Just In
- 9 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 10 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 13 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 15 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
বর্ষাকাল মানেই ঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব ও ফাঙ্গাসের সমস্যা, কীভাবে দূর করবেন দেখেে নিন
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের পর বর্ষা গাছপালা, পশু-পাখি এবং সমগ্র মানবজাতির জীবনে স্বস্তি নিয়ে আসে। পুকুর, নদী-নালা জলে ভরে ওঠে। আশেপাশের পরিবেশ শীতল হয়ে ওঠে, আর ঝলকানো তাপ থেকে মুক্তি পায়। পৃথিবী যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায়। কিন্তু বর্ষাকাল এমন একটা সময় যখন একাধিক রোগের আধিক্য বেড়ে যায়।
বর্ষার স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়াতে যেন ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস জেগে ওঠে। পোকামাকড়ের প্রজনন সময়ও এটি। এছাড়াও আরও নানান সমস্যা বয়ে নিয়ে আসে বর্ষাকাল।
বর্ষা আসার সাথে সাথে বাড়ি-ঘর স্যাঁতসেঁতে, ফাঙ্গাস এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ মানুষের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি নিজেদের বাড়ি-ঘরও সংক্রমণ মুক্ত রাখা খুবই জরুরি। তাহলে আসুন জেনে নিই কীভাবে বর্ষাকালে আপনার বাড়িকে স্যাঁতসেঁতে এবং ছত্রাক বা ফাঙ্গাস থেকে দূরে রাখবেন।
ঘর কেন স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়?
বর্ষাকালে জীবাণু এবং অণুজীবের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। এর প্রধান কারণ হল থার্মাল ইনসুলেশন না হওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, ঘরে সূর্যের আলো এবং হাওয়া ঠিকভাবে প্রবেশ না করা। এর ফলে বাড়ি-ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় এবং ছত্রাকের সমস্যাও দেখা দেয়।
স্বাস্থ্যের ক্ষতি
ঘর স্যাঁতসেঁতে থাকার কারণে অলটারনারিয়া, অ্যাসপারগিলাস, পেনিসিলিয়ামের মতো ফাঙ্গাল প্রজাতিগুলি বিকাশ লাভ করে। যার ফলে হাঁপানি, অ্যালার্জি, ডার্মাটাইটিস এবং রাইনাইটিস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
এইভাবে বাড়ি-ঘরকে স্যাঁতসেঁতে এবং ছত্রাক থেকে দূরে রাখুন
ক) বাথরুম বা টয়লেট, বন্ধ ঘর অর্থাৎ যেসব জায়গা সবসময় স্যাঁতসেঁতে থাকে এবং ছত্রাক ও পোকামাকড় সহজেই বৃদ্ধি পেতে পারে, সেখানে কীটনাশক ছড়িয়ে এবং ফিউমিগেশন করে মশা, মাছি, পোকামকড় দূর করতে পারেন।
খ) ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে দিন। বাড়ির দরজা, জানালা অল্প সময় হলেও খোলা রাখুন।
গ) সপ্তাহে অন্তত একদিন রান্নাঘরটি ভালো কীটনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
ঘ) লবঙ্গ এবং দারুচিনি জলে প্রায় আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই জল ফুটিয়ে এটি রুম ফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
ঙ) রান্নাঘর এবং বাথরুম, যেখানে সবথেকে বেশি জল ব্যবহৃত হয় এবং সূর্যের আলো সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে না, এমন জায়গাগুলো শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। বাথরুমের টাইলসের ফাঁকে ফাঁকে ময়লা লেগে থাকলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা অবশ্যই জরুরি।
ঘরোয়া কিছু জিনিস পরিষ্কার করতে পারছেন না? টুথপেস্টেই আছে এর সমাধান
চ) স্যাঁতসেঁতে হয়ে খারাপ হয়ে যাওয়া দেওয়ালগুলি ঠিক করতে, ফাটলগুলিতে ওয়াটারপ্রুফ চুন ভরে দিন। এর ফলে আবার সেই জায়গা স্যাঁতসেঁতে হবে না।
ছ) স্যাঁতসেঁতে ঘরে ঘুমোবেন না।
জ) আলমারিতে ন্যাপথলিন রেখে দিন, সব ধরনের আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখে এটি। কাপড়কেও ঠিক রাখে।
ঝ) ন্যাপথলিন, স্পিরিট ও নিমের তেল পোকামাকড় দূর করতে বেশ উপকারী।
ঞ) দামি আসবাবের নীচে একটি টিনের বা কাঁচের পাত্রে এক টুকরো সালফার বা গন্ধক রেখে দিন, এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে আসবাব মুক্ত থাকবে।