Just In
- 15 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 16 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 19 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 21 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
বেশি চিনি খেলে মৃত্যু হবেই! তাহলে উপায়?
বেশি চিনি খেলে মৃত্যু হবেই! তাহলে উপায়?
রান্না ঘরের স্থায়ী সদস্যদের মধ্য়ে চিনির স্থান একেবারে উপরের দিকে। রান্না থেকে পানীয়, কোনও কিছুই যেন চিনি ছাড়া বানানো সম্ভব নয়। তবু বলতে হয়। শরীরকে ভিতর থেকে খারাপ করে দিতেও চিনির কোনও বিকল্প নেই। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে মাত্রাতিরিক্ত হারে চিনি খেলে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, ক্যান্সার এবং হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর এই সবকটিই যে মারণ রোগ, তা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না। তাই বেশি দিন সুস্থভাবে বাঁচতে চিনি খাওয়া কমাতে হবে, একেবারে বর্জন করে দিলে তো কথাই নেই!
নানাভাবে চিনি আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। খিদে পাওয়ার জন্য যে হরমোনটি দায়ি থাকে, তার ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় চিনি। সেই সঙ্গে মেটাবলিজেম বাড়িয়ে দিয়ে ইনসুলের ক্ষরণও বৃদ্ধি করে। ফলে ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও হাজারো রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে শরীরে। কিন্তু প্রশ্ন হল, চিনি ছাড়া যে অনেক রান্নারতেই স্বাদ আসে না, তাহলে উপায়!
একাধিক
ঘরোয়া
উপাদান
রয়েছে
যা
চিনির
বিকল্প
হিসেবে
ব্যবহার
করা
যেতে
পারে।
যেমন...
চলুন
জেনে
নেওয়া
যাক
সেই
সব
ঘরোয়া
পদ্ধিতগুলি
সম্পর্কে,
যেগুলি
চিনির
বিকল্প
হিসাবে
সহজেই
ব্যবহার
করা
যেতে
পারে।
১. মধু:
চিনির বিকল্প হিসাবে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। মিষ্টতার দিক থেকে মধু কোনও অংশেই চিনির থেকে পিছিয়ে নেই। সেই সঙ্গে মধুতে রেয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল, যা শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয় গ্লাইকেমিক ইনডেক্সে চিনির থেকে অনেক নিচে রয়েছে মধু। তাই এটি খেলে শরীরে শকর্রার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
২. খেজুর:
এই ফলটি পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬ এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় আমাদের হজম ক্ষমতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, খেজুরের বিচিটা বার করে নিয়ে তা দিয়ে বানাতে হবে সিরাপটি। খেজুরের এই সিরাপটি চিনির পরিবর্তে যে কোনও খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. নারকেল চিনি:
শুনতে একটু আজব লাগলেও নারকেল দিয়েও কিন্তু বিশেষ এক ধরনের চিনি বানানো সম্ভব। এটি বানাতে হবে নারকেলের ভিতরে সাদা রঙের যে আবরণ থাকে তা দিয়ে। প্রথমে সাদা আংশটা নারকেল থেকে ছাড়িয়ে নিন। তারপর সেটি সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে সেটিকে ঠান্ডা করুন। এটি চিনির পরিবর্ত হিসাবে ব্যবহার করলে স্বাদের ফারাক তো বুঝবেনই না, সেই সঙ্গে শরীরে আয়রণ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রবেশ করার কারণে নানা ধরনের জটিল রোগও দূরে থাকবে।
৪. মেপলে সিরাপ:
মেপলে হল এক ধরনের পাতাবাহার গাছ। এই গাছের রসকে গরম করলে এক সময়ে গিয়ে ঘন একটি তরল পাওয়া যায়। এই তরলটি এতটাই মিষ্টি হয় যে চিনির জায়গা নিতে কোনও সমস্য়াই হবে না। তাছাড়া মেপলে রসের মধ্য়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই সবকটা উপাদানই শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
৫. গুড়:
আখ এবং খেজুরকে পিষে তার রস দিয়ে বানানো গুড়, মিষ্টির দিক থেকে চিনিকেও হার মানাতে পারে। আর সবথেকে মজার কথা হল, এত মিষ্টি থাকার পরেও শরীরের উপর কোন বিরূপ প্রভাব ফেলে না এটি। তাই চিনির পরিবর্তে নিশ্চিন্তে ব্য়বহার করা যেতে পারে গুড়কে। তাছাড়া গুড়ে প্রচুর মাত্রায় খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি নানা রকমের রোগকে শরীরে থেকে দূরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. ব্রাউন রাইস সিরাপ:
লাল চালকে পচালে এক ধরনের রস পাওয়া যায়। সেই রসটিকে গরম করলে তা ঘন হয়ে যায়। এই ঘন রসটি চিনির বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. কলা:
পরিমাণ মতো কলা নিয়ে মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিনি। এই ফলটি মিষ্টি হওয়ার কারণে এর পেস্টটিও খুব মিষ্টি হয়। তাই চিনিকে টাটা-বাইবাই বলে এই ঘরোয়া উপাদানটিও ব্যবহার করতে পারেন। তাতে খাবার মিষ্টিও হবে, আবার শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।