Just In
- 1 hr ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 3 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 4 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 21 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য নিন এই ঘরোয়া উপাদনগুলির
শরীরকে ঠান্ডা রাখতে মিন্ট পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এটি ত্বকের উপরে থাকা ছিদ্রগুলিকে খুলে দেয়। ফলে শরীরের অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।
গরমের সময় শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখাটা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া উপাদানগুলি। প্রসঙ্গত, মাত্রাতিরিক্ত তাপ প্রবাহের কারণে শরীরের অন্দরের তাপমাত্রা বাড়তেই থাকে। এই সময়ে যদি শরীরকে ঠান্ডা করা না যায়, তাহলে হিট স্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই সাবধান!
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে আমাদের হাতের কাছে থাকা বেশ কিছু উপাদানকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক করে তোলা সম্ভব। শুধু তাই নয়, গরমের সময় শরীরকে নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখতেও এই ঘরোয়া উপাদানগুলি দারুন উপকারে লাগে। বিশেষত বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে এগুলি বেশ কাজে আসে। তাই তো গরমকালে নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সুস্থ রাখতে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
শরীরতে ঠান্ডা রাখতে এই উপাদানগুলিকে নানাভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইচ্ছা হলে খাওয়ার সঙ্গে খেতে পারেন অথবা স্নানের জলে মিশিয়েও কাজে লাগাতে পারেন। তাই আর অপেক্ষা কিসের। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেইসব কার্যকরি ঘরোয়া উপাদানগুলির সম্পর্কে।
১. মিন্ট:
শরীরকে ঠান্ডা রাখতে মিন্ট পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এটি ত্বকের উপরে থাকা ছিদ্রগুলিকে খুলে দেয়। ফলে শরীরের অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে গরমের সময় শরীরকে সুস্থ রাখতেও মিন্ট পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. মৌরি:
খাবার খাওয়ার পরে মৌরি তো আমরা সবাই খাই। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এটি দারুন উপকারে লাগে। শুধু তাই নয়, হজম ক্ষমতাও উন্নতিতেও মৌরি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, মৌরিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা শরীরকে ঠান্ডা করপার পাশাপাশি নানাবিধ রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
৩. হলুদ:
এই একটা মশলার উপরকারিতার কথা কখনও বলে শেষ করা যাবে না। তাই তো আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এটির এত কদর। হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামে একটি উপাদান শরীরে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর টক্সিনকে বের করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারকে চাঙ্গা রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বলি, গরমকে ডজন খানেক গোল দিতে আজ থেকেই কাজে লাগিয়ে দিন হলুদকে। দেখবেন হাতে-নাতে উপকার পাবেন।
৪. জিরা:
শরীরকে বিষমুক্ত করতে জিরার কোনও বিকল্প নেই। আসলে শরীরে উপস্থিত একাধিক টক্সিন বা বিষ যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে, শরীর তত সুস্থ থাকতে। একবার ভাবুন তো, একদিকে প্রচন্ড তাপ প্রবাহ। আর অন্যদিকে টক্সিনের ক্ষতিকারণ প্রভাব, এই দুয়ে মিলে শরীরের যে কী অবস্থা করতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো শরীরকে বিষমুক্ত করতে এবং অতিরিক্ত তাপের হাত থেকে বাঁচাতে জিরাকে কাজে লাগানো জরুরি।
৫. সবুজ এলাচ:
গরমকালে প্রতিদিন সকালে এক কাপ করে এলাচ চা খেতে ভুলবেন না। এমনটা করলে তাপ প্রবাহের কোনও প্রভাব যেমন শরীরে পরবে না, তেমনি নানাবিধ রোগও দূরে থাকবে।
৬. ধনিয়া:
সব সময় যে বাইরের তাপের কারণেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে এমন নয় কিন্তু! কিছু সময় আমাদের পিত্তর কারণেও দেহের তাপ বাড়তে পারে। এই ঘরোয়া উপাদানটি সব দিক থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তাই তো গরমের সময় বেশি করে ধনে পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন অয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।
৭. জাফরান:
শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতে নয়, আরও নানা কাজে লাগানো যেতে পারে মূল্যবান এই উপাদানটিকে। যেমন ধরুন, গরমের সময় শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে জাফরানে উপস্থিত বেশ কিছু উপদান শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা করে। ফলে তাপ প্রবাহের কোনও নেতীবাচক প্রভাবই পরতে পারে না শরীরের উপর। প্রসঙ্গত, হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও দারুন কাজে লাগে এটি।
৮. ডিল:
মৌরি জাতীয় এক প্রকার সুগন্ধি লতা হল এটি। গরমকালে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে এটি দারুন কাজে লাগে। আসলে এতে উপস্থিত একাধিক কুলিং এজেন্ট শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে। ফলে গরম কালে শরীর গরম হয়ে গিয়ে নানা ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।