Just In
- 2 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 4 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 4 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 18 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
এবার একটা মোবাইল অ্যাপের সাহায্যেই ধরা পরে যাবে আপনি অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত কিনা!
আমাদের রাজ্যে বাচ্চা এবং মহিলাদের মধ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ বেড়েছে তাতে এমন অ্যাপের প্রয়োজনও যে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আমাদের রাজ্যে বাচ্চা এবং মহিলাদের মধ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ বেড়েছে তাতে এমন অ্যাপের প্রয়োজনও যে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করা ৫ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই অ্যানিমিয়ার শিকার। শুধু তাই নয়, আরও ভয়ের বিষয় হল মায়েদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ এবং গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে প্রায় ৫৩.২ শতাংশ এই রোগে আক্রান্ত। এবার নিশ্চয় বুঝেতে পেরেছেন আর কয়েক দিনের মধ্যেই লঞ্চ হতে চলা এই অ্যাপটির প্রয়োজন আমাদের রাজ্য়ে কতটা!
বেশ কিছু দিন আগে কয়েকজন বায়োমেডিকাল ইঞ্জিনিয়ার এই অ্যাপটি বানিয়েছেন। আর সবথেকে মজার বিষয় হল কোনও পরীক্ষা ছাড়াই এই অ্যাপটি অ্যানিমিয়ার মতো রোগ, শরীরে বাসা বেঁধে আছে কিনা সে সম্পর্কে বলে দিতে পরবে। তবে তার জন্য অ্যাপটিতে লগ ইন করে নখের ছবি তুলতে হবে মাত্র, তাহলেই কেল্লা ফতে!
এখন প্রশ্ন হল যতদিন না পর্যন্ত অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারছেন, ততদিন কী করবেন? সেক্ষেত্রে এই লেখাটা পড়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কারণ এই লেখায় এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, যা রোজের ডায়েটে জায়গা করে নিলে দেহের অন্দরে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন এতটাই বেড়ে যায় অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূরে পালাতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা হননি, উভয়েরই যে এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলা জরুরি, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই।
প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. কলা:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে হলে রোজের ডায়েটে রাখতেই হলে কলাকে। তবে শুধু কলা খেলে চলবে না। তার সঙ্গে অল্প করে মধু মিশিয়ে যদি খেতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই! কারণ কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন,পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফলেট, যা শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে রক্তের মাত্রা বাড়তে সময় লাগে না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর হয় অল্প দিনেই।
২. মিষ্টি আলু:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মিষ্টি আলু খাওয়া শুরু করলে একদিকে যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তেমনি দেহের অন্দরে আয়রনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যানিমিয়ার মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
৩. তামার পাত্রে জল পান জরুরি:
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে সারা রাত তামার গ্লাসে জল রেখে পরদিন সকালে খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি দূর হয়। ফলে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ সারতে সময় নেয় না। প্রসঙ্গত, নিয়মিত তামার গ্লাসে জল খেলে চুল পরার মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে।
৪. খেজুর:
এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং আয়রন একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, ক্লান্তি দূর করে শরীরকে চনমনে করে তুলতেও খেজুরের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো সুস্থ থাকতে ভারতীয় মহিলাদের প্রতিদিন ২-৩ টে করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাকেন চিকিৎসকেরা।
৫. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:
অ্যানিমিয়ার আক্রান্ত হলে প্রথমেই শরীরে যে ক্ষতিটা হয়, তা হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে দুর্বল হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই তো এই সময় বেশি করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এই ভিটামিনটি শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। সেই সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতিও দূর করে। প্রসঙ্গত, সাইট্রাস ফল যেমন পাতি লেবু, মৌসাম্বি লেবু, কমলা লেবু প্রভৃতিতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি মজুত থাকে। তাই প্রতিদিন এই ফলগুলির কোনওটি খেতেই হবে। আর যদি এমনটা করার সময় না থাকে, তাহলে নিয়মিত লেবু জল পান করলেও চলবে।
৬. সবুজ শাক-সবজি:
পালং শাক, সেলারি, সরষে শাক এবং ব্রকলির মতো সবুজ শাক-সবজিতে মজুত থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা শরীরে লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তাল্পতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. তিল বীজ:
অ্যানিমিয়াকে যুদ্ধে হারাতে হলে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। তাই তো অ্যানিমিকদের রোজের ডায়েটে অবশ্যই রাখতে হবে তীল বীজকে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটির শরীরে প্রচুর মাত্রায় আয়রন মজুত থাকে, যা শরীরে এই খনিজটির ঘাটতি মিটিয়ে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে প্রথমে পরিমাণ মতো তিল বীজ নিয়ে কম করে ২-৩ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সময় হয়ে গেলে বীজগুলি বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে সেই পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
৮. দই এবং হলুদ:
বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ থেকে এমনটা জানতে পারা গেছে যে অ্যানিমিকরা যদি দিনে দুবার, সকালে এবং দুপুরে, অল্প পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে এক বাটি করে দই খেতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার মেলে। আসলে দই এবং হলুদে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর একাধিক পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি মেটাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রোগের প্রকোপ কমে।
৯. বিট রুট এবং বেদানার রস:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বিটরুটের জুস এবং একটা করে অপেল খাওয়া যায়, তাহলে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ দ্রুত কমতে শুরু করে। আসলে বিটরুটে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্যদিকে, বেদানার রসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, কপার এবং পটাশিয়াম। এই সবকটি উপাদান রক্তাঅল্পতা দূর করার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।