Just In
এই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কী কী সবজি এবং ফল খাওয়া উচিত জানা আছে?
গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ সারা রাজ্য়েজুড়ে যে হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পয়েছে, তাতে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে না পারলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা সহ সারা রাজ্য়েজুড়ে যে হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পয়েছে, তাতে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে না পারলে কিন্তু বেজায় বিপদ! এক্ষেত্রে একদিকে যেমন সানস্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তেমনি দেহের অন্দরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্টমাক আলসার, হাত-পায়ে জ্বালা করা, হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া, চোখ জ্বালা করা, ত্বকে প্রদাহ এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্য়াও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
এখন প্রশ্ন হল এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার কি কোনও উপায় নেই? আলবাৎ আছে! তবে তার জন্য় ঝটপট এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলতে হবে। কারণ এই লেখায় এমন কিছু খাবারের সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এই গরমে যদি সুস্থ থাকতে হয়, তাহলে খেতেই হবে এই খাবারগুলি। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে সবজি এবং ফলগুলিকে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে, সেগুলি হল...
১. তিল:
এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো তিল ফেলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে মিশ্রনটি পান করুন। এমনটা যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে একদিকে যেমন দেহের তাপমাত্রা কমবে, তেমনি নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটবে।
২. ব্রকলি:
এর স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে নিশ্চয় কারও মনে কোনও সন্দেহ নেই। একাধিক রোগ থেকে দূর রাখতে ব্রকলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রেও এই সবটি নানাভাবে আমাদের সাহায্য করে। কীভাবে? ব্রকলির সিংহভাগই জলে পূর্ণ। তাই তো শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং ডিইহাইড্রেশনের আশঙ্কা কমাতে এই সবজিটি দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, কাঁচা অবস্থায় অথবা হলকা যদি ব্রকলি খান, তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৩. ডালিম:
এই গরমে দেহের অন্দরে তাপমাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে শরীরকে যদি সুস্থ রাখতে হয়, তাহলে নিয়মিত ডালিমের রস খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই ফলটির অন্দরে থাকা বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হার্ট, কিডনি এবং লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও ডালিমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৪. লাল বাঁধাকোপি:
সাধারণ বাঁধাকোপির থেকে অনেক বেশি পরিমাণ জল থাকে এই সবজিটিতে। তাই তো গরমকালে সুস্থ থাকতে, প্রতিদিন লাল বাঁধাকোপি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
৫. শসা:
একথা নিশ্চয় কারও অজানা নেই যে এই সবজিটির ৯০ ভাগই জলে পূর্ণ, যা গরমের সময় শরীরে জলের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি দেহকে ঠান্ডা রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো গরমকালে প্রতিদিন একটা করে শসা খাওয়া মাস্ট! এমনটা করলে দেখবেন তাপ প্রবাহ সম্পর্কিত কোনও রোগই আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
৬. তরমুজ:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে এই ফলটির শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশই জলে পরিপূর্ণ। তাই তো গরমের সময় নিয়মিত তরমুজ থাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমে চোখে পরার মতো।
৭. রাঙা আলু:
শসার মতো না হলেও এতে রয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ জল, সেই সঙ্গে রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশপাশি সার্বিকভাবে রোগমুক্ত রাখতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে।
৮. সবুজ শাক-সবজি:
শরীরকে ভিতরে থেকে ঠান্ডা করতে সবুজ শাক-সবজির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই বছরের এই সময়টা বেশি করে মাছ-মাংস না খেয়ে সবজি খাওয়া শুরু করুন। বিশেষেত, পালং এবং লেটুস শাক খেতে হবে বেশি করে। তাহলেই গরম আর আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
৯. মুলো:
গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এই সবজিটি বাস্তবিকই আপনার প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং জল। এই দুটি উপদান তাপ প্রবাহের হাত থেকে শরীককে বাঁচায়। সেই সঙ্গে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। তাই গরমকালে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন এই সবজিটি খেতেই হতে।
১০. ধুন্দুল:
ফাইবার এবং জলে পরিপূর্ণ এই সবজি গরমের সময় শরীরকে চাঙ্গা রাখতে দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয় ধুন্দুলখলে খেলে পেট খুব ভরে যায়। ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ খুব কমে যায়। আর কম খাবার খেলে কি হয়? কী আবার! ওজন হ্রাস পেতে শুরু করে। তাই গরমের সময় প্রতিদিনের ডায়েটে এই সবজিটিকে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।