Just In
- 6 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 4 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
কাশির জন্য আপনার বাচ্চা রাতে ঘুমোতে পারে না? এই ঘরোয়া উপায়েই মিলবে স্বস্তি!
বাচ্চাদের প্রায়ই ঠান্ডা লাগা, হাঁচি-কাশি, সর্দি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। মনে করা হয় যে, বাচ্চাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, যার কারণে তারা খুব সহজেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। কিন্তু ক্রমাগত কাশি হওয়ার খুবই চিন্তার। এর ফলে গলায় সমস্যা হতে পারে, অতিরিক্ত কাশির হলে বাচ্চার রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
যদিও কাশির সারানোর জন্য মার্কেটে প্রচুর ওষুধ উপলব্ধ, তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ও আছে যেগুলির মাধ্যমে আপনি আপনার বাচ্চার কাশি কমাতে পারেন।
বাচ্চাদের কাশি হওয়ার কারণ
ক) ভাইরাল ইনফেকশন, যেমন - ঠান্ডা লাগা, সর্দি এবং ফ্লু-এর কারণে বাচ্চার কাশি হতে পারে।
খ) অ্যাসিড রিফ্লাক্সের একটি লক্ষণ হল কাশি।
গ) হাঁপানি রোগ নির্ণয় করা কঠিন হতে পারে, কারণ প্রত্যেক বাচ্চার মধ্যে এর লক্ষণগুলি আলাদা-আলাদা হতে পারে। তবে কাশি চলাকালীন শ্বাসের সমস্যা, বিশেষত রাতে কাশির অবস্থার অবনতি হওয়া হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ।
ঘ) সাইনাস বা অ্যালার্জির কারণেও কাশি হতে পারে।
বাচ্চাদের কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায়
গার্গল
গরম জলে গার্গল করা কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়! এক গ্লাস গরম জলে সামান্য নুন মিশিয়ে গার্গল করা খুব উপকারি। দিনে অন্তত তিন বার গার্গল করা ভাল।
আদা
ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার এক দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায় হল আদা। আপনি আপনার বাচ্চাকে এক টুকরো আদার সাথে মধু দিয়ে খাওয়াতে পারেন।
গরম স্যুপ
বাচ্চাকে গরম স্যুপ খাওয়াতে পারেন। এটি কাশি কমতে পারে এবং গলা ব্যথাও কমে যাবে।
দাঁতের যন্ত্রণায় ছটফট করেন? জানুন এর থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া টোটকা
মিশ্রি
গলা ব্যথা বা কাশি থেকে মুক্তি পেতে বাচ্চাকে মিশ্রি দিতে পারেন। বিশ্বাস করা হয় যে, মিশ্রি গলার আর্দ্রতা বজায় রাখে, যার ফলে গলায় জ্বালা কম হয়।
মধু
মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সর্দি-কাশির সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে। গরম জলে এক চামচ মধু মেশান এবং এতে লেবুর রসও যোগ করুন। তবে এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধু দেবেন না।
দুধ ও হলুদ
হলুদ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি, তা আমরা জানি। এতে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বাচ্চার কাশির সারাতে আপনি হলুদ দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে নিন। এই দুধটি বাচ্চাকে খাওয়ান। কাশি থেকে স্বস্তি মিলবে।
হলুদ ও মধু
আগেই বলা হয়েছে, হলুদে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর মধু গলা ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফলে বাচ্চার রাতে শুকনো কাশি হওয়া থেকে স্বস্তি মেলে। তবে এক বছরের বেশি বয়সের বাচ্চাদেরই হলুদের সাথে মধু মিশিয়ে দিন।