Just In
- 13 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 15 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 17 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 19 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
মুখে ব্রণ ভর্তি হয়ে গিয়েছে? মাত্র একদিনেই সমাধান পেতে কী করবেন?
ব্রণ বেরলে অনেকেই দৌড়ন চিকিৎসকের কাছে। আবার অনেকেই দামি ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু বাড়িতে হাতের কাছেই রয়েছে এমন অনেক উপাদান, যা দিয়ে অতি সহজে সমাধান করা যায় এই সমস্যার।
মুখে গোটা বেরনো বা ব্রণ হওয়াটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। কিন্তু যখন এই সমস্যা হয়, তখন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বয়ঃসন্ধির সময় তো বটেই নানা বয়সেই এই সমস্যা হতে পারে। লোমকূপের তলায় তৈলনিঃসরণ গ্রন্থি এবং মৃত কোষের জুগলবন্দিতে এই সমস্যা হয়। ব্রণ বেরলে অনেকেই দৌড়ন চিকিৎসকের কাছে। আবার অনেকেই দামি ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু বাড়িতে হাতের কাছেই রয়েছে এমন অনেক উপাদান, যা দিয়ে অতি সহজে সমাধান করা যায় এই সমস্যার।
১। শসা
কেবল খাদ্যগুণই নয়, শসার নানা গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটা অবশ্যই ত্বকের কাজে লাগা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এর প্রতিটিই ত্বকের জন্য মারাত্মক ভালো। শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন মুখ। এছাড়াও শসাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন। শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত একঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই জল খেয়েও নিতে পারেন, বা ওই জল দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।
২। টুথপেস্ট
ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ায়র ক্ষমতা আছে এই পেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাঁদের মুখে ব্রণ বা গোটা বেরয়, তাঁরা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। তবে বেশি নয়, খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন ব্রণ জায়গায়। সমস্যা না হলে পরিমাণ বাড়ান।
৩। গ্রিন টি
গ্রিন টি গোটা বা ব্রণ বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম জলে গ্রিণ টি বানান। তারপর সেই গ্রিন টি একদম ঠান্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলোয় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্য়াগ থেকে গ্রিন টি বানান, তাহলে ঠান্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন।
৪। অ্যাসপিরিন
খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, ব্রণ বা গোটা সারাতেও এই ওষুধের জুড়ি নেই। এতে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেয়। চার-পাঁচটা ট্যাবলেট প্রথমে গুঁড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো অল্প জেলর সঙ্গে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন, যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেস্ট আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, কয়েক মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।
৫। রসুন
রসুন ব্রণ বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দু কোয়া রসুন দুটুকরো করে কেটে নিন। তারপর ব্রণর জায়গায় রসটা লাগান। মিনট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এটা করলে পরদিন সকালে ত্বকের উন্নতি টের পাবেন।
৬। লেবুর রস
তুলোয় করে লেবুর রস ব্রণর জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণর ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ জলে ধুয়ে নেবেন।