Just In
আগামী কাল সূর্যগ্রহণ, অমাবস্যা এবং শনিবার কিন্তু একসঙ্গে পরেছে! তাই ঘটতে পারে যে কোনও খারাপ কিছু!
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সূর্যগ্রহণ, অমাবস্যা এবং শনিবারে যখন একই দিন পরে, তখন চারিদিকে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা আর পাঁচটা দিনের থেকে এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় বেড়ে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সূর্যগ্রহণ, অমাবস্যা এবং শনিবারে যখন একই দিন পরে, তখন চারিদিকে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা আর পাঁচটা দিনের থেকে এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। ফলে পরিবারে অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে তো ওঠেই, সেই সঙ্গে লেজুড় হয় আরও নানাবিধ সমস্যা। যেমন ধরুন কোনও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যায় বেড়ে, অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং কর্মক্ষেত্রেও নানা বাঁধার সৃষ্টি হতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু, আগামীকাল যাতে আপনার কোনও ক্ষতি না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে এই প্রবন্ধে আলোচিত টোটকাগুলিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে ঘরোয়া টোটকাগুলি নেগেটিভ শক্তির মাত্রাকে প্রশমিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. দেবাদিদেবের আরাধনা করতে হবে:
আগামী কাল সাকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে যদি শিব ঠাকুরের পুজো করতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার মিলতে পারে। আসলে এখন শ্রাবণ মাস চলছে। এই সময় সর্বশক্তিমানকে যদি প্রসন্ন করতে পারেন, তাহলে কিন্তু খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। তাই তো কাল ফুল-বেলপাতা দিয়ে দেবের আরাধনা করতে হবে এবং মনে মনে কম করে ১০৮ বার "ওম নমঃ শিবায়", এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
২. বেল গাছ লাগাতেই হবে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে বেল গাছ লাগালে সেই গৃহস্থে দেবাদিদেবের আশীর্বাদ সারাক্ষণ থাকে, সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত নেগেটিভ শক্তির মাত্রা কমতে শুরু করে, অন্যদিকে বাড়তে শুরু করে পজেটিভ শক্তির প্রভাব। ফলে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, শিব পুরোনেও কিন্তু এই গাছটির উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে, যে বাড়িতে বেল গাছ রয়েছে, সেই স্থান কাশির মতো পবিত্র। তাই তো এমন বাড়িতে খারাপ শক্তি যেমন জায়গা করে নিতে পারে না, তেমনি কালো যাদুরও কোনও খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কা থাকে না। তাই তো বলি বন্ধু, আগামীকাল কিন্তু বেজায় খারাপ দিন। এমন দিনে নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ বিপদ থেকে দূরে রাখতে বেল গাছ পুঁততে ভুলবেন না যেন!
৩. অশ্বত্থ গাছের পুজো করা মাস্ট:
আগামী কাল উপোস করে অশ্বত্থ গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালীয় পুজো করলে ভগবান বিষ্ণু বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে গাছের সামনে মিষ্টি এবং প্রদীপ রেখে সাত পাক ঘুরতে হবে। আর প্রতিটি পাক শেষ করার পর মনে মনে ভগবান বিষ্ণুর নাম নিতে হবে। তাহলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না।
৪. আলো-বাতাস:
নেগেটিভ শক্তির খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচতে একটা জিনিস মাথায় রাখতেই হবে। তা হল কাল সাকলে ঘুম থেকে উঠেই সব জানলা-দরজা খুলে দেবেন, এমনটা করলে পরো বাড়ি আলো-বাতাসে ভরে উঠবে। ফলে নেগেটিভ এনার্জির মাত্রা বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা কমবে।
৫. নুন জল:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় এমন দিনে এক কাপ নুন, এক বালতি জলে ফেলে সেই জল দিয়ে ঘর পুঁছলে নেগেটিভ এনার্জি সদর দরজা পেরনোর সুয়োগই পায় না। ফলে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে, সেই সঙ্গে কালো যাদুর কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। প্রসঙ্গত, এক বালতি জলে এক কাপ নুন ফেলে সেই জল দিয়ে স্নান করলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
৬. সন্ধক লবন:
ফেংশুই বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির প্রতিটি কোণায় একটা ছোট্ট বাটিতে পরিমাণ মতো সন্ধক লবন রেখে দিলে বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি প্রবেশই করতে পারে না। ফলে কানও ধরনের ক্ষতি হতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধ, আগামী কাল কিন্তু বাস্তবিকই বেজায় খারাপ দিন। এমন দিনে সুখে-শান্তিতে থাকতে এই টোটকাটিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
৭. পছন্দের গান শুনুন:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নেগেটিভ এনার্জিকে ঘর ছাড়া করতে গানের কোনও বিকল্প নেই। তাই আগামী কাল সাকাল উঠেই পছন্দের গানে চালিয়ে দেবেন। দেখবেন নিমেষে মন তো ভাল হয়ে যাবেই, সেই সঙ্গে দিনটাও আনন্দে কেটে যাবে।
৮. প্রাণায়ম করতে ভুলবেন না:
খারাপ শক্তির প্রভাব প্রথম পরে আমাদের মনের উপর। তাই তো এই সময় মন-মেজাজ এত খিটকিটে হয়ে যায় যে পরিবারের কারও সঙ্গে ঝগড়া লাগতে সময় লাগে না। তাই তো এমন দিনে প্রথমে মনকে শান্ত করাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এনটা করতে প্রণায়মের কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না।