Just In
বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখলে এই বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
অল্প সময়েই যদি বড়লোক হয়ে উঠতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলা শুরু করুন। দেখবেন নেগেটিভ শক্তি, পজেটিভ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যেতে সময় লাগবে না। ফলে আপনার পকেট ভরে উঠবে টাকায়।
বিখ্যাত ফটোগ্রাফার ডেভিড বেইলি একটা কথা প্রায়ই বলতেন, "টু গেট রিচ, ইউ হ্যাভ টু বি মেকিং মানি হোয়াইল ইউ আর স্লিপিং।" কথাটা খুব ভুল এমন নয় কিন্তু! কারণ আমরা ঘুমাই কোথায়? বাড়িতে। আর বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে প্রতিটি বাড়ির অন্দরেই একটি শক্তি মজুত থাকে, যা সেই বাড়ির বাসিন্দাদের নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে। আর সেই শক্তি যদি ক্ষতিকারক হয়, তাহলেই কেলো!
এখন প্রশ্ন হল বাড়ির অন্দরে পজেটিভ শক্তি রয়েছে, না নেগেটিভ, তা তো জানার উপায় নেই। তাই অল্প সময়েই যদি বড়লোক হয়ে উঠতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তু নিয়মগুলি মেনে চলা শুরু করুন। দেখবেন নেগেটিভ শক্তি, পজেটিভ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যেতে সময় লাগবে না। আর সেই সঙ্গে পকেট ভরে উঠবে টাকায়। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, কী কী নিয়ম মেনে চললে বড়লোক হয়ে ওঠার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে, সেগুলি হল...
১. জলাধার:
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ভুলেও সুইমিং পুল, ঝর্না বা কোনও ধরনের জলাধার তৈরি করবেন না। এমনটা করলে এতদিনে যেটুকু সঞ্চয় করে উঠতে পরেছেন, তা কিন্তু সব বেরিয়ে যেতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতেও সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল...বাড়ি যে লেভেলে রয়েছে, তার থেকে নিচে জলাধার তৈরি করা চলবে না। এমনটা করলেও টাকা আসার জায়গায় বেরিয়ে যেতে শুরু করবে।
২. মানিব্যাগ রাখার জায়গা:
প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার পর মনে করে মানিব্যাগটা দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখবেন, যাতে ব্যাগটি উত্তর দিকে মুখ করে থাকে। আসলে উত্তর দিক হল ধন দেবতা কুবেরের স্থান। তাই উত্তর দিকে রাখা ব্যাগ বা সিন্দুক কখনও খালি হয় না, বরং দিনে দিনে তা টাকায় ভরতে থাকে। প্রসঙ্গত, যে আলমারিতে টাকা বা সোনার গয়না রেখেছেন, সেটিও বাড়ির দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখতে হবে। এমনটা করলেও দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।
২. কড়িকাঠের নিচে নৈব নৈব চ:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কড়িকাঠের নিচে মানিব্যাগ বা সিন্দুক রাখলে নানাবিধ অর্থনৈতিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই ভুলেও এই ভুল কাজটি করবেন না। প্রসঙ্গত, যে আলমারিতে টাকার ব্যাগ বা গয়না রাখেন, সেটিও কড়িকাঠের নিচে রাখা চলবে না।
৩. আয়নার কারসাজি:
যেখানে টাকার ব্যাগ, সিন্দুক বা মূলবান জিনিস রেখেছেন তার সামনে একটি ছোট আয়না রাখতে ভুলবেন না। এমনটা করলে টাকা তো কমবেই না। উল্টে দ্বিগুণ হারে বাড়তে থাকবে। আসলে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে টাকার ব্যাগের প্রতিবিম্ব, টাকার পরিমাণকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে "বি পি এল" থেকে কোটিপতি হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৪. বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক:
এই দিকটা সব সময় জঞ্জাল ফ্রি রাখবেন। সেই সঙ্গে ভুলেও বাড়ির এই অংশে ভারি কোনও জিনিস, যেমন ধরুন আলমারি বা কোনও আসবাব রাখা চলবে না। কারণ উত্তর -পূর্ব দিক থেকেই সমৃদ্ধির আগমণ ঘটে বাড়িতে। তাই এই দিকটা যদি বন্ধ করে রাখেন, তাহলে ভগবান কুবেরের আগমণ কীভাবে ঘটবে বলুন!
৫. উত্তর-পূর্ব দিকের বাড়ি বা মন্দির:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির উত্তর দিকে কোনও বড় বাড়ি বা মন্দির থাকলে সমৃদ্ধির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি তো ঘটেই না, উল্টে একের পর এক ক্ষতি হতে শুরু করে। কিন্তু প্রশ্ন হল, আপনার বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে কেউ বাড়ি বানালে তাকে আপনি আটকাবেন কীভাবে? এমনটা তো আপনি করতে পারবেন না। তাই খেয়াল রাখবেন সেই মন্দির বা বড়ির ছায়া যেন ভুলেও আপনার বাড়ির উপর না পরে। এমনটা যদি সুনিশ্চিত করা যায়, তাহলেও মানিব্যাগ টাকায় ভরে উঠতে সময় লাগে না।
৬. বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিক:
বস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাড় বড় গাছ পুঁতলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি রোজের সঙ্গী হয়, সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সম্পর্কিত কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে কোনও ধরনের বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনাও কমতে থাকবে।
৭. বাড়ির দেওয়াল:
শুনতে অবাক লাগলেও এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে যে দেওয়াল রয়েছে, তা যদি উত্তর-পূর্ব দিকের দেওয়ালের থেকে উুঁচু এবং চওড়া হয়, তাহলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আপনার গৃহস্থের অন্দরে প্রবেশ করবে। আর এমনটা হলে বড়লোক হয়ে ওঠার বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যে সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য!