For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ডাক্তারের পিছনে কিলো কিলো টাকা খরচ করতে না চাইলে নিয়মিত এক বাটি করে জাম খেতে ভুলবেন না যেন!

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আকারে ছোট হলেও জামের অন্দরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পুষ্টিকর উপাদান।

|

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আকারে ছোট হলেও জামের অন্দরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পুষ্টিকর উপাদান। সেই সঙ্গে রয়েছে উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ব্রেন পাওয়ার বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে ভাববেন না এখানেই শেষ, এই সুস্বাদু ফলটিকে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে আরও অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়, যেমন ধরুন...

১. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

১. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্থোসায়ানিন এবং ভিটামিন সি একদিকে যেমন "ডি এন এ" এর যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে, তেমনি ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। আর এমনটা যখন হয়, তখন বলিরেখা তো অদৃশ্য হয়ে যায়ই, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

২. দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমে:

২. দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমে:

দেহের অন্দরে সৃষ্টি হওয়া প্রদাহ নানাবিধ রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এই প্রদাহই যদি মাত্রা ছাড়িয়ে হয়ে যায়, তাহলেই কিন্তু বিপদ! কারণ একাধিক গবেষণাতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ক্রনিক ইনফ্লেমেশনের কারণে শরীরে একে একে নানা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। যেমন ধরুন, ক্যান্সার, হার্টের রোগ, ডিপ্রেশন প্রভৃতি। তাহলে এখন প্রশ্ন হল ইনফ্লেমেশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কীভাবে? এক্ষেত্রে জামের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতালে দারুন উপকার পেতে পারেন কিন্তু! কারণ এই ফলটি নিয়মিত খেলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগই পায় না।

৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়:

৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়:

সারা দিন ধরে নানাভাবে নানা ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে থাকে। আর এই বিষেরা যে কোনও ভাবেই আমাদের উপকারে লাগে না, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক ঠিক সময়ে এই সব টক্সিক উপাদানদের যদি শরীর থেকে বের করে দেওয়া না যায়, তাহলে একদিকে দেহের অন্দরে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গদের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই কারণেই তো নিয়মিত জাম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, টক্সিক উপাদানদের খুঁজে খুঁজে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, চিনা গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে জামের অন্দরে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফেনলস, প্লেবোনয়েড এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা নানাভাবে শরীরের দেখভালে কাজে লেগে থাকে।

৪. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

৪. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

জামের অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন কে। প্রসঙ্গত, এই সবকটি উপাদানই হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, বোন ডেনসিটি বাড়াতে এবং বিভিন্ন ধরনের হাড়ের রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, বুড়ো বয়সে যদি নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে প্রতিদিন এক বাটি করে জাম খেতে ভুলবেন না যেন!

৫. ওজন কমে:

৫. ওজন কমে:

আমাদের পাঠক বন্ধুদের মধ্যে যারা নতুন বছরে ওজন কমাতে বেজায় বদ্ধপরিকর, তারা আজ থেকেই এক বাটি করে জাম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অতিরিক্ত ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগবে না। কারণ এই ফলটির অন্দরে রয়েছে প্রায় ৩.৬ গ্রাম ফাইবার, যা অনেকক্ষণ ধরে পেটকে ভরিয়ে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। আর খাবার কম খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশের আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, জামের অন্দরে ক্যালরির মাত্রা একেবারে কম থাকে। তাই তো এই ফলটি খেলে এমনিতেও ওজন বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা থাকে না।

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

হে ভোজনরসিক বাঙালি বছর শেষে এমন ব্যাটিং করেছেন যে বদ-হজম আর গ্যাস-অম্বল ঘারে চেপে বসেছে? তাহলে তো বন্ধু আজ থেকেই জাম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। কারণ এমনটা করলে শরীরের অন্দরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. ব্রেন পাওয়া বৃদ্ধি পায়:

৭. ব্রেন পাওয়া বৃদ্ধি পায়:

জীবনে সফল হতে গেলে বুদ্ধির ধার বাড়ানো ছাড়া আর কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। এই কারণেও কিন্তু প্রতিদিন জাম খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু জাম খাওয়ার সঙ্গে বুদ্ধি বাড়া-কমার কী সম্পর্ক? ২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে জামের অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, টক্সিক উপাদানের হাত থেকে ব্রেনকে রক্ষা করে। ফলে বয়স বাড়লেও তার ছাপ পরে না মস্তিষ্কের উপর। সেই সঙ্গে কগনেটিভ পাওয়ার বেড়ে যাওয়ার কারণে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তিও বাড়তে শুরু করে। এই কারণেই তো জামকে চিকিৎসকেরা "ব্রেন ফুড" নামে ডেকে থাকেন।

৮. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:

৮. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:

গত এক দশকের পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারবেন আমাদের দেশে কিভাবে কম বয়সিদের মধ্যে হার্টের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জাম খাওয়ার প্রয়োজন যে আরও বেড়েছে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন ব্লাড প্রেসারকে স্বাভাবিক রাখে, তেমনি রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, সার্বিকভাবে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও জাম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হার্টকে যদি দীর্ঘদিন চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে ভুলেও জমের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলে চলবে না কিন্তু!

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Top 8 Health Benefits Of Blueberries

Blueberries are packed with antioxidants and phytonutrients which have powerful health benefits. These include the ability to strengthen bones, reduce acne, lower blood pressure, control diabetes, and improve heart health. Considered a superfood, blueberries can also help prevent cancer, improve brain health, promote weight loss, and soothe inflammation.
Story first published: Wednesday, June 6, 2018, 16:50 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion