Just In
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২০ : বিষণ্ণতায় ভুগছেন? এই প্রাকৃতিক প্রতিষেধক থেকে পেতে পারেন মুক্তি
আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় 'বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস'। আপনি কি জানেন, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন মানুষ বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনে ভোগেন? যতদিন যাচ্ছে ততই এই সংখ্যাটি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে! ডিপ্রেশন হল একটি সাধারণ কিন্তু সিরিয়াস মানসিক ব্যাধি এবং এর লক্ষণ হল - কোনও ব্যক্তির যেকোনও কাজে আগ্রহ এবং আনন্দ হ্রাস করা, অস্থিরতা বোধ, শক্তি হ্রাস হওয়া, বিরক্তি, ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া, খিদে কমে যাওয়া, আত্মহত্যার প্রবণতা থাকা এবং নিজেকে অযোগ্য মনে হওয়া ইত্যাদি। এটি যেকোনও বয়সের মানুষের মধ্যেই হতে পারে।
২০১৭ সালে ভারতে হতাশা এবং দুশ্চিন্তা সর্বাধিক সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল। সৌভাগ্যক্রমে, মানুষ এখন মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বুঝতে এবং কথা বলতে শুরু করেছে, কিন্তু এ নিয়ে এখনও দীর্ঘ পথ যাওয়ার আছে। এই রোগ থেকে সুস্থ করার জন্য কিছু ঔষধ আছে যেগুলি এই অবস্থার লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধগুলি মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা এবং নিউরোট্রান্সমিটার ঠিক করে, যেগুলি মেজাজ এবং আচরণের জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন : কিডনিতে পাথর? দূর করুন ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলির সাহায্যে
কিছু নির্দিষ্ট খাবার, ভেষজ ও খনিজ রয়েছে যা, প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলির চিকিৎসা করতে পারে। ক্লিনিকাল সহায়তা ছাড়াও, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা এই প্রাকৃতিক উপায়গুলি থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। এখানে চারটি প্রাকৃতিক প্রতিষেধকদের তালিকা দেওয়া হল, দেখে নিন সেগুলি -
১) ফোলেট
৫০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। ফোলেটের মাত্রা বাড়ানোর একটি সহজ উপায় হল প্রতিদিন ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। ফোলেট সমৃদ্ধ খাবারের কয়েকটি উদাহরণ হল - বিনস্, মসুর, বেশি পাতাযুক্ত সতেজ শাকসবজি, সূর্যমুখী বীজ, অ্যাভোকাডো, ইত্যাদি।
২) জিঙ্ক
পুষ্টি সমৃদ্ধ জিঙ্ক জ্ঞান এবং আচরণের মতো মানসিক কার্যগুলির সঙ্গে যুক্ত। জৈবিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, রক্তে নিম্ন স্তরের জিঙ্ক উদ্বেগ এবং হতাশার অন্যতম কারণ।
নিউট্রিশন নিউরোসায়েন্স অনুসারে, ১২ সপ্তাহে প্রতিদিন ২৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক গ্রহণ হতাশার লক্ষণগুলি হ্রাস করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত জিঙ্ক গ্রহণের ফলে শরীরে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণও বাড়তে পারে।
৩) জাফরান
কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, জাফরান মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা করতে এবং এই জাতীয় ব্যাধিগুলির ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। তবে, হতাশা বা উদ্বেগের চিকিৎসায় জাফরান কতটা কার্যকর তা নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণা করা দরকার। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জাফরান অন্তর্ভুক্ত করার আগে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে, কারণ এটি খুব বেশি খাওয়ার ফলেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে।
রান্না করতে গিয়ে ত্বক পুড়ে গিয়েছে? জেনে নিন কিছু ঘরোয়া সমাধান
৪) ল্যাভেন্ডার
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল স্ট্রেস এবং উদ্বেগ হ্রাসের সাথে যুক্ত। এটি উদ্বেগ এবং হতাশার লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। ল্যাভেন্ডার তেলের ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।