Just In
- 13 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 17 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 19 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 22 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
Don't Miss
শীতের সময় বাচ্চাকে রোগমুক্ত রাখতে এই খাবারগুলি খাওয়ান!
শীতকালে নানান রোগে ভোগার সম্ভাবনা বেশি থাকে, বিশেষত বাচ্চাদের। তাই এই মরসুমে বাচ্চাদের অতিরিক্ত যত্ন নিতে হয়। সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, ইত্যাদি শীতকালের খুব সাধারণ অসুখ। বাচ্চাকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন এনিয়ে সব বাবা-মায়েরই চিন্তা থাকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শীতকালে প্রত্যেকের শরীরে বিশেষ করে শিশুদের এনার্জির দরকার হয় বেশি। এই এনার্জি শরীরকে ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়ার শক্তি দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই এমন খাবার বাচ্চাকে দিতে হবে যা এনার্জি যোগাবে। তাহলে দেখে নিন ঠান্ডায় বাচ্চাকে কী খাবার দেওয়া উচিত।
১) ভেজিটেবিল প্রোটিন
প্রোটিন সমৃদ্ধ শীতকালীন শাকসবজি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। শীতের বেশির ভাগ সবজিতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যেগুলো বাচ্চাকে ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লু থেকে বাঁচাবে এবং শরীরকে গরম রাখবে। বাচ্চাকে যে সমস্ত সবজি খাওয়াবেন - বিট, কড়াইশুঁটি, মূলো, গাজর, পালং শাক, বিনস, মুসুর ডাল (সিদ্ধ), ইত্যাদি।
২) ভিটামিন সি
শীতকালে হাঁপানি, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা অনেক শিশুরই হয়। এই সমস্যা মেটাতে পারে ভিটামিন সি। তাই শীতকালে শিশুকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া উচিত। গবেষণা অনুযায়ী, শীতকালীন ফল ও শাকসবজিতে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। দেখে নিন এই শীতে আপনার বাচ্চাকে ভিটামিন সি-তে ভরপুর কোন খাবারগুলি দেবেন - কমলালেবু, পালং শাক, আলু, ব্রকোলি, কিউই, বেরি, ইত্যাদি।
৩) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
শীতে সব বাচ্চারই স্কিন খুব ড্রাই হয়ে যায়, বাচ্চাদের স্কিন যেহেতু নরম হয় তাই স্কিন ড্রাই হয়ে গেলে ফাটতে শুরু করে। বাচ্চার স্কিনের সমস্যা দূর করবে ওমেগ -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান বাচ্চার চুল পড়ার সমস্যাও রোধ করে। এছাড়া শিশুর ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি, হাঁপানির সমস্যাও দূর হবে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ালে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ থাবার হল - স্যালমন, টুনা, উদ্ভিজ্জ তেল, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্সসিড, ব্রাসেল স্প্রাউটস, ইত্যাদি।
৪) বাদাম
যেকোনও ধরনের বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর শিশুর জন্য। বাদামে ফেনোলিক যৌগ, হাই-কোয়ালিটি প্রোটিন, এবং ফাইবার রয়েছে যা প্রদাহ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ক্যান্সার এবং অন্যান্য অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। শীতকালে খিদে বেশি পায়, বাচ্চাকে বাদাম দিলে ওজন বাড়তে দেয় না। শরীরকে গরম রাখতেও সাহায্য করে বাদাম। যে বাদামগুলি শিশুকে খাওয়াতে পারেন - আখরোট, পিস্তা, কাজু, আমন্ড এবং ব্রাজিলিয়ান নাট, ইত্যাদি।
তবে অনেক বাচ্চার বাদামে এলার্জি থাকে, তাদের বাদাম থেকে দূরে রাখুন।
৫) ফাইবার
ফাইবার জাতীয় খাবার শিশুর শরীরে ক্যালোরির ভারসাম্য রক্ষা করে। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ঠাণ্ডা এবং ফ্লু থেকে বাচ্চার শরীরকে বাঁচাবে। বেশ কিছু সবজি ও ফলে ফাইবার থাকে। দেখে নিন সেগুলি - উইন্টার স্কোয়াশ, বেদানা, নাশপাতি, মিষ্টি আলু, পেঁয়াজ এবং বাজরা, ইত্যাদি।
শীতকালে নানারকম মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এই ধরনের খাবার বাচ্চার ক্ষতি করতে পারে। ছোট্ট বাচ্চাটির যত্ন নিতে জেনে নিন কোন খাবার থেকে তাকে দূরে রাখবেন।
ক) দুগ্ধ জাতীয় পণ্য
দুধ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়, তবে শীতকালে দুগ্ধ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কফের সমস্যা দেখা দেবে। যদি বাচ্চার কফ থেকে থাকে তাহলে দ্রুত সেটা বসে যাবে দুধের জিনিস বেশি খেলে। এর ফলে বাচ্চার গলা জ্বালা করতে পারে এবং অস্বস্তির কারণ হবে। দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন - দুধ, দই, মাখন, চিজ থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখুন।
খ) মিষ্টি জাতীয় খাবার
ক্যান্ডি, চকোলেট, আইসক্রিম বাচ্চার জন্য কোনও সময়ই ভালো নয়। শীতকালে বাচ্চা এগুলো খেলে তার বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে। ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিতে পারে ছোট বয়সেই।
গ) ভাজাভুজি
তেল বেশি খেলে বাচ্চার শরীরের ক্ষতি হয়। ভাজা খাবারে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং ক্যালোরি, যা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেবে। স্থূলতা, হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেবে আপনার শিশুর। তাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন স্ট্রিপস, ফ্রায়েড চিজ, ফিশ ফ্রাই, আলু চিপস বাচ্চাকে ভুলেও দেবেন না।