Just In
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 4 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 6 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
(ছবি) বাথরুমের এই বদঅভ্যাসগুলি আপনাকে অসুস্থ করতে পারে!
নোংরা বাথরুম বা কমোড ব্যবহার করলে যে নানারকম সংক্রমণ হতে পারে তা আমাদের সকলেরই জানা প্রায়। কিন্তু আপনি কি জানেন বাথরুমে কিছু বদঅভ্যাস ও ভুলভ্রান্তির ফলে আমাদের ভয়ানক ধরণের সংক্রমণ হতে পারে , যার জন্য এমনকী প্রাণহানির ভয়ও থাকতে পারে তা কি আপনি জানেন?
খালি চোখে পরিষ্কার মনে হলেও আসলে আপনার বাথরুমে অনেক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবানু থাকতে পারে। আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে না চলি তাহলে তা বাথরুমের পাশাপাশি আমাদের শরীরেও ছড়িয়ে পরতে পারে।[ (ছবি) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন এর পিছনের আসল কারণ]
খুব সাধারণ সাধারণ কিছু ভুল আমরা বাথরুমে করে থাকি, যা আমরা কখনওই ভুল বলে মনে করি না। তবে এই ছোট ভুলের বড় খেসারত দিতে হতে পারে আমাদের। তাই এখনই আমাদের উচিত এই ছোট ছোট ভুলগুলি শুধরে নেওয়া।
তাহলে একবার চটপট নিচের স্লাইডগুলোয় চোখ বুলিয়ে দেখে নিন এই ভুলগুলি আপনি করেন না তো। যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে এখনই সাবধান হোন। [(ছবি) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন এর পিছনের আসল কারণ]
বাথরুমে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া
আপনি যখন আপনার ফোন বাথরুমের তাকে বা ওয়াশ কাউন্টারে রাখেন তখন আপনার অজান্তে কিছু শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়া আপনার ফোনে চলে যায়। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে বহু সংক্রমণ হতে থাকে। হাত ভাল করে ধুলেও আমরা ফোনের দিকে নজর দিই না। আর সেখানেই বিপদ দানা বাধে। কখনও প্রয়োজনে বাথরুমে ফোন নিয়ে গেলেও ডিইনফেকটিভ লোশন দিয়ে ফোন পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না।
ফ্লাশ করার সময় কমোডে ঢাকা না দেওয়া
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যখন আমরা কমোডে ফ্লাশ করি তখন জলের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দানা বাতাসে মিশে যায়। টয়েলেট সিট থেকে প্রায় ৬ ফুট উঁচু উচ্চতায় পৌঁছতে পারে এই সব জলকণা। কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া এই জলকণার সঙ্গেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারে। তাই যখনই ফ্লাশ করবেন তখন কমোডের ঢাকা লাগিয়ে তারপর ফ্লাশ করুন।
বাথরুমেই টুথব্রাশ রাখা
সাধারণভাবে সবাই এই ভুলটি করেন। আসলে বাথরুমে দাঁত মাজার পর টুথব্রাশ রেখে দিলে তা সহজে শুকনো হতে চায় না। আর এই ভেজা ভেজা পরিবেশেই সংক্রমণ জাতীয় ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্ম নেয়। তাই বাথরুমের বাইরে কোনও একটি জায়হায় ব্রাশের মাথার দিকটা উপর করে রাখবেন।
মেক সামগ্রী বাথরুমে নিয়ে যাওয়া
মেক আপের সামগ্রী বাথরুমের ক্যাবিনেটে রাখা তো উচিত নয়ই, বরং বাথরুমের ভিতরেও নিয়ে যাওযা উচিত নয়। কারণ মূলত ওয়াশ বেসিন কাউন্টারেই আপনি মেকআপ সামগ্রী রাখেন। ফলে সেখানকার ব্যাকটেরিয়া আপনার মেক আপ সামগ্রীতে অনায়াসে চলে যায়। এর পর আপনি যখন তা ত্বকে ব্যবহার করেন, তখন ত্বকের রোমকূপ দিয়ে এই ব্যাকটেরিয়াগুলি শরীরের মধ্যে ঢুকে আপনাকে অসুস্থ করে দেয়।
লুফার ব্যবহার
ঘরে ঘরে লুফা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু লুফা ব্যবহার করার পর তা আমরা বাথরুমেই রেখে দিই। ভিজে লুফাতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তাই ব্যবহারের পর রোদে শুকতে দিন লুফা। শুকিয়ে গেলে তারপর ফের বাথরুমে রাখুন।
বাথরুমে তোয়ালে টাঙিয়ে রাখা
বাথরুমের কমোড, মেঝে পরিস্কার করা হলেও সচরাচর দেওয়াল পরিষ্কার করা হয় না। তাই দেওয়ালে অসংখ্য পরিমাণ জীবাণু, বীজাণু, ব্যকটেরিয়া থেকে যায় যা খালি চোখে দেখা যায় না। আমরা য়খন তোয়ালে বাথরুমে টাঙাই তখন তা দেওয়াস স্পর্ষ করে থাকে। এর ফলে তা দেওয়াল থেকে সহজেই তোয়ালেতে চলে আসে। আবার আমরা যখন সেই তোয়ালেই ব্যবহার করি, তখন তা আমাদের শরীরে চলে আসে।
একজস্ট ফ্যান
এটা অভ্যাস করুন যখনই আপনি বাথরুমে ঢুকবেন একজস্ট ফ্যান চালিয়ে দিন। আবার বেরনোর সময় বন্ধ করে দিন। এতে নোংরা বায়ু বেরিয়ে যাবে, পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়াও বেরবে। নয়তো ব্যাকটেরিয়া জরো হতে থাকবে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করবে।