Just In
ওভারিয়ান সিস্টের জন্য এই ৮টি ঘরোয়া প্রতিকার ট্রাই করুন
একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, অধিকাংশ নারীই তাদের জীবদ্দশায় অন্তত একবারের জন্য হলেও ওভারিতে সিস্ট এর গঠন নিয়ে ভুগতে বাধ্য। সিস্ট, ডিম্বকোষ বা ওভারিতে গঠিত, একধরণের তরলপূর্ন থলি ছাড়া আর কিছুই না।
প্রায়শই, উপসর্গ বিহীন, চিকিৎসা করা যায় এমন এই অবস্থাটির এক মাসের মধ্যেই মীমাংসা সম্ভব হয়ে থাকে। কিন্তু উপসর্গের কমই দেখা যাওয়ার কারণে, সাধারণত এটি উপেক্ষিত হয়ে থাকে। এছাড়াও নিয়মানুযায়ী সিস্টটিকে নিজে থেকেই গলে যেতে হয়, কিন্তু যদি তা না হয়, তবে এই সিস্টের উপস্থিতি নানা ধরণের স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
কিন্তু যেসব মহিলারা ওভারিয়ান সিস্টের উপসর্গের সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তারা তলপেটে ব্যাথা ও আস্বস্তি, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদিতে ভুগে থাকেন। এবং এই পীড়াদায়ক উপসর্গগুলির মোকাবিলা করা খুবই কঠিন হতে পারে।
সৌভাগ্যবশত, কয়েকটি ওষুধ ও কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যেগুলিকে এই সিস্টগুলিকে গলিয়ে দেওয়ার জন্য ও পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য কার্যকর বলে মনে করা হয়।
তাই আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের লিস্ট নিয়ে এসেছি, যা আপনাকে এই অস্বস্তি থেকে পরিত্রাণ দেবে, রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করবে এবং সিস্টকেও গলিয়ে দেবে।
তাই ওভারিয়ান সিস্ট থেকে মুক্তি পেতে এই দারুণ কার্যকরী পারম্পারিক ঘরোয়া প্রতিকারগুলি সম্বন্ধে জানতে পড়তে থাকুন।
১. ক্যাস্টর ওয়েল প্যাক
ক্যাস্টর ওয়েল একটি উচ্চ ক্ষমতাশালী প্রতিকার যেটি রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করার জন্য পরিচিত। এবং এটিই কারণ, যার জন্য ক্যাস্টর ওয়েলকে ওভারিয়ান সিস্টের জন্য জনপ্রিয় প্রতিকার হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ক্যাস্টর ওয়েলে একটি কাপড় ভাল করে ভিজিয়ে নিন এবং আরাম পেতে প্রভাবিত জায়গায় ওপর রেখে দিন।
২. হিটিং প্যাড
ওভারিয়ান সিস্টে ভুগছেন, এমন মহিলাদের মধ্যে হিটিং প্যাড ব্যবহার করা খুবই প্রচলিত। এই সাধারণ কিন্তু শক্তিশালী প্রতিকারটি কার্যকারী ভাবে পেশিরটান থেকে নিস্তার দেয় এবং বিরক্তিকর খিঁচুনিকেও লাঘব করে।
৩. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যেটি ক্ষারীয় ও পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদানের উপস্থিতি, অ্যাপেল সিডার ভিনিগারকে ওভারিয়ান সিস্টকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে। কার্যকর ফল পাওয়ার জন্য এটিকে, ব্ল্যাক স্ট্র্যাপ মোলাসেস বা কালো গুড় (আখ হতে চিনি পরিস্রুত হওয়ার উপজাত) এর সাথে সেবন করুন।
৪. বীট
বীটে, বিটাসায়ানিন নামে একটি বিশেষ উপাদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই উপাদানটি বীটে উপস্থিত ক্ষারীয় এজেন্টের সাথে মিশে একত্রে, সিস্টের কারণে হওয়া খিঁচুনিকে প্রশমিত করতে খুবই কার্যকর বলে পরিচিত।
৫. ক্যামোমাইল টি
সিস্টের কারণে একজন মহিলাকে যে ব্যাথা ও অসুবিধায় ভুগতে হয় তার থেকে নিস্তার দিতে, এক কাপ ক্যামোমাইল টি খুবই কার্যকর। বহু পুরাতন এই কার্যকর প্রতিকার, আরামদায়ক ও যন্ত্রণা প্রশমণকারক এবং একই সাথে পেশীর খিঁচুনি লাঘবকর হিসাবে কাজ করে।
৬. শরীরকে নড়াচড়া করান
ওভারিয়ান সিস্টের যন্ত্রণাদায়ক অবস্থাকে পাশ কাটাতে আরেকটি কার্যকর উপায় হল, মাঝেমাঝেই নিজেদের শরীরকে নড়াচড়া করানো। আপনি হয় ব্যায়াম নাহয় যোগা করতে পারেন। উদ্দেশ্যটা হল, শরীরকে নড়াচড়া করানো যেহেতু সিস্টের কারণে যে ক্র্যাম্প বা খিঁচুনি হয় তা কমাতে, এটি একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন
বেশি পরিমাণে তরল, বিশেষ করে জল বেশি পান করলে তা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শতাব্দি ধরে প্রচলিত এই বিশ্বাসযোগ্য প্রতিকারটি ওভারিয়ন সিস্ট হওয়াকে একটা বিবেচ্য পর্যায় পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
৮. হার্বস বা জড়িবুটি
অনেকেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যার সাথে মোকাবিলা করতে ভেষজ সাপ্লিমেন্ট নিয়ে থাকেন। মিল্ক থিসেল সীড, ব্ল্যাক কোহশ ইত্যাদি জড়িবুটি ওভারিয়ন সিস্টের উপশম করতে পারে এবং নতুন সিস্ট গঠনেও বাঁধা দিতে পারে।