Just In
- 7 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 8 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 12 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 13 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
ক্ষুধামান্দ্য সারাতে ঘরোয়া চিকিৎসা
বদ হজমে ঘরোয়া চিকিৎসা
বদহজম হল অনেকটা পিঁপড়ের মতো। বুঝলেন না তো! জামা-কাপড়ে পিঁপড়ে ঢুকে গেলে কী হয়? বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও আপনি কিন্তু নাচতে থাকেন ভেতর ভেতর। তেমনি বদহজম হলে লোকে অফিস কামাই করে না। দৈনন্দিন জীবনেও কোনও বাঁধা আসে না। কিন্তু ভেতর ভতরে চলতে থাকে আজব এক অস্বস্তি।
পেটের ভেতর গুরগুর, সেই সঙ্গে কেমন যেন মনে হয় খাবার উপরের দিকে উঠে আসছে। এই তো হল বদ হজমের লক্ষণ। এছাড়াও উইন্ড পাস, তলপেটে যন্ত্রণা, পেটের ভিতর জ্বালা করা, বমি এবং টক ঢেকুর ওঠার মতো অসুবিধাগুলিও দেখা দিতে পারে। শুনে রাখুন ঠিক সময়ে যদি এর চিকিৎসা শুরু না করা হয় তাহলে কিন্তু বদ হজম থেকে আরও নানা ধরনের রোগ শরীরে এসে নিজেদের ঘর বাঁধতে পারে। তাই সাবধান!
ডায়েটে অল্প একটু পরিবর্তন করলেই কিন্তু এই ধরনের রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় অনেক ধরনের পেটের রোগও কিন্তু সারতে শুরু করে, যদি খাবারটা ঠিক মতো খাওয়া যায়। ভুলে যাবেন না বেশি ঝাল-মশলা দেওয়া রাস্তার খাবার দিনের পর দিন খেয়ে গেলে কিন্তু এমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। স্ট্রেস আরেকটা কারণ। মানসিক চাপ বাড়লেও কিন্তু পেটের রোগ দেখা দেয়। তাই অফিসে যতই কাজের চাপ থাকুন না কেন, মনকে কিন্তু ভালো রাখতেই হবে। না হলেই বিপদ! আরেকটা বিষয় এক্ষেত্র খুব জরুরি। আজকাল আমরা এত কাজ নিয়ে মেতে থাকি যে খাবার সময় পাই না। আর পেলেও কোনও মতে নাকে-মুখে গুঁজে ছুটি অফিস বা মিটিং-এ। এইভাবে খাবার খাওয়া কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। আসলে ভালো করে চিবিয়ে না খেলে খাবার ভালো করে গুঁড়ো হয় না। ফলে সেগুলি সহজে হজম হতে চায় না। ফলে দেখা দেয় বদহজম। তাই এবার থেকে যাই খান না কেন, একটু আস্তে ধিরে চিবিয়ে খাবেন।
খাবার সময় জল খাওয়াও উচিত নয় একেবারে। আসলে কাবার খাওয়ার সময় আমাদের পেটের মধ্য়ে একটা আগুন জ্বলতে থাকে। সেই আগুনে যেই না খাবার গিয়ে পরে, অমনি হজম হয়ে যায়। খাবার সময় জল খেলে সেই আগুন নিভে যায়। ফলে খাবার হজম হতে চায় না। প্রসঙ্গত, যেসব খাবারে ফাইবার রয়েছে তেমন খাবার বেশি করে খান। আসলে ফাইবার খাবার হজম হতে সাহায্য় করে। তাই বদ হজমের অসুবিধা দেখা গেলেই ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। তাহলেই দেখবেন অস্বস্তি কমতে শিুরু করে দিয়েছে।
এবার এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা বদ হজম কমাতে দারুন কাজে আসে।
১. অ্যালো ভেরার রস:
এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ক্য়ানসারাস উপাদান। তাই তো অ্যালো ভেরার রস খেলে পেটের প্রদাহ কমার সঙ্গে সঙ্গে বদ হজমের অসুবিধাও কমতে শুরু করে।
২. মৌরি:
খাবার পর এক মুঠো মৌরি খেলে দেখবেন আর বদ হজম হচ্ছে না। কারণ এটি হজমের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে হজমের অসুবিধা হওয়ার কোনও সুযোগই থাকে না।
৩.আদা:
বদ হজমে ঠেলায় কাবু? চিন্তা নেই। এক্ষুনি এক গ্লাস গরম গরম আদা চা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন বদ হজমের অসুবিধা কমতে শুরু করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পেট খারাপ এবং মাথা ঘোরা কমাতেও আদা চা দারুন কাজে আসে।
৪. ধনে বীজ:
এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইফ্লেমেটরি উপাদান। তাই বদ হজম কমাতে ধনে বীজ দারুন কাজে আসে।
৫. ফারমেনটেড খাবার:
এইসব খাবারে ভালো ব্য়াকটেরিয়া থাকে, যা খাবার হজম হতে সাহায্য় করে। তাই তো খাবার খাওয়ার পর বাড়িতে পাতা দই খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। দইয়ে হজমে সহায়ক ভালো ব্য়াকটেরিয়া প্রচুর পরিমাণে থাকে।
৬. খাবার সোডা:
এটি অনেকটা অ্যান্টাসিডের মতো কাজ করে। বদ হজম কমাতে অনেকেই অ্যান্টাসিড ট্য়াবলেট খেয়ে থাকেন। এখন থেকে তেমনটা না করে এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো খাবার সোডা মিশিয়ে সেই জল পান করুন। দেখবেন অ্যান্টাসিড ট্য়াবলেটের থেকে বেশি ভালো ফল পাবেন।
৭. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
এই ভিনিগারটিতে অম্লের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে বদ হজম সারাতে দারুন কাজে দেয়। আসলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার অনেকটা অ্যালাকালাইনের কাজ করে এক্ষেত্রে। ফলে বিষে-বিষে বিষক্ষয় হয়ে গিয়ে বদ হজম দ্রুত কমতে শুরু করে।
৮. হার্বাল চা:
দুপুর এবং রাতের খাবারের পর এক কাপ হার্বাল টি পান করার অভ্য়াস করুন। দেখবেন বদ হজম দূরে পালাবে। এক্ষেত্রে পিপারমেন্ট টি এবং ক্যামোমিল টি বেশি কাজে দেয়।
৯. ক্যারাম বীজ:
বদ হজম এবং ডায়ারিয়া কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। আসলে ক্যারাম বীজে এমন কিছু উপাদান আছে যা এই ধরনের রোগের প্রকোপ কমাতে বেশ কার্যকরি।