Just In
Don't Miss
দুধ কেটে গেলে ফেলে দেন? এই সব ঘরোয়া কাজে ব্যবহার করুন নষ্ট দুধ
দুধের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি, তাই অনেক চিকিৎসক রোজকার ডায়েটে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার কথা উল্লেখ করে থাকেন। ছোট-বড় সকলেরই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে নিয়মিত দুধ পান করা প্রয়োজন। দুধে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ডি, বি১২, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস হাড়-দাঁত, পেশিকে মজবুত ও শক্ত করে এবং আমাদের শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
অনেক সময় আমাদেরই ভুলের জন্য দুধ নষ্ট হয়ে যায়। দুধ গরম করতে গিয়ে দেখা যায় ফেটে ফেটে যাচ্ছে, অর্থাৎ দুধ নষ্ট হয়ে গেছে। কেটে যাওয়া দুধ আর খাওয়া যাবে না, এই ভেবে আমরা অনেকেই নষ্ট দুধটুকু ফেলে দিই। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে, নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ ফেলে না দিয়ে নানান কাজে লাগানো যায়? হ্যাঁ ঠিকই, কেটে যাওয়া দুধেরও নানা ব্যবহার রয়েছে। জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে।
চিজ
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ থেকেই চিজ তৈরি হয়। তাই এবার থেকে ঘরে রাখা দুধ কেটে গেলে তা ফেলে না দিয়ে চিজ বানিয়ে ফেলুন বা এটা দিয়ে ছানার বল বানিয়ে একটা তরকারিও তৈরি করে ফেলতে পারেন। চিজ তৈরির রেসিপি ইন্টারনেটেই পাবেন।
ফেস মাস্ক
রুপচর্চায় সাধারণ দুধ যেমন কার্যকরী, তেমন নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধও আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারি। কেটে যাওয়া দুধ মুখে ফেস মাস্কের মতো লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হবে।
স্যালাড ড্রেসিং
দুধ নষ্ট হয়ে গেলে সেটা ফেলে না দিয়ে তা অনায়াসে স্যালাড ড্রেসিং-এর কাজে ব্যবহার করতে পারেন। ক্রিমের পরিবর্তে কেটে যাওয়া দুধ দিয়েই স্যালাড সাজান। তবে আনপাস্তুরাইজড মিল্ক স্যালাডে ব্যবহার করুন, খেয়াল রাখবেন দুধটা যেন পাস্তুরাইজড মিল্ক না হয়।
চা-কফি খেতে গিয়ে জিভে ছ্যাঁকা? ঘরোয়া এই টোটকায় নিমেষেই জ্বালা কমবে!
বেকিং
অনেক ডেজার্টে, যেমন - প্যানকেক, কেক এবং ওয়াফেল-এ কেটে যাওয়া দুধ দিতে হয়। তাই দুধ কেটে গেলে এবার তা দিয়ে এই ধরনের খাবার বানাতে পারেন।
গার্ডেনিং
গাছের পরিচর্যায় নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ ব্যবহার করতে পারেন। গাছে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে কাজে লাগান এই দুধ। দেখবেন আপনার চারাগাছগুলো তরতরিয়ে বাড়বে। দুধে সামান্য জল মিশিয়ে গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন।
পোষ্য
কেটে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ আমরা খেতে না পারলেও বাড়িতে থাকা বিড়াল কিন্তু তা সহজেই খেয়ে নেয়। তাই কেটে যাওয়া দুধ ফেলে না দিয়ে ওদেরকে দিতেই পারেন।