For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কম্বল-লেপ বেরনোর সঙ্গে সঙ্গে কমলা লেবু খাওয়া শুরু করে দিন! না হলে কিন্তু...!

সুস্বাদু ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইটোকেমিকাল এবং ফ্লেবোনয়েড, যা নানাভাবে শরীরে গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

|

শীতকাল মানে আরামদায়ক পরিবেশে দেদার ভুরিভোজ। সেই সঙ্গে গায়ে রদ্দুর মেখে এদিক-সেদিক ঘুরতে যাওয়া তো আছেই। কিন্তু এতসব হই-হুল্লর করতে গেলে তো শরীরটাকে সুস্থ রাখতে হবে। আর সে কাজটা সফলভাবে করতে গেলে এই ওয়েদার চেঞ্জের মরসুমে নিয়মিত কয়েক টুকরো কমলা লেবু না খেলে যে চলবে না।

কেন এমন উপদেশ তাই ভাবছেন তো? আসলে বন্ধু, শরীর তখনই সুস্থ থাকে, যখন দেহের রোগ প্রতিরোধী দেওয়াল শক্তপোক্ত থাকে। আর ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে তুলতে প্রয়োজন পরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামে দুটি উপাদানের, যা প্রচুর পরিমাণে মজুত রয়েছে কমলা লেবুর শরীরে। শুধু তাই নয়, এই সুস্বাদু ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইটোকেমিকাল এবং ফ্লেবোনয়েড, যা নানাভাবে শরীরে গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও নানা উপকারে লাগে। এই যেমন ধরুন...

১. কিডনি স্টোনের মতো রোগের খপ্পরে পরার আশঙ্কা কমে:

১. কিডনি স্টোনের মতো রোগের খপ্পরে পরার আশঙ্কা কমে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কমলা লেবু খাওয়া শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যাদের প্রভাবে কিডনি ফাংশনের উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে কিডনি স্টোনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।

২. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

২. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

একাধিক পরীক্ষার পর একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে কমলা লেবুতে উপস্থিত সাইট্রাস লিমোনয়েডস, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার কোনও সম্ভবনাই থাকে না। তাই তো বলি বন্ধু, গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে যে হারে নানাবিধ ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে তাতে কম-বেশি সবারই যে কমলা লেবু খাওযা উচিত, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!

৩.ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

৩.ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কমলা লেবুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু খেল দেখায় যে রক্তচাপ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এই একটা কারণেও নিয়মিত কমলা লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

শীত মানেই ত্বকের আদ্রতা কমে যাওয়া। সেই সঙ্গে সৌন্দর্য কমে যাওয়া যেন খুবই স্বাভাবিক অবস্থা। তাই তো এই সময় সৈন্দর্য ধরে রাখতে স্কিনের আলাদা করে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে উঠতে পারে কমলা লেবু। কারণ নিয়মিত এই সাইট্রাস ফলটি খেলে শরীরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে য়েমন ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে, তেমনি অন্যদিকে বলিরেখা কমতে শুরু করে, কালো ছোপ দাগ মিলিয়ে যায় এবং ত্বক তুলতুলে হয়ে ওঠে। এক কথায় শীতের মরসুমে ত্বকের পরিচর্যায় কমলা লেবুর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৫. হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৫. হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

কমলা লেবুতে উপস্থিত ফাইবার এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান দেহের অন্দরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, কমলা লেবুতে থাকা পটাশিয়ামও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে কমলা লেবুর খাওয়ার আগে নিশ্চয় আর প্রশ্ন জাগবে না মনে যে, কেন সব বাঙালি অন্ধের মতো কমলা লেবু খেয়ে থাকে শীতকালে!

৬. দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমে:

৬. দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমে:

শীতকালে খেয়াল করে দেখবেন জয়েন্ট পেনের কারণে ভোগান্তি খুব বেড়ে যায়। কারণ এই সময় দেহের অন্দরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন মাত্রা ছাড়ায়, যে কারণে এমন পরিস্থিতি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এক্ষেত্রেও কিন্ত কমলা লেবু আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কিভাবে? এই ফলটির শরীরে এমন কিছু উপাকারি উপাদান রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এবার বুঝেছেন তো শীতকালে কমলা লেবু খাওয়ার প্রয়োজন কতটা!

৭. ইনসমনিয়ার মতো সমস্যা দূরে পালায়:

৭. ইনসমনিয়ার মতো সমস্যা দূরে পালায়:

নানা কারণে রাত্রে ঠিক মতো ঘুম হয় না? সেই সঙ্গে ক্লান্তিও যেন বাঁধ ভেঙেছে? তাহলে তো বন্ধু রোজের ডেয়েটে কমলা লেবু থাকা মাস্ট! কারণ এই ফলটির শরীরে থাকা ফ্লেবোনয়েড, বেশ কিছু নিউরোট্রান্সমিটারকে অ্যাকটিভ করে দেয়, যা একদিকে যেমন অনিদ্রার সমস্যা দূর করে, তেমনি স্মৃতিশক্তি এবং কগনিটিভ পাওয়ার বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. ওজন কমে চোখে পরার মতো:

৮. ওজন কমে চোখে পরার মতো:

শীত মানেই ভুরিভোজ। শীত মানেই পিকনিক। আর শীত মানেই ২৫ এবং ৩১ ডিসেম্বরের উত্তাল পার্টি। ফলে এই সময় ওজন বেড়ে যাওয়াটা একেবারেই অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। এমন পরিস্থিতিতে যদি প্রতিদিন একটা করে কমলা লেবু খেতে পারেন, তাহলে ওজন বাড়ার চিন্তা থেকে কিন্তু মুক্তি মিলতে পারে! কিভাবে? কমলা লেবুর শরীরে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতিতে এবং শরীরকে বিষ মুক্ত করতে যেমন বিশেষ ভূমিকা নেয়, তেমনি শরীরে ক্যালরির প্রবেশ যাতে কম পরিমাণে হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখার মধ্যে দিয়ে ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে কমলা লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড এবং বিটা-ক্যারোটিন শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোন রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে নানা ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Eat oranges to stay healthy this winter

Oranges are well known for their vitamin C content which is a powerful antioxidant, helping protect our cells from damage. Just one medium orange will provide the RDA (Recommended Daily Allowance) of vitamin C for adults.
Story first published: Wednesday, November 14, 2018, 17:36 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion