Just In
(ছবি) জেনে নিন আজকের হাইস্পিড যুগে আনন্দে থাকার ১০ টি সেরা উপায়
শুধুমাত্র টাকা দিয়ে সবকিছু কেনা যায় না। আনন্দ বা সুখ তো নয়ই। আর এটা প্রমাণিত সত্য।
চিকিৎসকদের মতে, হাসিখুশি থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষ্যে অত্যন্ত আবশ্যক। শরীরের নানা ব্যামো নিমেষে কমিয়ে দিতে পারে আপনার মুখের একচিলতে হাসি আর মনে প্রশান্তি। কারণ মন আনন্দে থাকলে শরীরের স্ট্রেস হরমোনগুলি বেরিয়ে যায়। যা আপনাকে স্ট্রেস ফ্রি রাখে।
প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতির উপর আনন্দে বা দুঃখে থাকাটা নির্ভর করে। দেখে নিন কোনও জিনিসের উপর আপনার খুশি নির্ভর করবে অর্থাৎ কী কী জিনিস আপনাকে খুশি থাকতে সাহায্য করবে।
অন্ধকারে বসবেন না
যদি আপনি অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন তবে এখুনি এই অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। কিছুদিন এই অভ্যাস করলেই হাতেনাতে ফল পাবেন।
চকোলেট খান
শিশু ও মহিলাদের কাছে চকোলেট বড়ই প্রিয় জিনিস। চিকিৎসকেরা বলছেন, খুশি থাকতে আমাদের সকলেরই কমবেশি চকোলেট খাওয়া উচিত। তবে বেশি পরিমাণে অবশ্যই খাবেন না।
মশলাদার খাবার খান
যখন আমরা মশলাদার, ঝাল খাবার খাই তখন শরীরে উত্তেজনা তৈরি হয়। তা থেকে আমাদের বাঁচাতে মস্তিষ্ক একইরকমভাবে এন্ডোরফিন্স নামে রাসায়নিক নিঃসৃত করে যা আমাদের খুশি করে।
সূর্যের আলোয় বেরোন
সকালে ১৫-২০ মিনিট সূর্যের আলো গায়ে মাখলে আপনার মুড আপনা থেকেই ভালো হয়ে যায়। এছাড়া সূর্যের আলোয় থাকলে ত্বকে ভিটামিন ডি প্রবেশ করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সবসময় কাজে ডুবে থাকবেন না
সবসময় কাজে ডুবে থাকলে তা যেমন আপনার শরীরকে ক্লান্ত করে দেবে, তেমনই মানসিকভাবেও আপনাকে পিছিয়ে দেবে। ফলে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ব্য়ালান্স রাখা অত্যন্ত জরুরি।
বেশিক্ষণ বাড়ির ভিতরে থাকবেন না
খোলা হাওয়া প্রাণ ভরে শ্বাস নিন। মনের খারাপ লাগাগুলি অনেক কমে যাবে। ঘরে গুমড়ে থাকার চেয়ে বাইরে বেরিয়ে একটু খোলা হাওয়ায় ঘুরে আসুন।
ভালো করে ঘুমান
শরীর হোক বা মুড, সুস্থ থাকতে পরিমিত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে রাতের পরিমিত ঘুম আপনার মুড ঠিক রাখবে, খুশি থাকবেন আপনি।
হাসি লেগে থাকুন ঠোঁটে
আপনার যদি হাসতে ইচ্ছে নাও করে তাহলেও জোর করে হেসে নিতে পারেন। যেমন যোগা ক্লাসে হাসির আলাদা অনুশীলন হয়। হাসলে মস্তিষ্কে সঙ্কেত পৌঁছয় যে সবকিছু ঠিক রয়েছে। এবং মস্তিষ্ক এন্ডোরফিন্স নামে রাসায়নিক নিঃসৃত করে যা আমাদের খুশি করে।
রাগ চেপে রাখবেন না
রেগে যাওয়া একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার। রেগে গেলে তা প্রকাশ করে ফেলুন। চেপে রাখলে তা আপনার শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অযথা চিন্তা করবেন না
যদি কোনও বিষয় নিয়ে অযথা চিন্তা করা আপনার স্বভাব হয় তাহলে এখুনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসুন, ভালো থাকবেন।