Just In
- 18 min ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 1 hr ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 1 hr ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 16 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
Don't Miss
চটজলদি মরতে না চাইলে আজ থেকেই টুথপেস্ট ব্যবহার বন্ধু করুন!
টুথপেস্ট বানাতে বহুজাতিক কেম্পানিগুলি সোডিয়াম লরেল সালফেট, ফ্লরাইড, ট্রিকোলসাম এবং আর্টিপিসিয়াল সুইটনার-এর মতো উপাদান ব্যবহার করছে, যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।
দাঁতকে বাঁচাতে ব্রাশ করা মাস্ট! এদিকে গবেষণায় যে দেখা গেছে টুথপেস্টে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত বিষ। তাহলে উপায়! এতো সামনে খাদ, পিছনে বাঘ-এর মতো অবস্থা। যেদিকেই যাই না কেন, ক্ষতি হবেই হবে। দাঁতকে বাঁচাতে চাইলে প্রাণ যাবে। আর যদি প্রাণ বাঁচাতে হয়, তাহলে দাঁত অক্কা খাবে।
এই কথাটার মধ্যে সত্যই কোনও ভুল নেই। তাই তো দাঁতকে বাঁচাতে এমন কিছু ঘরোয়া উপায়ের সন্ধান দেওয়া হল এই প্রবন্ধে, যা একদিকে যেমন নিরাপদ, তেমনি ১০০ শতাংশ কার্যকরীও বটে। তাই তো দীর্ধ আয়ু পেতে এবং দাঁতকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে একবার এই প্রবন্ধে নজর ফেরাতেই হবে বন্ধুরা। না হলে কিন্তু...
গত দু দশক ধরে সারা বিশ্বজুড়ে শরীরের উপর টুথপেস্টের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে একাধিক গবেষণা হয়েছে। আর সবকটিতেই একটি বিষয় লক্ষ করা গেছে, টুথপেস্ট বানাতে বহুজাতিক কেম্পানিগুলি সোডিয়াম লরেল সালফেট, ফ্লরাইড, ট্রিকোলসাম এবং আর্টিপিসিয়াল সুইটনার-এর মতো উপাদান ব্যবহার করছে, যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। যেমন সোডিয়াম লরেল সালফেটের কথাই ধরুন না। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক স্টাডি অনুসারে এই উপাদানটি আমাদের স্বাদ গ্রন্থিদের নষ্ট করে দেয়। সেই সঙ্গে স্কিন ইরিটেশন, এমনকী ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, ট্রিকোলসাম এবং আর্টিফিশিয়াল সুইটনারও নানা দিক থেকে শরীরের ক্ষয় ঘটিয়ে থাকে। তাই সাবধান হওয়ার সময় মনে হয় এসে গেছে বন্ধুরা!
বাজার চলতি টুথপেস্টের বিকল্প হিসেবে একাধিক ঘরোয়া উপাদানকে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন ধরুন...
১. বেকিং সোডা:
দাঁতকে ভেতর এবং বাইরে থেকে সুস্থ রাখতে এই উপাদানটি কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ২০০৮ সালে জার্নাল অব ক্লিনিকাল ডেন্টিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে দাঁতকে শক্তপোক্ত করার পাশাপাশি হলুদ ভাব কাটাতে বেকিং সোডা দারুনভাবে কাজে আসে। এক্ষেত্রে ব্রাশটা অল্প করে ভিজিয়ে নিয়ে বেকিং সোডার মধ্যে একটু ঘষে নিয়ে সেই ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজতে শুরু করে দিন। ব্যাস তাহলেই কেল্লাফতে! তবে খেয়াল রাখবেন বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মাজার পর ৩০ মিনিট কোনও খাবার খাওয়া চলবে না।
২.হলুদ:
দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে শতাব্দী প্রচীন এই ভারতীয় মশলাটি দারুন উপকারে লাগে। আর সবথেকে ভাল দিক হল হলুদ শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি, তাই তো দাঁত মাজতে মাজতে যদি একটু হলুদ যদি পেটেও চলে যা, তাহলেও কোনও চিন্তা নেই। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে ব্যবহার করবেন হলুদকে? একটা বাটিতে অল্প করে হলুদ নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা সরষের তেল মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফলুন। তারপর সেটি ব্রাশে লাগিয়ে দাঁত মাজুন। আরেকভাবেও দাঁতের সুরক্ষায় হলুদকে কাজে লাগানো যেতে পারে। কীভাবে? এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন ভাল করে। তারপর সেই জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন। কম করে ৩০ সেকেন্ড জলটা মুখে রেখে ফেলে দিন।
৩. নারকেল তেল:
অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ এই প্রকৃতিক উপাদানটি দাঁতকে পোকা লাগার হাত থেকে যেমন রক্ষা করে, তেমনি মাড়ির স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বহুদিন পর্যন্ত দাঁতকে সুন্দর রাখতে পেস্টের পরিবর্তে নারকেল তেল ব্যবহার করতেই পারেন। এক্ষেত্রে এক চামচ নারকেল তেল মুখে ফেলে কম করে ১৫ মিনিট কুলকুচি করুন। সময় হয়ে গেলে ফেলে দিয়ে পরিষ্কার জল দিয়ে আরেকবার কুলকুচি করে নিন। ব্যাস তাহলেই চলবে।
৪. নুন:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন। আপনি চাইলে নুনকে কাজে লাগিয়েও দাঁতকে সুস্থ-সুন্দর রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্রাশটা একটু জলে ভিজিয়ে নিয়ে নুনের মধ্যে ঘষে নিন। তারপর সেই ব্রাশটা দিয়ে দাঁত মাজুন। এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে দিনে একবার ব্রাশ করলেই দেখবেন দাঁত নিয়ে আর কিছু ভাবতে হবে না। প্রসঙ্গত, নুনের সঙ্গে সম পরিমাণে বেকিং সোডা মিশিয়েও দাঁত মাজতে পারেন। এমনটা করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
৫. কমলা লেবুর খোসা:
২০১০ সালে আমেরিকান জার্নাল অব ডেন্টিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে কমলা লেবুর খোসায় উপস্থিত ভিটামিন সি সহ একাধিক পুষ্টিকর উপাদান দাঁতকে পোকা লাগার হাত থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে হলুদ ভাব কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে লেবুর খোসা সরাসরি দাঁতে ঘোষতে পারেন। আর যদি এমনটা করতে ইচ্ছা না করে তাহলে খোসাটা শুকুয়ে নিয়ে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেই গুঁড়ো ব্রাশে লাগিয়েও দাঁত মাজতে পারেন।