Just In
Don't Miss
দামি গাড়িতে চড়তে চান, পড়তে চান ব্র্যান্ডেড জামাকাপড় তাহলে এই বাস্তুনিয়মগুলি মানতেই হবে!
এই দুনিয়ায় অভাগার সংখ্যা নেহাতিই কম নয়। যারা দিবা-রাত্র মাথার ঘাম পায়ে ফেলে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় তো লেগে থাকেন, কিন্তু ভাগ্যের দোষে শত চেষ্টা করেও বড়লোক হয়ে উঠতে পারেন না।
এই দুনিয়ায় অভাগার সংখ্যা নেহাতিই কম নয়। যারা দিবা-রাত্র মাথার ঘাম পায়ে ফেলে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় তো লেগে থাকেন, কিন্তু ভাগ্যের দোষে শত চেষ্টা করেও বড়লোক হয়ে উঠতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল সেক্ষেত্রে কী করণীয়?
আপনিও যদি ওই অভাগাদের একজন হন, তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়তে ভুলবেন না যেন! কারণ এই লেখায় এমন কতগুলি জিনিস সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা বাড়িতে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠায় অল্প সময়ে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু পকেট ভর্তি টাকার মালিক যদি হতে চান, তাহলে এই লেখায় যে যে জিনিসগুলির কথা বলা হয়েছে, তা আজই বাড়িতে এনে রাখুন, তারপর দেখুন কী হয়!
প্রসঙ্গত, যে যে বিষয়গুলি পকেট ভর্তি টাকা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, সেগুলি হল...
১. মাটির কলসি বা মাটির বড় জলাধার:
শুনতে অবাক লাগলেও একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে বাড়িতে মাটির একটি কলসি রাখলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, সঞ্চয় করা অর্থ খরচ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কী বিষয়? কলসিটা রাখতে হবে উত্তর দিকে মুখ করে। আর কলসিতে যেন সব সময় জল থাকে। তাহলেই দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে!
২. তামার পিরামিড:
বাস্তুসাস্ত্র অনুসারে ড্রয়িং রুমে রুপো বা তামার ছোট্ট একটা পিরামিড রাখলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে গৃহস্থে সদা সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, অফিসের ডেস্কেও যদি এমন ধরনের পুরামিড রাখতে পারেন, তাহলেও কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৩. হনুমানজির মূর্তি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পঞ্চমুখি হনুমানজির ছবি বা মূর্তি এনে রেখে যদি পুজো করা যায়, তাহলে টাকা সম্পর্কিত যে কোনও বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটার সম্ভাবনাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে নিয়মিত সকালে উঠে স্নান সেরে হনুমান চাল্লিসা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে দেবের আরাধনা করতে হবে। এমনটা কয়েক দিন করলেই দেখবেন সময় বদলাতে শুরু করেছে।
৪. বাস্তু দেবের মূর্তি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয়, ভগবান বাস্তুর ছবি বা মূর্তি ঠাকুর ঘরে রাখলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পায় যে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে এবং কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে।
৫. লক্ষ্মীর ছবি:
ঠাকুর ঘরে মা লক্ষ্মী এবং কুবের দেবতার ছবি রাখলে গৃহস্থের অন্দরে মায়ের আগমণ ঘটে। আর এমনটা হলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে যে সময় লাগে না, তা বলাই বাহুল্য! আসলে যে বাড়িতে মা লক্ষ্মী তাঁর আসন পাতেন, সেখানে ধন দেবাতারও প্রবেশ ঘটে। তাই তো বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। এখন প্রস্ন হল যাদের বাড়িতে ঠাকুর ঘর নেই তারা কী করবেন? সেক্ষেত্রে তারা বাড়ির প্রবেশ পথে মা লক্ষ্মী এবং কুবের দেবের ছবি বা স্টিকার লাগাতে পারেন। আসলে এমনটা করলেও দারুন উপকার পাওয়া যায়।
৬. লোহার মাছ অথবা কচ্ছপ:
বাস্তু ববিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির কোনও একটা কোনে লোহার মাছ বা কচ্ছপের সো-পিস রাখলে একদিকে যেমন মানি ব্যাগ মোটা হতে শুরু করে, তেমনি গৃহস্তের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যায়। ফলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, ভায়ে-ভায়ে সম্পর্কেরও উন্নতি ঘেটে। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে এমন মূর্তি রাখলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
প্রসঙ্গত, চটজলদি অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে বাড়িতে উপরে আলোচিত জিনিসগুলি রাখার পাশাপাশি আরও কতগুলি বিষয় নজরে রাখতে হবে, তা হল বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বেশ কিছু জিনিস রয়েছে, যা আমাদের বড়লোক হয়ে ওঠার পতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়তে পারে। যেমন ধরুন...
১. বাদুড়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! আপনার বড়লোক হয়ে ওঠার পথে কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই প্রাণীটি। কারণ বাস্তুবিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে বাদুড় থাকলে যে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তা নয়। সেই সঙ্গে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি বাদুড়দের আনাগোনা বেশি থাকে, তাহলে খেয়াল রাখবেন এই প্রাণীটি যেন ফাঁক গোলা আপনার বাড়ির ভিতরে না ঢুকে যায়।
২. বাড়ির ছাদ যেন সব সময় পরিষ্কার থাকে:
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই বাড়ির ছাদকে স্টোর রুম বানিয়ে দেন। ফলে নানা অব্য়বহৃত জিনিসে ভরে ওঠে চারপাশ। কিন্তু জানেন কি এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির ছাদকে অপরিষ্কার করে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ এনার্জির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় দারিদ্রতা পিছু নেয়। ফলে হাজারো চেষ্টা করেও বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন কিন্তু পূরণ হতে চায় না। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!
৩. মাকড়সার জাল:
খেয়াল করে দেখবেন পর পর কয়েকদিন ঘর-দোর পরিষ্কার না করলেই বাড়ির ইতি-উতি মাকড়সা তার জাল বুনতে শুরু করে দেয়। এমনটা হওয়া কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। কারণ যে বাড়িতে মাকড়সার জাল থাকে, সেখানে সুখ এবং সমৃদ্ধির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন অধরা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তাই তো নিয়মিত বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। বিশেষত ঘরের প্রতিটি কোনা। কারণ মাকড়সা বাবাজি বাড়ির এইসব জয়গাকেই বেছে নেয় নিজের শিকার ধরার ফাঁদ তৈরির জন্য।
৪. জল যেন নষ্ট না হয়:
কল বন্ধ করে দেওয়ার পরেও যদি টিপ টিপ করে জল পরতে থাকে, তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এমনটা হলে বুঝতে হবে আপনার প্রচুর পরিমাণ টাকা খরচ হতে চলেছে। আর খরচ যখন বেশি হয়, তখন পকেট টাকায় ভরে উঠতে যে অনেক সময় লেগে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। এই কারণেই তো কলের থেকে টিপ টিপ করে জল পরতে দেখলে সময় নষ্ট না করে তা সারাই করে নেওয়াই ভাল!
৫. ভাঙা কাঁচ:
কাঁচ ভেঙে যাওয়াকে অশুভ ঘটনা হিসেবে তো বিবেচিত করা হয়েই থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ির অন্দরে কোথাও ভাঙা কাঁচ থাকাও কিন্তু বিপদের লক্ষণ হিসেবে মানা হয়। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, গৃহস্থের অন্দরে কোথাও ভাঙা কাঁচ থাকলে নেগেটিভ এনার্জির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে নানা কারণে জলের মতো টাকা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে পকেট খালি হয়ে যেতে কিন্তু সময় লাগে না।