Just In
সুস্থ থাকতে রোজ পিঁয়াজ খাওয়া জরুরি কেন?
সুস্থ থাকতে রোজ পিঁয়াজ খাওয়া জরুরি কেন?
এত দূষণ এবং জীবাণুর আক্রমণের মাঝেও সুস্থ থাকতে চান তো রোজ নানাভাবে পিঁয়াজ খাওয়া শুরু করুন। ভাবছেন পিঁয়াজ খাওয়ার সঙ্গে সুস্থ থাকার কী সম্পর্ক, তাই তো? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
পিঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-হিস্টেমাইন প্রপাটিজ, যা শরীরকে নানাভাবে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এমনকী শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতেও পিঁয়াজের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। এখানেই শেষ নয়। আপনার শরীরে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা যদি খুব বেশি থাকে, তাহলে তা কমাতেও রোজ দিন এই সবজিটি খাওয়া শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আরও নানা কাজে লাগে পিঁয়াজ। যেমন...
আঁচিল দূর করে:
গোল করে পেঁয়াজ কেটে আঁচিলের উপর রেখে একটা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন। যাতে সেটি পরে না যায়। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে এমনটা করলে অল্প দিনেই দেখবেন আঁচিল খসে পরে গেছে।
কাশি কমায়:
একটা পেঁয়াজকে কেটে নিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর তাতে কয়েক ড্রপ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রন দিনে কম করে দুবার পান করলেই কাশি কমে যেতে শুরু করবে।
পুড়ে গেলে:
রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনা গৃহিণীদের সঙ্গে আকছারই হতে থাকে। এক্ষেত্রেও পিঁয়াজ দারুন উপকারে লাগে। কেমন ভাবে? এবার থেকে পুড়ে গেলে, ক্ষতস্থানে এক টুকরো পিঁয়াজ কিছু সময়ের জন্য রেখে দিন। অল্প সময়েই দেখবেন জ্বালা ভাব কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতও সেরে গেছে।
ঠান্ডা লাগলে:
সিজিন চেঞ্জের সময় ঠান্ডা লাগা খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। এবার থেকে এমনটা হলে শোয়ার সময় বালিশের পাশে একটা পেঁয়াজ রেখে দেবেন। দেখবেন কষ্ট কমে গেছে।
জ্বারের প্রকোপ কমাতে:
শুতে যাওয়ার আগে একটা পিঁয়াজ কেটে নিন। তার সঙ্গে অল্প করে আলু এবং ২ টো রসুনের কোয়া মিশিয়ে মোজার মধ্যে রেখে সেই মোজা পরে শুয়ে পরুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন সুস্থ হতে শুরু করেছেন।
সাইনাসের প্রকোপ কমায়:
আপনিও কি এমন সমস্যায় একেবারে জর্জরিত? চিন্তা নেই। প্রতিদিন কাঁচা পিঁয়াজ খাওয়া শুরু করুন। আরেকটা কাজ করতে পারেন। চা বানানোর সময় তাতে অল্প করে আদা এবং পেঁয়াজ ফেলে জলটা ফোটান। পরে সেই চা পান করুন। তাহলেও দেখবেন সাইনেসের প্রকোপ কমে গেছে।