Just In
- 31 min ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 2 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 6 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 22 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
Don't Miss
বাবা রামদেবের দেখানো এই ৭ টি আসন নিয়মিত করলে ওজন কমবে চোখের নিমেষে!
ভরদ্বাজসন বেশ সহজ একটি আসন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩০-৬০ সেকেন্ড এই আসনটি করলে দারুন ফল পাওযা যায়।
যুদ্ধ নয়, জলের অভাবে নয়, এমনকী টেরারিস্টদের হামলার মাঝে পরেও না। প্রতি বছর সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্য়ার একটা বড় অংশের মৃত্যু ঘটছে অতিরিক্ত ওজনের কারণে। তাই তো চিকিৎসক মহল ওজন বৃদ্ধির সমস্যাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন। কেন করবে নাই বা বলুন। ওজন বৃদ্ধির কারণ একটা নয়, দুটে নয়, একাধিক মারণ রোগ শরীরে বাসা বেঁধে বসে। যেমন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হার্টের রোগ প্রভৃতি। তাই তো শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে জিমে নাম লেখাতেই পারেন। তবে এই প্রবন্ধে আলোচিত রামদেব বাবার দেখানো ৭ টি আসন ওজন কমানোর পাশপাশি স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বিনা পয়সা খরচ করে যদি অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
এক্ষেত্রে যে যে আসনগুলি দারুন কাজে আসে সেগুলি হল...
১. ভরদ্বাজসন (সিটেট টুইস্ট):
ঋষি ভরদ্বাজের নাম অনুসারে এই আসনটির নাম করণ করা হয়েছে। এটি বেশ সহজ একটি আসন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩০-৬০ সেকেন্ড এই আসনটি করলে দারুন ফল পাওযা যায়। প্রসঙ্গত, এই আসনটি করার সময় শিরদাঁড়ার উপর চাপ পরে, ফলে স্পাইন এবং কাঁধের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কোমর সংলগ্ন অংশের যন্ত্রণা এবং সায়াটিকার প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই আসনটি নিয়মিত করলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে ত্বক এবং শরীর রোগ মুক্ত এবং সুন্দর হয়ে ওঠে।
২. রাজাকাপোৎসান (কিং পিজন পোস):
উপরের ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে ঠিক সেইভাবে করতে হয় এই আসনটি। এই আসনটি করার সময় শরীরের অবয়ব অনেকটা পায়রার মতো হয়ে যায়। যে কারণ এই আসনটিকে অনেকে কিং পিজন পোস নামেও ডেকে থাকেন। প্রতিদিন সকালে অথবা বিকেলে খালি পেটে এই আসনটি ৩০-৬০ সেকেন্ড করতে হবে। এই আসনটি যদি নিয়মিত করতে পারেন তাহলে কোমরের নিচের অংশের কর্মক্ষমতা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শরীর মজবুত হয়, পিঠের যে কোনও ধরনের সমস্যা কমে যেতে থাকে এবং ঘারের গঠন আরও সুন্দর হয়। এত কিছুর সঙ্গে সঙ্গে ওজন তো কমেই।
৩. অনন্তাসন (স্লিপিং বিষ্ণু পোস):
পুরানে ভগবান বিষ্ণুর যে যবি দেখা যায়, সাপের মধ্যে শুয়ে আছেন ভগবান। ঠিক তেমনিই দেখতে লাগবে এই আসনি করার সময়। সেই কারণেই তো এই আসনটির নামকরণ করা হয়েছে স্লিপিং বিষ্ণু পোস নামে। প্রসঙ্গত, ভগবান বিষ্ণু যে সাপটির শরীরের উপর শুয়ে থাকেন সেই সাপটির নামও অনন্ত। এবার বুঝতে পারছেন তো এই আসনটি নামকরণের সময় অনেক কিছুই বিচার করা হয়েছিল। এবার ফেরা যাক এই আসনের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১৫-৩০ সেকেন্ড এই আসনটি করলে সারা শরীরে রক্তপ্রবাহের উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্ক এবং হার্টের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয়, এই আসনটি নিয়মিত করলে ইউরিনারি ব্লাডার এবং ইউটেরাসের নানাবিধ রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়।
৪.মলাসন (স্কোয়াট):
ছোট বেলায় উঠবস করেছেন। এই আসনটা একদম সেরকম। শুধু পা দুটি ফাঁক করে সোজা বসে না পরে, কোমরের নিচের অংশটা একটু পিছনের দিকে ঠেলে বসতে হবে। শিরদাঁড়া থাকবে একেবারে সোজা। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই আসনটি করলে পিঠের সব রোগ কমতে শুরু করবে, সেই সঙ্গে ঘার এবং গোড়ালির কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। এখানেই শেষ নয়, স্কোয়াট হল এমন একটা আসন যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না।
৫. পরিপূর্ণ নভাসন (ফুল বোট পোস):
ইংরেজির "ভি" অক্ষরটা দেখেছেন? এই আসনটি করার সময় আমাদের শরীরের অবয়ব একেবারে ইংরেজির ভি অক্ষরের মতো হয়ে যাবে। এই আসনটি করতে হবে সকাল বেলা খালি পেটে এবং খেয়াল রাখতে হবে এই আসনটি করার আগে পেট খালি করে যেন পটি হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন ১০-৬০ সেকেন্ড এই আসনটি করলে পেটের চর্বি তো কমবেই তার সাথে সাথে পায়ের পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। স্ট্রেস কমাতেও এই আসনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, থাইরয়েড, কিডনি এবং ইন্টেস্টাইনের নানাবিধ রোগ সারাতেও দারুন কাজে আসে।
৬. অঞ্জনাসনা (হাফ মুন পোস):
রাম ভক্ত হনুমানের নামানুসারে এই আসনটির নামকরণ করা হয়েছে। কেন এমনটা করা হয়েছে জানেন? কারণ পুরানে হনুমানের যে ছবিটি পাওয়া যায়, তাতে তিনি এই পোসেই দাঁড়িয়ে রইছেন। যোগগুরুরা মনে করেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১৫-৩০ মিনিট এই আসনটি করলে নানা উপকার পাওয়া যায়। যেমন- হাঁটুর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, সায়াটিকার প্রকোপ কমে, শরীরের অন্দরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে এবং সার্বিকবাবে শরীরের গঠন খুব সুন্দর হয়ে যায়।
৭. চতুরাঙ্গ দন্ডাসন (লো প্ল্যাঙ্ক):
প্রথমে উবু হয়ে শুয়ে পরতে হবে। তারপর কনুইয়ের উপর ভর করে শরীটাকে উপরে তুলতে হবে। ঠিক যেমনটা উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে। প্রতিদিন খালি পেটে ৩০-৬০ সেকেন্ড এই আসনটি করলে বাইসেপ, ট্রাইসেপ এবং কবজির জোর বাড়বে। শুধু তাই নয়, শরীরের সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশির গঠনেও এই আসনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।