Just In
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 4 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 6 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
(ছবি) পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশিদিন বাঁচে! কারণগুলো কি জানেন?
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় দীর্ঘজীবী হন। পুরুষদের চেয়ে তারা বেশিদিন বেঁচে থাকেন। যতই মহিলাদের পুরুষের তুলনায় দুর্বল মনে করার ভুলধারণা অতীত এখন, গবেষনা বলছে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা ৫-৬ বছর বেশি বাঁচেন।[(ছবি) অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করুন এই উপায়ে]
গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিশ্বের দীর্ঘজীবী ৩৪ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন পুরুষ। [অ্য়াসিড হামলার শিকার এই ৫ নারী জীবনযুদ্ধে আপনাকে অণুপ্রাণিত করবে]
এটা সত্যি যে পুরুষরা মহিলাদের চেয়ে বেশি জোরে দৌড়তে পারে। মহিলাদের তুলনায় বেশি ওজন তুলতে পারে, তবে জীবন দৌড়ে কিন্তু মহিলারাই এগিয়ে। [ মেয়েদের নিয়ে মজাদার কিছু বাংলা জোকস]
কিন্তু এর পিছনে কারণগুলি কী তা কি জানেন। জানতে হলে চোখ রাখুন নিচের স্লাইডে। [(ছবি) প্রথম দেখায় মেয়েদের বিষয়ে কী কী লক্ষ্য করেন পুরুষরা?]
গর্ভে থাকাকালীন
গর্ভে থাকাকালীন কন্যা ভ্রূণের বৃদ্ধির হার অপেক্ষাকৃত বেশি। শারীরিকভাবে পরিপক্ক অবস্থাতে জন্ম নেয় কন্যা সন্তান। সেখানে পুত্র সন্তানের জন্মের পরও তার শারীরিক গঠন হতে থাকে।
ক্রোমোজোম
মহিলাদের টেলোমেরাস (ক্রোমোজোমের অংশ) পুরুষদের তুলনায় বড়। যা ক্রোমোজোমকে রক্ষা করে। আর এই টেলোমেরাস বয়বৃদ্ধির হার কিছুটা শিথিল করতে সহায়কা করে। এর ফলে মহিলারা দীর্ঘায়ু হয়।
ধাপে ধাপে হরমোনের বদল
মহিলাদের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে হরমোনের রূপান্তর হয়। যেমন প্রসবের পর মহিলাদের থাইরক্সিন বেশি উৎপাদিত হয়। যা তাদের শরীরকে ইমিউন করতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে হঠাৎ করে কোনও বিশাল বদল না আসায় শরীর পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে সহজেই। মহিলাদের দীর্ঘায়ু হওয়ার এটি অন্যতম কারন।
হৃদরোগের সমস্যা কম
মহিলাদের শরীরে বেশি পরিমানে ইস্ট্রোজেন হরমোন নির্গত হয়। যা হৃৎপিন্ডের ধমনী ও রক্তনালীকে পরিস্কার রাখে। যার ফলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা মহিলাদের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় কম হয়।
সোস্যাল নেটওয়ার্ক
গবেষনায় দেখা গিয়েছে যাদের ভাল সোস্যাল নেটওয়ার্ক থাকে তাদের বেশিদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও বেশি। মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি সোস্যাল নেটওয়ার্কিং করে। পুরুষদের থেকে মহিলাদের বন্ধু বেশি। এটাও অন্যতম কারন।
কম ধূমপান করে
মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে খুব কম সংখ্যকই নিয়মিত ধূমপান করেন। শরীরে নিকোটিন কম ঢোকাতেই দীর্ঘকাল সুস্থ শরীরে বাঁচতে পারে তারা।
শারীরিক কাজ বেশি
মহিলাদের থেকে পুরুষরা বেশি কায়িক পরিশ্রম করেন, একথা যারা ভাবেন , তারা ভুল ভাবেন। মহিলারা পুরুষদের তুলনায় শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশি সক্রিয়। আর তা পরোক্ষ তাদের শরীরের উপকারই করে।
মহিলাদের চেয়ে কম মানসিক চাপ
মহিলাদের শরীরে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা তাদের মানসিক চাপ কিছুটা হাল্কা করে। তাই সাধারন দিনে একই পরিস্থিতিতে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মানসিক চাপ অনেকটা বেশি হয়। এরফলে পুরুষদের আয়ু কমে আসে।