কী বলতে চাইছি, ঠিক বুঝতে পারছেন না তো? তাহলে চোখ রাখুন বাকি প্রবন্ধে।

কীভাবে ঘটল ঘটনাটা?

কীভাবে ঘটল ঘটনাটা?

অ্যালেক্স পাওয়েল তখন মাত্র ১৫ বছরের এক কিশোর। হঠাৎ একদিন খুব অসুস্থ হয়ে পরায় তাকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। সেখানে নানা টেস্ট করে জানা গেল পাওয়েল হজকিন লিমফোমায় আক্রান্ত। শুরু হল কেমোথেরাপি। তবে আর আগে একটা অজব সিদ্ধান্ত নিল এই কিশোর। দান করে ফেলল তার বীর্জ।

সৎ মায়ের পরমর্শে!

সৎ মায়ের পরমর্শে!

কোমোথেরাপির কারণে যদি স্পার্মের ক্ষতি হয় তাহলে তো পাওয়েল কোনও দিনই বাবা হতে পারবে না। এই ভেবে তার সৎমা সিদ্ধান্ত নিলেন যে করেই হোক পাওয়েল কে স্পার্ম ডোনেট করার বিষয়ে বোঝাতেই হবে। সেদিন মায়ের কথা শুনেছিলেন অ্যালেক্স।

সবথেকে পুরানো বীর্জ:

সবথেকে পুরানো বীর্জ:

চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে এত পুরানো স্পার্মকে ব্য়বহার করে এর আগে কখনও কোনও বাচ্চার জন্ম হয়নি। অ্যালেক্সের যখন মাত্র ১৫ বছর বয়স তখন তার বীর্জ সংগ্রহ করে রেখে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ধরনের রেফ্রিজেরেটরে।

অবশেষে এল সেই দিন:

অবশেষে এল সেই দিন:

বিয়ে করলেন অ্যালেক্স। স্ত্রী ভিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন প্রযুক্তির সাহায্য়ে ২৩ বছরের পুরানো স্পার্মকে ব্য়বহার করে গর্ভবতি করা হল ভিয়াকে। অবেশেষ এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ছেলে হল অ্যালেক্স এবং ভিয়ার। প্রসঙ্গত, ২৩ বছরের পুরানো সেই বীর্জ কিন্তু সেদিন একেবারে নতুনের মতো কাজ করেছিল।

আজ তারা গর্বিত:

আজ তারা গর্বিত:

অ্যালেক্স এবং ভিয়া তাদের ছেলের নাম রেখেছেন জেভিয়ার। আজ তারা গর্বিত তাদের ছেলেকে নিয়ে। প্রযুক্তির অনেক খারাপ দিক আছে। তাই বলে কি এই ভালো দিকগুলি আমরা এড়িয়ে যেতে পারি?

All Images: Source

English summary

গল্প হলেও সত্য!

With technology reaching new heights every day, there are many things that are good for the mankind, and then there are those that can also destroy the environment.
Story first published: Monday, January 30, 2017, 12:21 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion