Just In
- 5 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 7 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 10 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 12 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
অ্যাসিডের সমস্যায় একেবারে কাবু? খাওয়া শুরু করুন এই খাবারগুলি
অ্যাসিডের সমস্যায় একেবারে কাবু? খাওয়া শুরু করুন এই খাবারগুলি
সব সময়ই কেমন যেন পেট গুরগুর, সেই সঙ্গে বুক জ্বালা করতেই থাকে। এদিকে অ্যান্টাসিড খেয়ে খেয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু রোগ কমার নামই নেয় না। এমন অবস্থা যদি আপনারও হয়ে থাকে, তাহলে একবার চোখ রাখতেই হবে এই প্রবন্ধে।
কেন হয় গ্য়াস-অম্বলের সমস্যা? নানা কারণে এমনটা হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক মতো খাবার না খেলে অথবা ঠিক সময়ে খাবার না খেলে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। সেই কারণেই তো আজকাল কম বয়সিদের এই রোগ বেশি হয়। তারা যখন খুশি খাবার খান, আর প্লেটে কোনও পুষ্টিকর খাবার থাকে না। তার জায়গায় থাকে কোনও না কোনও জাঙ্ক ফুড। একে তো দীর্ঘক্ষণ খালি পেট, তার উপর ভাজা খাবার। কেন গ্যাস-অম্বল হবে না বলুন!
প্রসঙ্গত, অ্যাসিড রিফ্লাক্স গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। তাই এমনটা দীর্ঘদিন ধরে হলে একেবারেই হালকা ভাবে নেবেন না। যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া শুরু করবেন। না হলে কিন্তু শরীরের অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করবে। কারণ ঠিক সময়ে গ্যাস্ট্রাইটিসের চিকিৎসা করা না হলে ধীরে ধীরে ক্রনিক অ্যাসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ অথবা গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়।
গ্যাস্ট্রাইটিসে আক্রান্ত হলে পেট গুরগুর, তলপেটে ব্যথা, প্রদাহ এবং পেটের মধ্যে অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, অনেক কারণে এই রোগ হতে পারে। যেমন- অপুষ্টিকর খাবার বেশি খেলে, শুধু ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে, প্রেগন্যান্সি, হজমের রোগ প্রভৃতি।
তাহলে এখন প্রশ্ন হল, কী ধরনের খাবার খেলে একেবারে কমে যাবে এই রোগ? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. আদা:
এতে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম, যা অ্যাসিডের কর্মক্ষতা কমিয়ে দিয়ে রোগের প্রকোপ একেবারে কমিয়ে দেয়। তাছাড়া শরীর ভাল রাখতে আদা নানাভাবে সাহায্য করে। তাই তো প্রতিদিন এটি খেলে সার্বিকভাবে শরীর চাঙ্গা হতে শুরু করে।
২. কলা:
স্টমাককে ঠান্ডা করতে এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ কলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা প্রয়োজন অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হতে দেয় না। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৩. দই:
এতে রয়েছে প্রোবায়োটিক কনটেন্ট, যা স্টামাকের বহিরাংশে ভাল ব্যাকটেরিয়াদের দিয়ে একটা পাঁচিল তৈরি করে দেয়। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের আর কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
৪. খরমুজ:
স্টামাক যাতে প্রয়োজনের বেশি হজমে সহায়ক অ্যাসিড তৈরি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে এই ফলটি। ফলে গ্যাস্ট্রাইটিসের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
৫. সবুজ শাক-সবজি:
নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান তো থাকেই, সেই সঙ্গে সবুজ শাক-সবজিতে থাকে অ্যালকালাইন প্রপাটিজ, যা অ্যাসিডের প্রকোপকে কমায়। ফলে গ্যাস-অম্বল হওয়ার কোনও সুযোগই পায় না।
৬. ওটমিল:
এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্টামাকের চারিদিকে একটি আবরণ তৈরি করে দেয়। ফলে অ্যাসিডের কোনও প্রভাবই পরে না স্টামাকে। ফলে কমে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ।
৭. চুইং গাম:
একেবারে ঠিক শুনেছেন। চুইং গামও কিন্তু অম্বলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুন কাজে আসে। আসলে যখনই আমরা চুইং গাম খাই, আমাদের মুখগহ্বরে স্যালাইভার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে অ্যাসিডের প্রকোপ কমতে শুরু করে। কারণ স্যালাইভা অ্যাসিডের কার্যকারিতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।