Just In
- 4 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 6 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 6 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 24 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
ইউসেন বোল্ট ফ্যান নাকি? যদি না হন, তাহলে হয়ে যান উপকার পাবেন!
সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে যদি হাল্কা চালে একটু দৌড়ানো যায়, তাহলে সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।
আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে যদি হাল্কা চালে একটু দৌড়ানো যায়, তাহলে সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, ওজন বৃদ্ধি, ব্লাড প্রসোর, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষার সুযোগই পায় না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১. ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটে:
আচ্ছা দৌঁড়ানোর সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটার কী সম্পর্ক? আসলে সকালে দৌঁড়ানোর অভ্যাস করলে সারা শরীরে বহুক্ষণ ধরে সূর্যালোক পরে। ফলে দেহের অন্দরে ভিটামনিন ডি-এর ঘাটতি মিটতে সময় লাগে না। আর আমাদের শরীরকে সচল রাখতে এই ভিটামিনটির গুরুত্ব কতটা, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না।
২. স্ট্রেসের মাত্রা কমে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট করে হালকা চালে দৌঁড়ালে মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যেতে শুরু করে, ফলে দুশ্চিন্তা এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, এবার থেকে যখনই দেখবেন স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন রানিং শুটা পরে ফেলতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে উপকার যে মিলবে সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই!
৩. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে:
সাইকোনমিক বুলেটিন অ্যান্ড রিভিউ পত্রিকায় এই সম্পর্কিত প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস করলে মস্তিষ্কের অন্দরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে ব্রেনের উপর বয়সের ছাপ পরতেই পারে না। সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বাড়ে। এবার বুঝেছেন তো নিয়মিত দৌড়ালে কতটা উপকার পাওয়া যায়।
৪. মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:
মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্স ইন স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে দৌড়ানোর সময় আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে এন্ডোক্যানাবিনয়েডের মতো ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময়ই লাগে না। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদের অবসান ঘটাতেও দৌড়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৫. আর্থ্রাইটিস মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা কারণে আমাদের জয়েন্ট দুর্বল হতে শুরু করে। যে কারণে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে একটা জিনিসই সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারে। কী সেই জিনিস? তেমন কিছু না প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট দৌড়াতে হবে। তাহলেই দেখবেন জেয়েন্টের সচলতা এতটা বেড়ে যাবে যে কোনও ধরনের হাড়ের রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
৬. শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দৌড়ানোর সময় আমাদের শরীরে ইতিউতি জমে থাকা মেদ ঝরতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, দৌড় থামিয়ে দেওয়ার অনেক পর পর্যন্তও এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ফলে ব্যাপক মাত্রায় ওজন কমে। এই কারণেই তো শরীরকে মেদ মুক্ত রাখতে চিকিৎসকেরা নিয়মিত দৌড়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৭. গোড়ালির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
সারা দিন ধরে আমাদের শরীরে উপরের অংশের ভার বহন করে চলে গোড়লি। তাই তো একটা বয়সের পর থেকে গোড়ালির চোট পাওয়ার বা অন্য কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আপনি কি চান এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক? উত্তর যদি না হয়, তাহলে বন্ধু নিয়মিত দৌড়াতে হবে। কারণ দৌড়নোর সময় শরীরের এই বিশেষ অংশে বোন মাস বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে পেশীর কর্মক্ষমতাও বাড়ায়। ফলে গোড়ালির সচলতা এতটা বেড়ে যায় যে একটু বেশি বয়সে গিয়ে গোড়ালি সম্পর্কিত কোনও রোগ হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৮. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে দৌড়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই শরীরচর্চাটি করার সময় দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকেরা এমনটাও বলে থাকেন যে যারা ইতিমধ্যেই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও যদি নিয়মিত কিছু সময় দৌড়াতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার মেলে।