Just In
- 10 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 11 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 15 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 16 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
১৯৩০ সালের আজকের দিনেই শুরু হয়েছিল ডান্ডি অভিযান, জেনে নিন এই ঐতিহাসিক দিন সম্পর্কে কিছু তথ্য
সালটা ১৯৩০। দেশজুড়ে চলছে ব্রিটিশ রাজত্ব। স্বাধীনতা আন্দোলনের ঢেউ ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে আরও বেশি। এমনই এক সময়ে ১৯৩০ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ১২ মার্চ, মহাত্মা গান্ধি শুরু করেছিলেন ডান্ডি অভিযান, যা লবণ সত্যাগ্রহ নামে ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে।
এই ঐতিহাসিক ডান্ডি অভিযানের ৯১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সবরমতী আশ্রম থেকে পদযাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও, এই দিন স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। সেই উপলক্ষে সবরমতী আশ্রমে গান্ধিজী-র মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই ঐতিহাসিক দিন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য -
১) ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ ডান্ডি পদযাত্রা বা লবণ সত্যাগ্রহ শুরু হয় এবং ওই বছরই ঠিক ২৪ দিন পর অর্থাৎ ৬ এপ্রিল শেষ হয়। এটি গান্ধিজী-র সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পর্যন্ত চারটি জেলা এবং ৪৮টি গ্রাম পেরিয়ে গিয়েছিল।
২) এই সত্যাগ্রহ ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লবণ আইন ভঙ্গ করতে ডান্ডি অভিযান করেন গান্ধিজী। ব্রিটিশ সরকারের লবণ-র উপর কর বসানোর প্রতিবাদে সবরমতী আশ্রম থেকে গুজরাতের সীমান্তবর্তী গ্রাম ডান্ডির উদ্দেশে অভিযান শুরু করেন মহাত্মা গান্ধি। সমুদ্রের জল থেকে দেশীয় পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন করে ঔপনিবেশিক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা ছিল তাঁর এই মার্চের উদ্দেশ্য।
৩) মহাত্মা গান্ধী আমেদাবাদের কাছে তার সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পদযাত্রা শুরু করে ২৪ দিনে ২৪০ মাইল পথ পায়ে হেঁটে ডান্ডি গ্রামে এসে সমুদ্রের জল থেকে লবণ প্রস্তুত করেন। বিরাট সংখ্যক ভারতীয় তাঁর সঙ্গে ডান্ডিতে আসেন।
৪) ১৯৩০ সালের ৪ মে মধ্যরাতে গান্ধিজী-কে অবৈধভাবে লবণ উৎপাদনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
৫) লবণ করের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন প্রায় এক বছর চলেছিল এবং প্রায় ৬০ হাজার ভারতীয়কে এর জন্য কারাগারে বন্দী হয়েছিল।
৬) লবণ সত্যাগ্রহের ফলে ব্রিটিশ পোশাক ও জিনিস বয়কট করা হয়।
৭) ১৯২০-২২ সালের অসহযোগ আন্দোলনের পর লবণ সত্যাগ্রহই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠিত ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন। ১৯৩০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস "পূর্ণ স্বরাজ" প্রস্তাব গ্রহণ করার অব্যবহিত পরেই এই সত্যাগ্রহের সূচনা ঘটে।