Just In
মাথাব্যাথা কমাতে এই ব্যতিক্রমী প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
জানতে চান কোন পেইনকিলার না খেয়ে, কিভাবে মাথা ব্যাথার থেকে নিস্তার পাবেন? জানতে চাইলে পড়ুন। নিচে আমরা মাথাব্যাথা কমাতে কিছু ব্যতিক্রমী প্রতিকারের লিস্ট দিয়েছি।
যদি আপনি সেই ব্যক্তি হয়ে থাকেন, যার মাথা ব্যাথার প্রবণতা রয়েছে তবে আপনি জানবেন এটি কতোটা অস্বস্তিকর ও ক্লান্তিকর হতে পারে, তাইতো? যাইহোক, চিন্তা করবেন না, এমন কিছু ব্যতিক্রমী প্রতিকার রয়েছে যা আপনাকে এই মাথাব্যাথা থেকে নিস্তার দেবে! শেষ সীমা পর্যন্ত একজন মানুষকে পর্যুদস্ত করতে, অনেক রকমের ব্যাথার মধ্যে মাথাব্যাথাকেই সবথেকে খারাপ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে! কিছুকিছু মানুষের ক্ষেত্রে মাথাব্যাথা এমন আকার নেয়, যে সেই ব্যক্তি চোখ পর্যন্ত খুলতে পারেন না এবং কোন কাজই স্বাভাবিকভাবে করতে পারেন না, ফলে তার দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
মাথাব্যাথার অনেক রকম কারণই রয়েছে, আবার অনেকক্ষেত্রে এর কোন কারণই খুঁজে পাওয়া যায়না। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সাইনাসিটিস, ক্লান্তি, সঠিক পুষ্টির অভাব, মানসিক চাপ বা ধকল, কম্পিউটারের সামনে বেশি সময় কাটানো, বিষণ্নতা, অত্যাধিক উদ্বেগ ইত্যাদি নানান কারণে মাথাব্যাথা হতে পারে। মাথাব্যাথা হলেই, পেইনকিলার খেয়ে নেওয়া, আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাই মাথাব্যাথা থেকে নিস্তার পেতে এখানে কিছু ব্যাতক্রমী অথচ কার্যকরী প্রতিকার দেওয়া হল। আসুন একবার দেখে নেওয়া যাক।
১. মেডিটেশন বা ধ্যানঃ
বেশিরভাগ মাথাব্যাথা স্ট্রেস অর্থাৎ মানসিক চাপের বা ধকলের কারণেই হয়ে থাকে। তাই প্রফেশনালরা বলেন, মেডিটেশন বা ধ্যান স্ট্রেস কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে আর তাই মেডিটেশনের দ্বারা স্ট্রেস জনিত মাথাব্যাথাও কম করা যায়।
২. শ্বাস-প্রাশ্বাস কৌশলঃ
মাথাব্যাথা কমাতে একটা প্রাকৃতিক প্রতিকার হল, নিজে তত্ত্বানুসন্ধান করে বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ শ্বাস-প্রাশ্বাস কৌশল আয়প্ত করা। সাইনাস জনিত মাথাব্যাথা নিরাময়ে এই শ্বাস-প্রাশ্বাস কৌশল খুবই উপকারী।
৩. মাসাজ থেরাপিঃ
মাসাজ বা মালিশ রক্ত সঞ্চালন বারিয়ে দেয়, তাই প্রতিদিন মাথার মাসাজ বা মালিস ঐ অঞ্চলের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
৪. ঠান্ডা-গরম সেঁকঃ
এই নাছোড়বান্দা মাথাব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে আরেকটি সাধারণ উপায় হল, অন্তত ১৫ মিনিট ধরে কপালে একবার ঠান্ডা একবার গরম জলের সেঁক দেওয়া। এর ফলে প্রদাহ দূর হয়ে মাথাব্যাথা প্রশমিত হয়।
৫. স্বাস্থ্যকর খাবারঃ
মাথাব্যাথা কমাতে সঠিক খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাথাব্যাথাকে আরো খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে এমন খাবার নির্দিষ্টভাবে এড়িয়ে চলুন এবং কখনোই কোন বেলার খাবার বাদ দেবেন না।
৬. পিপারমেন্ট ওয়েলঃ
মাথাব্যাথা থেকে রেহাই পেতে আরেকটি ঘরোয়া প্রতিকার হল, ঐ জায়গায় পিপারমেন্ট ওয়েল লাগান। এটি প্রদাহ কমাতে সক্ষম এমন উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ায়, মাথাব্যাথাও কমাতে পারে।
৭. বোটক্সঃ
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন! এই কসমেটিক প্রক্রিয়া, কপালের ভাঁজ দূর করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তেমনি একটি বিবেচ্য সীমা পর্যন্ত এটি, মাইগ্রেন সম্বন্ধীয় মাথাব্যাথা কমাতেও সক্ষম।