For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার এবং ক্যান্সারের মতো রোগকে যদি দূরে রাখতে হয় তাহলে বাদাম খাওয়া মাস্ট!

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নানাবিধ ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধি এই প্রকৃতিক উপাদানটি একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষত...

|

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নানাবিধ ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধি এই প্রকৃতিক উপাদানটি একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষত হার্টের রোগে, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার এবং ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে, যা গত কয়েক দশকে মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এ দেশে, দূরে রাখতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, ইয়েল ইউনির্ভাসিটি ক্যান্সার সেন্টারের গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই নয়, যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে ভুগছেন, তাদের শরীরেও নতুন করে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

প্রসঙ্গত, আজ থেকে প্রায় ৩০০০-২০০০ বিসি আগে জর্ডনের বাসিন্দারা প্রথম বাদাম খাওয়া শুরু করেন। আর আজ তো এর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। আর কেন হবে নাই বা বলুন! একধিক মারণ রোগকে দূরে রাখতে বাদামের যেমন কোনও বিকল্প হয় না, তেমনি প্রতিদিন যদি এক বাটি করে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তাহলে আরও একাধিক উপকার মেলে। যেমন ধরুন...

১. হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

১. হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

বাদামে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হাড়ের ক্ষমতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু বুড়ো বয়সে যদি অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে বাদামকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!

২. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

২. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাদামে উপস্থিত রাইবোফ্লেভিন এবং এল-কার্নেটাইন নমক দুটি উপাদান ব্রেন সেলের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার যখন ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়, তখন মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে পাঁচটি বাদাম জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে বাদামগুলি খান। এইভাবে প্রতিদিন যদি জলে ভেজা বাদাম খেতে পারেন, তাহলে এক্ষেত্রে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া মেলে।

৩. এনার্জির চাহিদা মেটে:

৩. এনার্জির চাহিদা মেটে:

শরীরের সচলতা বৃদ্ধি পাক, এমনটা যদি চান, তাহলে নিয়মিত এক বাটি করে বাদাম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলতে সময় লাগবে না। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, রাইবোফ্লেভিন এবং কপার এনার্জির ঘাটতি দূর করে সার্বিকবাবে শরীরের সচলতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু এবার থেকে যখনই বেজায় ক্লান্ত লাগবে, তখনই অল্প করে বাদাম খেয়ে নেবেন, দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে!

৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে:

৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে:

শুধু ডায়াবেটিস নয়, বাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে শরীরে এই খনিজটির ঘাটতি দেখা দিলে অল্প সময়ের মধ্যেই ব্লাড প্রেসার মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আর বেশি দিন যদি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তাহলে হঠাৎ করে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই দেহে যাতে কোনও সময় ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন।

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়:

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়:

এটি হল এমন একটি উপাদান যা ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও নানা উপকারে লেগে থাকে। যেমন, অ্যাক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে কোষেদের ক্ষত রোধ করে, সেই সঙ্গে ত্বকের এবং শরীরের বয়স কমাতেও সাহায্য করে থাকে।

৬.ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে:

৬.ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে:

বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই কারণেই তো ডায়াবেটিকদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৫-৩৮ শতাংশ কমে যায়। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় থাকতে বাদামকে কাজে লাগাতে শুরু করে দিন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৭. কোষেদের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে:

৭. কোষেদের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে:

বাদামে উপস্থিত প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই শরীরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে থাকা কোষেদের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীরে যাতে কোনও ভাবে ক্ষতের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে বয়স বাড়লেও শরীরের উপর তার কোনও প্রভাব পরে না।

৮. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৮. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত জলে ভেজানো কাজুবাদাম খেলে দেহের অন্দরে বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও কমে যায়। এবার বুঝেছেন তো খাদ্যরসিক বাঙালি, আমাদের কেন প্রতিদিন একমুঠো করে বাদাম খাওয়া উচিত!

৯. ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়:

৯. ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়:

নিয়মিত বাদাম খাওয়া শুরু করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে থাকে। ফলে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে থাকতে বাধ্য় হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও নানা উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন, অ্যাক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে কোষেদের ক্ষত রোধ করে, সেই সঙ্গে ত্বকের এবং শরীরের বয়স কমাতেও এই উপাদানটি সাহায্য করে থাকে।

১০. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

১০. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

বাদাম খাওয়ার পর ক্ষিদে একেবারে কমে যায়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও কমে।

১১. রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে:

১১. রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে:

গত কয়েক দশকের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখতে পাবেন কীভাবে অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পয়েছে। তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকাটা জরুরি। শরীরে যাতে কোনও ভাবেই বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিনের ডায়েটে বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটান, তাহলেই দেখবেন হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না। আসলে বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান শরীরে অন্দরে ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।

১২. পুষ্টির ঘাটতি মেটে:

১২. পুষ্টির ঘাটতি মেটে:

এই প্রকৃতিক উপাদনটির শরীরে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সবকটি উপাদানই শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ প্রয়োজনে লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো একাধিক ক্রনিক রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানগুলি সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে। ফলে এই খাবারটি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

What Are the Benefits of Eating Almonds Daily?

Almonds are packed with vitamins, minerals, protein, and fiber, and are associated with a number of health benefits. Just a handful of almonds, approximately 1 ounce — contain one-eighth of our daily protein needs.
X
Desktop Bottom Promotion