Just In
১০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন এই আযুর্বেদিক ওষুধটির উপর
চর্বি ডেকে আনে নানা রোগকে, যা দীর্ঘ সময় শরীরে বাসা বেঁধে থাকলে দেখা দেয় হাজারো সমস্যা। তাই তো নিজের ওজনের দিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।
একথা এতদিনে নিশ্চয় সবাই জেনে গেছেন যে ওজন বৃদ্ধি মোটেও ভাল নয়। এমনটা হতে থাকলে শরীর ভিতর থেকে ভাঙতে শুরু করে। কারণ চর্বি ডেকে আনে নানা রোগকে, যা দীর্ঘ সময় শরীরে বাসা বেঁধে থাকলে দেখা দেয় হাজারো সমস্যা। তাই তো নিজের ওজনের দিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।
ওজন তো কমাতে চাই, কিন্তু উপায়! কোনও চিন্তা নেই। এই প্রবন্ধে আলোচিত আয়ুর্বেদিক ওষুধটি এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসতে পারে। শুধু তাই নয় শরীরে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর টক্সিনকে বের করে দিতেও এই ওষুধটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ওজন কমানোর পাশপাশি সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে এই ঘরোয়া ওষুধটি খাওয়া মাস্ট!
প্রসঙ্গত, এই ওষুধটি বানাতে লেবুর প্রয়োজন পরে, যা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। অপরদিকে ওষুধটিতে উপস্থিত লবঙ্গ শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ কমে। সেই সঙ্গে লিভার এবং কিডনির কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
ওষুধটি বানাতে যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পরবে:
১. লেবু- ১টা
২. মধু- ১ চামচ
৩. গোলমরিচ- এক চিমটে
৪. মরিচ- এক চিমটে
৫.জল- ১ কাপ
৬.লেবু- এক টুকরো
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে।
ধাপ ১:
একটা লেবুকে দু টুকরো করে রসটা সংগ্রহ করে নিন।
ধাপ ২:
আপনি প্রয়োজন এবং ইচ্ছা অনুসারে লেবুর রস নিতে পারে। এই প্রবন্ধে যে মাপটা বলা হয়েছে তাই যে সব সময় মেনে চলতে হবে, এমন নয়।
ধাপ ৩:
এবার লেবুর রসে এক চামচ মধু মেশান।
ধাপ ৪:
এক চিমটে মরিচ এবং পরিমাণ মতো লবঙ্গ মিশিয়ে দিন।
ধাপ ৫:
সব শেষে এই মিশ্রনটিতে এক কাপ গরম দল মিশিয়ে নিন। তারপর ভাল করে সবকটি উপকরণ মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন ওষুধটি।
ধাপ ৬:
পানীয়টি ঘরের তাপমাত্রা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এমনটা হয়ে গেলে ওষুধটি খেয়ে ফেলুন।
এক্ষেত্রে মনে রাখবেন...
ওজন কমানোর পাশপাশি লিভার এবং কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এই পানীয়টি কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। এখন প্রশ্ন হল কী নিয়ম মেনে খেতে হবে এই ওষুধটি? সকালে এই ওষুধটি খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, নিয়মিত শরীরচর্চার পাশপাশি যদি নিয়ম করে এই পানীয়টি খাওয়া যায়, তাহলে ওজন কমে চোখে পরার মতো।