Just In
- 7 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 7 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 10 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 13 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
শরীরকে বিষমুক্ত করুন খিচুড়ির সাহায্যে!
সাবুদানা খিচুড়ি বানাতে যে যে উপকরণগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলির বেশিরভাগই কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম সহ একাধিক খনিজে ভর্তি থাকে।
একথা সবার জানা যে বিষ খেলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাহলে আমাদের শরীরে যে প্রতি নিয়ত বিষ জমছে সেদিকে কারও খেয়াল নেই কেন?
নানা কারণে প্রতি সেকেন্ডে আমাদের সারা শরীরে টক্সিক এলিমেন্ট বা বিষ ভরে যাচ্ছে, যেগুলিকে শরীরে থেকে বের করতে না পারলে কিন্তু বেজায় বিপদ! তাহলে উপায়? এক্ষেত্রে শরীরের নিজস্ব একটা মেকানিজম আছে যার মাধ্যমে দেহ তার অন্দরে জমতে থাকা টক্সিনদের বার করে দেয়। এক্ষেত্রে কিডনি বেশিরভাগ কাজটাই করে থাকে। আর বাকিটা ঘাম এবং নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবু কিছু পরিমাণ বিষ এর পরেও শরীরে থেকে যায়, যা ধীরে ধীরে শরীরকে ভিতর থেকে নষ্ট করে দিতে শুরু করে। তাই তো এই প্রবন্ধে একটি মক্ষম ঘরোয়া দাওয়াই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা শরীরকে সম্পূর্ণভাবে বিষমুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
যে ঘরোয় ওষুধটির প্রসঙ্গে এই লেখায় আলোচনা করা হয়েছে, সেটি আসলে খিচুড়ি। একেবারেই ঠিক শুনেছেন! খিচুড়ির মাধ্যমে বাস্তবিকই শরীরকে অন্দরে টক্সিক উপাদানের পরিমাণ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। শুধু তার জন্য মাঝে মধ্যে এই প্রবন্ধে আলোচিত কোনও একটি খিচুড়ি খেতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে!
এক্ষেত্রে যে খিচুড়িগুলির প্রসঙ্গে আলোচনা না করলেই নয়, সেগুলি হল...
১. সাবুদানা খিচুড়ি:
সাগো নামে ভারতের অনেকাংশে পরিচিত এই খিচুড়িটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজে পরিপূর্ণ। এই উপাদানটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি শরীরকে টক্সিকমুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, সাবুদানা খিচুড়ি বানাতে যে যে উপকরণগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলির বেশিরভাগই কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম সহ একাধিক খনিজে ভর্তি থাকে। ফলে এই পদটি খেলে শরীরে পুষ্টির অভাব হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না, সেই সঙ্গে এনার্জির ঘাটতিও দূর হয়।
২. বাজরার খিচুড়ি:
প্রোটিন, ফাইবার, ফসফরাস এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিপূর্ণ এই খিচুড়িটি বাস্তবিকই শরীর বান্ধব একটি পদ। প্রোটিন এবং ফাইবার একদিকে যেমন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনি অন্যদিকে অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ফসফরাস কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান যাতে ঠিক মতো বেরিয়ে যেতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৩. মুগ ডালের খিচুড়ি:
অনেকক্ষণ পট ভরিয়ে রাখতে এই খিচুড়িটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো যারা ওজন কমাতে চান, তারা প্রায় প্রতিদিনই ব্রেকফাস্টে এই খাবারটি খেতে পারেন। আসলে পেট বেশিক্ষণ ভরা থাকলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। ফলে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করতে না পরারা জন্য ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকে না।
৪. সবজির খুচুড়ি:
৫ ধরনের সবজি দিয়ে বানানো খিচুড়ি যদি প্রায় প্রতিদিন খেতে পারেন, তাহলে শরীর নিয়ে ভাবার আর কোনও প্রয়োজনই পরবে না। কারণ এই পদটিতে উপস্থিত প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং বেশ কিছু খনিজ হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তির যোগান ঠিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৫. ওটস খিচুড়ি:
শরীরকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে চাইলে মাঝে মধ্যে ওটস খিচুড়ি খেতেই হবে। এতে উপস্থিত ফাইবার, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট দেহে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে।
৬. বাঙালি সনাতনী খিচুড়ি:
বৃষ্টির দিন মানেই মাছ ভাজা আর খিচুড়ি। সেই সঙ্গে বিষ থেকে মুক্তির দিনও বটে। কারণ বাঙালি বাড়িতে যে যে উপকরণ ব্যবহার করে খিচুড়ি বানানো হয়, সেগুলি যেমন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, তেমনি শরীরকে টক্সিক মুক্ত করতেও কাজে লাগে। তাই পুজো পার্বণ বাদেও মাঝে মধ্যে খিচুড়ি খাবেন। দেখবেন শরীর অনেক সুস্থ থাকবে।
৭. ব্রাউন রাইস খিচুড়ি:
এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং ভিটামিন বি৩ নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে। সেই সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ব্রাউন রাইসে মজুত থাকা ফাইবার শরীরকে বিষ মুক্ত করতেও সাহায্য করে।