Just In
সহজ ঘরোয়া উপায়েই সারবে ব্লাড ব্লিস্টার, দেখে নিন কী করবেন
অনেক সময় ভুলবশত দরজা, জানালার ফাঁকে হাত কিংবা পা চিপে গিয়ে চামড়ায় রক্ত জমাট বেঁধে ফুলে ওঠে। আমরা অনেকেই এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। যাকে বলা হয় ব্লাড ব্লিস্টার। এই ধরনের ফোস্কা দেখতেও কুৎসিত, আর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সাধারণত ব্লাড ব্লিস্টার নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। তবে অনেক সময় আবার সহজে সারতে চায় না। এর জন্য আপনি ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই অস্বস্তিকর ব্লাড ব্লিস্টার থেকে মুক্তি পাওয়ার বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়।
১) নুন জল
আক্রান্ত স্থানটি লবণ মেশানো গরম জলে ভিজিয়ে রাখলে ফোস্কা সহজেই ফেটে যাবে। আর একবার এটি ফেটে গেলে, নিজে থেকেই সেরে যায়।
একটি বড় পাত্রে উষ্ণ জল নিয়ে তাতে হাফ কাপ নুন মেশান ভাল করে। ১০-১৫ মিনিট আক্রান্ত জায়গাটি ভিজিয়ে রাখুন। দিনে এক-দু'বার এটি করুন।
২) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
এক চা চামচ ভিনেগারে এক চা চামচ জল মেশান। এতে কটন প্যাড ভিজিয়ে ফোস্কার ওপরে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। দিনে দু'বার এটি করুন।
এই ভিনেগার ফোস্কা খুব দ্রুত নিরাময় করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ফোস্কাকে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। তবে ফেটে যাওয়া ফোস্কার ওপর অ্যাপেল সিডার ভিনেগার প্রয়োগ করবেন না।
৩) টি ব্যাগ
চায়ের ট্যানিক অ্যাসিড সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে এবং ফোলাভাব কমিয়ে দেবে। ফোস্কা নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত এটি দিনে বেশ কয়েকবার করুন। একই টি ব্যাগ সারাদিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
একটি টি ব্যাগ ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন কিছুক্ষণ। আক্রান্ত স্থানে এই টি ব্যাগটি রেখে দিন কিছুক্ষণ। ফল পাবেন হাতেনাতে!
৪) হলুদ
হলুদে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ক্ষত মেরামতের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করে। দিনে দুই তিনবার এটি ব্যবহার করুন।
হাফ চা চামচ হলুদ এবং হাফ চা চামচ মধু মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। ফোস্কার ওপর এই পেস্টটি লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) চন্দন পাউডার
চন্দনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং ব্যথানাশক বৈশিষ্ট্য দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তোলে। ফোলা কমায় এবং ব্যথাও উপশম করে।
এক চা চামচ চন্দন পাউডারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা জল মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট তৈরি করুন। ফোস্কার ওপর এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে শুকোতে দিন। অন্তত ১০-১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। দিনে দুই তিনবার এটি প্রয়োগ করুন।
কোমর ও পিঠের ব্যথায় নাজেহাল? জেনে নিন ব্যাক পেন কমানোর কিছু সহজ উপায়
তবে কখনই জোর করে এই ফোস্কা ফাটাতে যাবেন না। তাহলে গুরুতর সংক্রমণ হতে পারে এবং অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে।