Just In
(ছবি) সোস্যাল মিডিয়ায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি!
আজকালকার দুনিয়াটা প্রচন্ডভাবে ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে গিয়েছে। তার উপরে সোস্যাল মিডিয়ার ক্রেজ তো ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তারউপর নিত্য নতুন সোস্যাল মিডিয়াম বাজারে আসছে। কিছু হিট করছে কিছু ফেল। [(ছবি) এই কয়েক ধরনের বন্ধুকে এখুনি ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে 'আনফ্রেন্ড' করুন!]
কিন্তু এই ধরনের সোস্যাল মিডিয়ার জেরে সাইব্রার ক্রাইমের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে শুরু করে, জালিয়াতি কতকিছু হচ্ছে নেট সংসারে। [(ছবি) ফেসবুকে প্রতারিত হচ্ছেন তা বোঝার সহজ উপায়]
কিন্তু তা বলে কি সোস্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্কই শেষ করে দেওয়া উচিত? কখনওই না। তাহলে উপায় কি? উপায় একটাই। জানতে হবে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। [টাকা জোগাতে ফেসবুকে যৌনদাসীদের নিলাম আইএসআইএসের]
একঝলকে দেখে নিন কীভাবে নিজেকে সোস্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে সুরক্ষিত রাখবেন। [জেনে নিন : ফেসবুকে লুকোনো ফ্রেন্ডলিস্ট দেখার উপায়]
টুইটার
টুইটারের পাসওয়ার্ড বারবার বদলানো ছাড়াও আরও একটি সহজ উপায় হল 'লগইন ভেরিফিকেশন' ব্যবহার করুন। কম্পিউটারে টুইটারে সাইন ইন করার পর প্রোফাইল আইকনের ড্রপ ডাউন মেনুতে 'সেটিংস'-এ ক্লিক করে তারপর সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি সেটিংস-এ যান। লগইন ভেরিফিকেশন ব্যবহার করার আগে আপনার ইমেল আইডি নিশ্চিত করুন।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আপনি iOS বা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের সাহায্যও নবিতে পারে। মাঝে মধ্যেই টুইটারের সেটিংস পেজে যান এবং অ্যাপে ক্লিক করুন। এখান থেকে আপনি দেখতে পারেবন আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোন অ্যাপ এবং ডিভাইস অ্যাক্সেস করা হয়েছে।
ফেসবুক
ফেসবুকে সুরক্ষিত থাকতেও আপনি লগ ইন ভেরিফিকেশন এবং অ্যালার্ট অপশনের ব্যবহার করতে পারেন, তবে আরও অনেক অপশনই আছে। আপনি 'ট্রাস্টেড কনট্যাক্ট' সেট করতে পারেন এবং দেখতে পারেন এখান থেকে কোন কোন ব্রাউজার এবং অ্যাপস করেছেন।
যেমন ধরুন আপনি বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছেন, এবং সেখানে বন্ধুর ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেছেন, কিন্তু বেরনোর সময় লগ অফ করতে ভুলে গেলেন।
এই অপশনের মাধ্যমে আপনি যে কোনও ডিভাইস থেরে সাইন আউট করতে পারবেন। শুধু মাত্র ওই লিঙ্কে ক্লিক করুন যেখানে লেখা আছে 'End Activity'। যদি আপনি হেল্প পেজেও পৌঁছে যান সে ক্ষেত্রে ফেসবুর সিকিউরিটি চেকআপ দেখাবে। সেখান থেকে আপনি আপনার পুরনো লগ ইন দেখতে পাবেন। এখান থেকে সাইন আউট করে যান। প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড বদলে দিন।
হোয়াটসঅ্যাপ
আপনার চ্যাট সুরক্ষিত করতে ইতিমধ্যেঅ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন চালু করা হয়েছে। কেউ, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষও আপনার চ্যাট দেখতে পারবে না।
কিন্তু আপনার ফোন যদি চুরি যায়, তাহলে চোর আপনার ফোনের হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি, ভিডিও এমনকী ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করতে পারে।
নিজের অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখতে হোয়াটসঅ্যাপ-এ PIN ব্যবহার করুন। এরজন্য অবশ্য অন্য অ্যাপের প্রয়োজন হতে পারে।
যদি আপনার ফোন চুরি হয়ে যায় এবং আপনার অ্যাকাউন্ট যদি লক করা না থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা নতুন সিম নিন। এবং এটি অন্য ফোনে নথিভুক্ত করার জন্য ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ তৎক্ষণাৎ ডিঅ্য়াক্টিভেট হয়ে যাবে।
ইনস্তাগ্রাম
আপনার ইনস্তাগ্রাম ফটো বা কমেন্ট সবাইকে দেখানোর প্রয়োজন নেই। তাই সবার প্রথমেই নিজের ইনস্তাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট করুন। অর্থাৎ যারা আপনাকে ফলো করবে তারা আপনার ছবি দেখতে পাবে। নতুন করে ফলোয়ার হতে গেলে যে কোনও ব্যক্তিরই আপনার অনুমতি প্রয়োজন হবে।
আর একটি বৈশিষ্ট হল ম্যানুয়াল ফটো ট্য়াগিং। ইনস্তাগ্রাম প্রোফাইলে যান ফটো অফ ইউ লেখায় ক্লিক করুন। মেনু বোতামে ক্লিক করুন এবং ট্যাগের অপশন বেছে নিন।
অ্যাড ম্যানুয়ালি বোতামে ক্লিক করলে তা আপনাকে অবাঞ্ছিত ফটো ট্যাগিং থেকে রক্ষা করবে। এর জন্য থার্ড পার্টি অ্যাপের অ্যাক্সেস প্রয়োজন। এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য আপনাকে কম্পিউটার থেকে ইনস্তাগ্রামে লগ ইন করে এডিট প্রোফাইল অপশন বেছে নিতে হবে।
জিমেইল
যদি আপনার মনে হয় কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করছে তাহলে অ্যাকাউন্টে কী চলছে তা আপনি নিজেই দেখতে পারবেন। ইনবক্সের ডানদিকে নিচে 'Last account activity' লেখা থাকবে। সেখানে ক্লিক করে দেখে নিন।
যদি কিছু অস্বাভাবিক মনে বয় তাহলে উপরের দিকে সাইন আউট অফ অল আদার ওয়েব সেশন ক্লিক করুন এবং আপনার পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।
সোস্যাল মিডিয়া অ্যাপ, ওয়েবসাইটের মতো গুগল অ্যাকাউন্টের জন্যও অ্যাক্সেস লাগবে। আর তার জন্য 'https:accounts.google.com' যান, এবং সিকিউরিটি-র অধীনে ক্লিক করুন কানেক্টেড সাইড এবং অ্যাপস-এ।