For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

বাসে উঠলেই বমি পায়? সমস্যার সমাধান মিলবে এইসব ঘরোয়া উপায়ে!

বাসে ট্রেভেল করার আগে মনে করে এক কাপ লেবুর রসে এক চিমটে গোলমরিচ মিশিয়ে সেই পানীয়টা পান করলেই দেখবেন মাথা ঘোরা বা গা গোলানোর মতো সমস্যা আর হবে না।

|

সকাল সকাল শিলিগুড়ি থেকে বাস ধরে আমরা সব দার্জিলিং যাচ্ছিলাম। চাকরি পাওয়ার পর বন্ধুদের প্রথম "ইন্ডিপেন্ডেন্ট" ট্রিপ। তাই খুশির অন্তই ছিল না। হটাৎ ইন্দ্রপতন! চারিদিক কেমন একটা পচা গন্ধে ভরে গেল। সেই সঙ্গে শরীরটাও কেমন ভেজা ভেজা ঠেকল।

আসলে বাস উঠলেই যে বিকাশ পাত্রের বমির ফোয়ারা ছোটে সে কথা আমাদের কারওরই জানা ছিল না। তাই তার অঘটনের প্রকোপ থেকে আমরা কেউই সেদিন বাঁচতে পারিনি। আমি তো প্রায় বমিতে স্নান করেই দার্জিলিং পৌঁছেছিলাম। আরি বাকিদের সহ্য করতে হয়েছিল বিকট গন্ধ! আপনরাও কি বিকাশের মতো বাসে উঠলেই গা গুলিয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে বমি হয়? তাহলে এই প্রবন্ধটি আপনার জন্যই লেখা।

অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। বিশেষত পেট্রল-ডিজেলের গন্ধ যারা একেবারেই সহ্য করতে পারেন না, তাদেরই মূলত এমন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে মোশান সিকনেসের কারণেও বমি এবং মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি দারুন কাজে আসে। যেমন...

গোলমরিচ:

গোলমরিচ:

বাসে ট্রেভেল করার আগে মনে করে এক কাপ লেবুর রসে এক চিমটে গোলমরিচ মিশিয়ে সেই পানীয়টা পান করলেই দেখবেন মাথা ঘোরা বা গা গোলানোর মতো সমস্যা আর হবে না। প্রসঙ্গত, মোশান সিকনেস সম্পর্কিত বাকি লক্ষণগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুন কাজে আসে।

মিন্ট টি:

মিন্ট টি:

জার্নি শুরু করা আগে মিন্ট পাতা মেশানো এক কাপ চা খেয়ে নিলেই কেল্লাফতে! আসলে মিন্ট পাতা মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথা রাখা ভাল, যদি দেখেন মিন্ট টি হাতের কাছে পাচ্ছেন না, তাহলে কোনও চিন্তা করবেন না। অল্প করে মিন্ট পাতা সেক্ষেত্রে সঙ্গে রেখে দেবেন। বাসে বা গড়িতে ওঠার পর যখনই দেখবেন শরীর খারাপ করতে শুরু করেছে, তখনই মিন্ট পাতার গন্ধ নিতে থাকবেন, তাহলেই আর কোনও সমস্যা হবে না দেখবেন।

আদা চা:

আদা চা:

বমি এবং গা গোলানো আটকাতে আদা চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, অনেকের ভরা পেটে ট্রেভেল করার অভ্যাস রয়েছে। এই কারণেও কিন্তু বমি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। এক্ষেত্রেও আদা দারুন কাজে আসে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি চটজলদি খাবার হজম করিয়ে দেয়। ফলে বমি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।

দারচিনি:

দারচিনি:

অল্প পরিমাণ গরম জলে এক চামচ দারচিনি গুঁড়ো এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে সেই জলটা পান করুন। এই ঘরোয়া ঔষধিটি মোশান সিকনেসের প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে।

লবঙ্গ:

লবঙ্গ:

বাসে উঠেই যদি দেখেন পেট্রলের গন্ধে গা গোলাতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে কেমন বমি বমিও পাচ্ছে, তাহলে সময় নষ্ট না করে কয়েকটা লবঙ্গ মুখে ফেলে দেবেন। তাহলেই দেখবেন নিমেষে শরীরের অস্বস্তি কমে যাবে। প্রসঙ্গত, লবঙ্গতে অল্প করে মধু লাগিয়ে খেলে মাথা ঘোরাও কমে যায়।

এলাচ:

এলাচ:

লবঙ্গের মতো এই প্রকৃতিক উপাদানটিও একই রকম কাজে আসে। এক্ষেত্রে অল্প করে কয়েকটি এলাচ মুখে ফেলে রাখলেই দেখবেন কোনও সমস্যাই হবে না।

মৌরি:

মৌরি:

লং জার্নির প্ল্যান করছেন? তাও আবার বাসে! তাহলে তো সঙ্গে পরিমাণ মতো মৌরি রাখতে ভুলবেন না। একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণ হয়ে গেছে, যে কারণে মূলত বাসে বা গাড়িতে উঠলে শরীর খারাপ হয়, সেই সহকটি কারণকে সমূলে বিনাশ করে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। ফলে না বমি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, না মাথা ঘোরার।

পেঁয়াজের রস:

পেঁয়াজের রস:

এটি সচরাচর রাস্তা ঘাটে পাবেন না। তাই যখনই বাসে বা গাড়িতে করে কোথাও বেরাতে যাবেন, সঙ্গে অল্প করে এই মিশ্রনটি রাখতে ভুলবেন না। কারণ পেঁয়াজের রসে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র মাথা ঘোরা, গা গোলানো এবং বমি পাওয়ার মতো সমস্যাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। ফলে যাত্রা পথে কোনও অঘটন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।

English summary

বাসে উঠলেই বমি পায়? সমস্যার সমাধান মিলবে এইসব ঘরোয়া উপায়ে!

If you have experienced nausea or vomiting sensation during travel then you may need to read this. In some people, the reason behind the nausea could be due to the smell of fuel or unclean surroundings in a bus.
X
Desktop Bottom Promotion