Just In
কানের অস্বস্তি কমাতে ঘরোয় চিকিৎসা
কান খুব চুলকায়? চিন্তা নেই! এই প্রবন্ধটি পড়লেই দেখবেন সব সমস্য়া কমে যাচ্ছে।
কোনও কারণে কানের ছিদ্র বন্ধ হয়ে গেলেই শুরু হয় অস্বস্তি। এখন প্রশ্ন কী কী কারণে বন্ধ হয় কানের নালি? অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। কানে ময়লা জমলে, সংক্রমণ হলে এমনকী অ্যালার্জির কারণেও এই ধরনের সমস্য়ার সৃষ্টি হতে পারে।
এই ধরনের কিছু হলে বেশিরভাগ মানুষই কিউ-টিপ ব্য়বহার করে অস্বস্তি কমানোর চেষ্টা করে থাকেন। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যে কানের চুলকানি কমাতে কখনই কিউ-টিপ বা ওই ধরনের কিছু ব্য়বহার করা উচিত নয়। কারণ এগুলি ব্য়বহার করলে কানের ভিতর শুকিয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় অন্য় ধরনের প্রবলেম।
চুলকানি থেকে আরাম পেতে পেনের পিছন, কাঠি, পেনসিল, দেশলাই কাঠি প্রভৃতি ব্য়বহার করতে মানা করা হলেও অনেকে এইসব উপদেশে কর্ণপাত করেন না। এতে সাময়িকভাবে অস্বস্তি কমলেও কানের যে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সে কথা কারও মাথায় থাকে না।
প্রসঙ্গত, কান এমন চুলকালে একেবারেই তা হালকাভাবে নেবেন না। কারণ অনেক সময় সংক্রমণের লক্ষণ হিসাবেও এই ধরনের সমস্য়া দেখা দিতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময় কানে ময়লা জমার কারণই এমন চুলকানি শুরু হয়।
এইসব ক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি খুব কাজে আসে। এগুলি কানের কোনও ক্ষতি না করেই চুলকানি কমিয়ে দেয়। তাই আপনি যদি কানের চুলকানিতে খুব ভুগে থাকেন, তাহলে সময় নষ্ট না করে এখনই চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
বিদ্র: অনেক দিন ধরে যদি কানে অস্বস্তি থেকে থাকে তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব একজন বিশেষকজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
১. গরম অলিভ অয়েল:
পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল নিয়ে অল্প গরম করুন। তারপর সেই গরম তেল থেকে এক ড্রপ নিয়ে কানে দিলেই দেখবেন অস্বস্তি কমতে শুরু করেছে।
২. অ্যালকোহল এবং জল:
কানের চুলকানি কমাতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুন কাজে আসে। জলের সঙ্গে অ্যালকোহল মেশান। তারপর একটা সিরিঞ্জ নিয়ে সেই মিশ্রন থেকে সামান্য় নিয়ে কানে দিন। এটি কানের নালি পরিষ্কার করতে দারুন কাজে আসে।
৩. গরম সেক দিন:
কানের চুলকানি কমাতে গরম সেক দারুন কাজে দেয়। কারণ এমনটা করলে কানের ভিতরে জমে থাকা ময়লা এবং অন্য় ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে আসে। ফলে প্রবলেম কমতে শুরু করে।
৪. সাদা ভিনিগার:
জলের সঙ্গে এই ভিনিগার মিশিয়ে এক ড্রপ কানে দিন। তাহলেই দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে কেমন কমতে শুরু করেছে কানের নানা রোগ।
৫. অ্যালো ভেরা:
অল্প করে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে কান দিন, দূরে পালাবে অস্বস্তি।
৬. হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড:
কানের ভিতর জমে থাকা নানা ক্ষতিকর উপাদানকে বাইরে আনতে হাইড্রজেন পারঅক্সাইডের কোনও বিকল্প নেই। তাই তো এই ধরনের রোগে এটির এত ব্য়বহার চোখে পরে। জলের সঙ্গে পরিমাণ মতো হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মিশিয়ে কয়েক ড্রপ কানে দিলেই অস্বস্তি কমে যাবে।
৭. জল:
কানের ভিতর ময়লা জমলেও অনেক সময় কান চুলকায়। এক্ষেত্রে জল দিয়ে ভালো করে কান পরিষ্কার করলেই সমস্য়া কমে যেতে শুরু করে। তবে মনে রাখবেন একসঙ্গে অনেক পরিমাণ জল আবার কানে দিয়ে দেবেন না, তাতে অন্য় সমস্য়া দেখা দিতে পারে। অল্প করে জলে নিয়ে কানে দিলেই দেখবেন কাজ হচ্ছে।