Just In
কোলেস্টেরল কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসা
হাই কোলেস্টরলের সমস্য়ায় ভুগছেন? তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
নানা কারণে শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়তে পারে। যার অন্য়তম হল মাত্রাতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্য়াস এবং অসংলগ্ন জীবনযাত্রা। এছাড়া দৈনন্দিন ডায়েটের কারণেও কিন্তু এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে যারা মাত্রাতিরিক্ত হারে তেল দেওয়া খাবার খান, তাদের শরীরে কোলেস্টরেলর মাত্রা বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্ট অ্যাটাক সহ নানা ধরনের জটিল রোগ হতে পারে। তাই কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়লেই চিকিৎসা শুরু করবেন। এক্ষেত্রে অকারণ দেরি কিন্তু অনেক বড় বিপদ ঢেকে আনতে পারে।
অনেক ভাবে কোলেস্টরলের মাত্রা কমানো যায়। তবে এই ধরনের রোগে ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে। এই প্রসঙ্গে জেনে রাখা প্রয়োজন যে শরীরে দু ধরনের কোলেস্টরলের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। একটা হল ভালো কোলেস্টেরল, যা শরীরকে ভালো রাখতে প্রয়োজন পড়ে। আর দ্বিতীয় হল বাজে কোলেস্টরল বা এল ডি এল। এটিই কিন্তু শরীরের জন্য় ভালো নয়।
ঘরোয়া চিকিৎসার সবথেকে ভালো দিক হল এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রায় নেই। তাই তো নিশ্চিন্তে আজ থেকেই কাজে লাগিয়ে দিন এইসব ঘরোয়া উপাদানগুলিকে। অল্প দিনেই দেখবেন কেমন কমতে শুরু করে কোলেস্টরলের মাত্রা।
তাহলে অপেক্ষা কিসের! এক্ষুনি এই প্রবন্ধটি পড়ে জেনে নিন কোলেস্টরল নিধনে ঘরোয় চিকিৎসার ভূমিকা প্রসঙ্গে।
ধনে গাছের বীজ:
কোলেস্টরল কমাতে এটির কোনও বিকল্প নেই। এক গ্লাস জলে এক চামচ ধনে বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে জলটা একটু গরম করে নিন। দিনে দুবার এই জল খেলে কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
২. আমলা:
এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ আমলা পাউডার মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে পান করুন সেই মিশ্রন। কোলেস্টরল কমাতে এটি দারুন একটি ঘরোয়া চিকিৎসা।
৩. কমলা লেবুর রস:
এতে রেয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ফ্লেবোনয়েড, যা শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। দিনে কম করে ২-৩ বার কমলা লেবুর রস খেলে উপকার পাবেন।
৪. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। দিনে দুবার এই জল খেলে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্য়েই কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
৫. মধু ও পেঁয়াজের রস:
এক চামচ পেঁয়াজ রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার করে এই মিশ্রন খান। টানা কয়েক মাস খেলেই সুফল পাবেন।
৬. ওটমিল:
কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে ফাইবার দারুন কাজে আসে। আর ওটসমিল হল ফাইবারে পরিপূর্ণ। তাই এই খাবারটি প্রতিদিন এক বাটি করে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
৭. বাদাম:
কোলেস্টরল কমাতে আখরোট এবং কাজু বাদাম দারুন কাজে আসে। আসলে এই দুটি বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর একথা তো সকলেরই জামা যে ফাইবার কোলেস্টরল কমাতে ম্য়াজিকের মতো কাজ করে। তবে বেশি বাদাম আবার খাবেন না যেন! তাতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অল্প অল্প করে বাদাম খেলে উপকার পাবেন।