Just In
লঙ্কা হাতটা চোখে ঘষে দিয়েছেন? অসহ্য জ্বালা কমাতে ভরসা রাখুন এই ৪ ঘরোয়া উপায়ে
অনেক সময় আমরা লঙ্কা ব্যবহারের পর সেই হাতটা ভুলবশত চোখে দিয়ে ফেলি কিংবা লঙ্কা কাটার সময় লঙ্কার বীজ ছিটকে চোখে চলে যায়, যে কারণে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা ও চুলকানি হতে শুরু করে। অসহ্য জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে আমরা প্রথমেই চোখে ঠাণ্ডা জলের ছিটে দিই। কিন্তু তারপরেও রেহাই মেলে না, বরং জ্বালা ক্রমাগত হতেই থাকে। চোখ খুলতেও সমস্যা হয়।
তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ের সাহায্যে আপনি এই সমস্যা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপায়ে লঙ্কার হাত থেকে নিস্তার মিলতে পারে।
দুধ ব্যবহার করুন
দুধ, লঙ্কায় উপস্থিত ক্যাপসাইসিন-কে (যার কারণে জ্বালা হয়) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ লঙ্কায় তেল থাকে, আর দুধ সেই তেলকে ধুয়ে দিতে পারে। তাই চোখে লঙ্কা পড়লে ঘন ঘন দুধ দিয়ে আপনার চোখ ধুতে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত স্বস্তি মিলছে।
জল
আপনার কাছে যদি অন্য কোনও বিকল্প উপলব্ধ না থাকে, তবে ঠান্ডা জল দিয়ে আপনার চোখ ধোওয়ার চেষ্টা করুন। লঙ্কার রস তেল ভিত্তিক তরল হওয়ায়, সহজে ধোয় না। আপনি সিঙ্কে গিয়ে ঠান্ডা জল ধীরে ধীরে চোখের মধ্যে দিতে পারেন বা এক বাটি ঠান্ডা জল নিয়ে তাতে আপনার চোখ ডুবিয়ে খুলতে পারেন। প্রথমে চোখ খুলতে অসুবিধা হবে, তাই চোখ পিটপিট করার চেষ্টা করুন, যাতে চোখের জলের মাধ্যমে লঙ্কার রস বেরিয়ে যায়।
ড্রাই আইজ-এর সমস্যা? এই ৭ ঘরোয়া উপায়েই মিলতে পারে স্বস্তি, দেখুন কী করবেন
তোয়ালে
যদি ক্রমাগত জ্বালাপোড়া করতে থাকে, তাহলে আপনার চোখের উপর ঠান্ডা ভেজা তোয়ালে দিয়ে রাখুন, যতক্ষণ না ব্যথা কমে বা ফোলাভাব চলে যায়।
লঙ্কা ব্যবহার করার সাথে সাথে হাত ধোওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লঙ্কার রসে থাকা তেলকে কেবলমাত্র জল ধুয়ে ফেলতে পারে না, তাই আপনার হাত থেকে লঙ্কার রস দূর করতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
খাঁটি ঘি
চোখের জ্বালাপোড়া দূর করা যায় খাঁটি ঘি ব্যবহারের মাধ্যমে। অল্প তুলোর মধ্যে কয়েক ফোঁটা ঠাণ্ডা জল এবং কয়েক ফোঁটা ঘি মিশিয়ে সেই তুলা চোখের ওপর কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।