Just In
- 1 hr ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 1 hr ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 15 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 20 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
অনিদ্রায় ভুগছেন? শত চেষ্টা করেও রাতে ঘুম আসে না? এই সব ঘরোয়া উপায়েই দূর হবে সমস্যা!
আজকের যুগে রাতে ঘুম না আসার সমস্যায় বেশিরভাগ মানুষই ভোগেন। বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে করতেই রাতের প্রায় অর্ধেকটা পার হয়ে যায়। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, স্লিপ অ্যাপনিয়া, মানসিক চাপ, শরীরচর্চার অভাব, গ্যাজেট নির্ভর জীবনযাপন আধুনিক জীবনে এনে দিয়েছে ঘুম সংকট। শরীরে ক্লান্তি আছে কিন্ত ঘুম নেই। শত চেষ্টা করেও দুই চোখের পাতা এক হতে চায় না। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে অনিদ্রা রোগ বা Insomnia। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার ফলে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়।
অনিদ্রার ফলে দিনের পর দিন ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও বা ঘুম আসে, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে অনিদ্রার সমস্যা দূর করা সম্ভব। জেনে নিন সেগুলি কী কী -
১) নিয়মিত ধ্যান করুন
ধ্যান বা মেডিটেশন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি। নিয়মিত ধ্যান করলে স্নায়ু, শরীর এবং মন নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত ধ্যান করলে স্ট্রেস, মানসিক চাপ কমে, ফলে ভাল ঘুম হয়। মনে রাখবেন, স্ট্রেস অনিদ্রা রোগের অন্যতম কারণ।
২) মন্ত্র জপ করুন
এটি মেডিটেশন বা ধ্যানেরই একটি অংশ বলা যেতে পারে। গবেষণা অনুসারে, বার বার একই মন্ত্রের উচ্চারণ করলে, মন ও শরীর নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে মন্ত্রটি অবশ্যই পজিটিভ হতে হবে। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, সংস্কৃত, যেকোনও ভাষায় মন্ত্র জপ করতে পারে।
৩) যোগব্যায়াম
রাতে ঘুম না হওয়ার সমস্যা বা অনিদ্রার হাত থেকে মুক্তি পেতে যোগব্যায়াম অত্যন্ত উপকারি। যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে, শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে কার্যকর। নির্দিষ্ট কয়েকটি যোগাসন আছে, যেগুলি রাত্রে শোওয়ার আগে অভ্যাস করলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হতে পারে।
৪) এক্সারসাইজ করুন
এক্সারসাইজ সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সহায়তা করে। এটি মেজাজ ভাল রাখে, এনার্জি বাড়ায়, ওজন কমায় এবং ভাল ঘুম হতে খুবই কার্যকরি। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে হালকা এক্সারসাইজ করুন। সকালে আধ ঘণ্টা হাঁটা, স্কিপিং, জগিং, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। এর ফলে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি এবং রাতে ঘুমও ভাল হবে।
৫) ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খান
ম্যাগনেসিয়াম পেশীকে শিথিল করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। তাই ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন, যেমন - ডার্ক চকোলেট, বাদাম, অ্যাভোকাডো, প্রভৃতি।
৬) মেলাটোনিন
ভাল ঘুম হওয়ার ক্ষেত্রে মেলাটোনিন-এর ভূমিকা অপরিসীম। দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর ঘুম হতে সাহায্য করে মেলাটোনিন। পাকা কলা খেলে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন হরমোন নির্গত হয়ে শরীরে ঘুমের আবেশ নিয়ে আসে। ওটমিলেও আছে ঘুমে সহায়ক মেলাটোনিন। এছাড়া আমন্ড ও গরম দুধেও প্রচুর পরিমাণ মেলাটোনিন থাকে। এগুলিও গভীর ঘুম হতে সাহায্য করে।
৭) নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন
প্রতিদিন ঘুমের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নিন এবং সেই সময়েই ঘুমানোর অভ্যাস করুন। নিয়মিত একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করলে, আপনার শরীরও সেই সময়ের সঙ্গে নিজেকে অ্যাডজাস্ট করে নেবে। এর ফলে অনিদ্রার সমস্যা কমবে।
৮) শোওয়ার ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন
মানসিক শান্তির সাথে ঘুমের গভীর সংযোগ আছে। শোওয়ার ঘর যদি নোংরা বা অগোছালো হয়ে থাকে, তাহলে ঘুম না আসাটাই স্বাভাবিক। তাই বেডরুম সবসময় সাজিয়ে গুছিয়ে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখুন।