Just In
- 15 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 16 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 19 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 21 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
ফ্য়াটি লিভারের ঘরোয়া চিকিৎসা
ফ্য়াটি লিবারের সমস্য়া যে কারও হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মদ্য়পান করা থেকে সাবধান তাকাটা জরুরি। তবে চিন্তা নেই এমন কিছু ঘরোয়া চিকিছসা আছে যা করলে অল্প দিনেই এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সেরে ওঠা সম্ভব হয়।
লিভারের যে কোনও রোগ প্রাণসংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে আশাহত হবেন না। ঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা শুরু করা যায় তাহলে লিভারের রোগ থেকে সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে কোনও সমস্য়াই হয় না। প্রসঙ্গত, লিভারের জটিল রোগগুলির মধ্য়ে অন্য়তম হল ফ্য়াটি লিভার।
লিভারের মধ্য়ে যখন চর্বি জমতে শুরু করে তখন সেই সমস্য়াকে চিকিৎসা পরিভাষায় ফ্য়াটি লিভার বলা হয়ে থাকে। আর যখন এই ফ্য়াট সেলগুলি লিভার টিস্য়ুদেরই ঠিক মতো কাজ কাজ করতে দেয় না, তখনই লিভার ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এমনকী এই ধরনের পরিস্থিত তৈরি হলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে লিভার ফুলতেও শুরু করে।
কাদের এমন সমস্য়া বেশি হয়? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে সাধারণত মোটা মানুষদের এই রোগ বেশি হয়। এছাড়াও আরও নানা কারণে এই রোগ হতে পারে। যেমন, যারা ডায়াবেটিক তাদের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষদের তুলনায় বেশি থাকে। সর্বোপরি, ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া না করলে, হজম ঠিক মতো না হলে, কিছু ওষুধ খেলে এবং মাত্রাতিরিক্ত মদ্য়পান করলেও ফ্য়াটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
লিভারে মেদ জমা যদি ঠিক সময়ে আটকানো না যায় তাহলে তা থেকে রোগীর মৃত্য়ু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই প্রথম থেকে সাবধান হওয়াটা জরুরি। তবে এখানেও একটা সমস্য়া আছে। তা হল এই রোগ যতক্ষণ না মারাত্মক স্টেজে পৌঁছাচ্ছে, ততক্ষণ তেমন কোনও লক্ষণের বহিঃপ্রকাশই ঘটে না।
তাহলে এখন প্রশ্ন ফ্য়াটি লিভার সারানোর উপায় কী? এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করাটা খুব জরুরি। তবে এমন কিছু ঘেরায়া চিকিৎসা আছে যা অনুসরণ করলে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
লিভারের রোগে ঘেরোয়া চিকিৎসা
ভিনিগার আর জল:
এক কাপ গরম জলে কেয়েক ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার আগে পান করুন। কয়েক মাস এটা খেলেই দেখবেন লিভারে জমে থাকা ফ্য়াট সব গায়েব হয়ে গেছে।
লেবু এবং জল:
প্রতিদিন লেবু জল খাওয়ার অভ্য়াস করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- সি থাকে, যা লিভারকে দূষণ মুক্ত করতে সাহায্য় করে। প্রসঙ্গত, টানা এক মাস লেবু জল পান করলে তবে গিয়ে শরীর সুস্থ হয়।
গ্রিন টি:
প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এক কাপ করে গ্রিন টি পান করুন। এটি লিভার ফাংশন ঠিক করতে সাহায্য় করে।
আদা আর জল:
এক চা চামচ আদা গুঁড়ো গরম জলে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন। এই পানিয় টানা ১৫ দিন খেলেই দেখবেন অনেক সুস্থ বোধ করছেন। কারণ এটি লিভারে ফ্য়াট জমার প্রক্রিয়াটি প্রায় বন্ধ করে দেয়। ফলে লিভার আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু করে।
আমলার রস:
আমলার মধ্য়ে ভিটামিন-সি থাকায় এটি লিভারকে দূষণ মুক্ত করতে সাহায্য় করে। তাই লিভারের অসুখে আক্রান্ত রোগী যদি টানা ২৫ দিন এই রস, এক চামচ করে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন তাহলে তিনি তার অসুস্থতা থেকে একবারে সেরে উঠতে পারবেন।