Just In
- 8 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 9 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 12 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 14 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
দুটো সিঁড়ি ভেঙেই হাঁপিয়ে যান নাকি? তাহলে তো এই খাবারগুলি খেতেই হবে!
কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি, সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে একাধিক রোগের প্রকোপ থেকেও শরীর রক্ষা পায়।
ক্লান্তি। এই দুটি শব্দের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের গভীরতা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে দু মিনিট হাঁটতে না হাঁটতেই জিভ যাচ্ছে বেরিয়ে। জামা যাচ্ছে ঘামে ভিজে। "উফফ একটু দাঁড়িয়ে গেলে হয় না!" এমন উক্তি শোনা এখন যেন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ক্লান্তি থেকে যে বাঁচতে হবে, না হলে যে বেজায় বিপদ! কিন্তু উপায়!
এমন ভবনায় কী আপনাদের মাথাতেও আসেন? তাহলে এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখতে পারেন। এমনটা করলে দিনের শেষে শরীরের ব্যাটারিকে যে আর এমার্জেন্সি মোডে ফেলতে হবে না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি। কারণ এই লেখায় সহজলোভ্য বেশ কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত খেলে এনার্জি প্রায় আকাশ ছোঁবে, ফলে ক্লান্তি যাবে পালিয়ে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি হেলথ রিপোর্ট অনুসারে ৫ জন ভারতীয়ের মধ্যে কম করে ১ জন ক্রনিক ক্লান্তির শিকার এবং সবথেকে ভয়ের বিষয় হল ২৫-৩০ বছর বয়সিদের মধ্যেও এমন সমস্যা বাড়ছে। তাই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে বন্ধুরা।
এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলি দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে সেগুলি হল...
১. কলা:
পটাশিয়ামে ভরপুর এই ফলটি সকাল বিকাল খেলে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। আসলে পটাশিয়াম শর্করাকে ভেঙে এনার্জির যোগান ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি, সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে একাধিক রোগের প্রকোপ থেকেও শরীর রক্ষা পায়।
২. গ্রিন টি:
অফিস থেকে ফেরা মাত্র ধোঁয়া ওঠা এক পেয়লা গ্রিন টি ক্লান্তি দূর করতে দারুন কাজে আসতে পারে কিন্তু! আসলে এতে উপস্থিত পনিফেনলস, স্ট্রেস কমায়, সেই সঙ্গে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের ঘাটতি মিটিয়ে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরও এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজম শক্তির উন্নতিতেও সাহায্য় করে থাকে। তবে দিনে ২-৩ বার এই পানীয়টি খেতেই হবে। না হলে কিন্তু তেমন একটা সুফল পাবেন না।
৩. কুমড়ো বীজ:
ক্লান্তির সঙ্গে সফলভাবে লড়াই করতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ভিটামিন বি১, বি২, বি৫ এবং বি৬ সমৃদ্ধ এই প্রাকৃতিক খাবারটি খেলে শরীরে প্রাটিনের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ এবং কপারের চাহিদাও পূরণ করে। এই সবকটি উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করার পাশাপাশি শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. ওটমিল:
ক্লান্তি দূর করার মহৌষধি বলা যেতে পারে এই খাবারটিকে। কারণ এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট শরীরের এনার্জির ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে ক্লান্তির প্রশ্নই ওঠে না। এখানেই শেষ নয়, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও ওটমিলে প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি ১-এর মতো উপাদানও থাকে। এগুলিও এনার্জির জোগানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. দই:
প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট হল এনার্জির ঘাটতি দূর করার সবথেকে জরুরি দুটি উপাদান। আর এই উপাদান দুটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে দইয়ে। সেই সঙ্গে এই দুগ্ধজাত দ্রব্যে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া হজমের সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, দিনে মাত্র ১ কাপ করে দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ক্লান্তি চিরতরে ছুটিতে চলে যাবে।