Just In
টানা ৩০ দিন এই পানীয়টি খেলে ওজন কমবে চোখে পরার মতো!
টানা ৩০ দিন এই পানীয়টি খেলে ওজন কমবে চোখে পরার মতো!
ওজন বেড়ে যাওয়া মোটেও ভাল নয়। একে তো দেখতে খারাপ লাগে। তার উপর জটিল সব রোগ এসে বাসা বাঁধে শরীরে। এতে সামাজিক এবং মানসিক, সব দিক থেকেই জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিসহ। আপনিও কি এমন জীবন পেতে চান? নিশ্চয় নয়! তাহলে আর অপেক্ষা না করে এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলুন। এতে আলোচিত আয়ুর্বেদিক পানীয়টি নিমেষে ওজন কমায়। আর এটি বানাতেও তেমন একটা কষ্ট হয় না, তাহলে অপেক্ষা কিসের। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ঘরোয়া ঔষধিটি সম্পর্কে।
ওষুধটি খেতে হবে প্রতিদিন রাতের খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে। টানা যদি ১ মাস খেতে পারেন তাহলেই কেল্লাফতে!
কী
কী
উপকরণ
লাগবে
ওষুধটি
বানাতে?
১.
জল
-
১
গ্লাস
২.
পার্সলে
শাক-
১
কাপ
৩.
লেবুর
রস-
পরিমাণ
মতো
৪.
ভিনিগার-
১
চামচ
৫.
আদা
কুচোনো-
১
চামচ
৬.
দারচিনি
পাউডার-
১
চামচ
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি:
ব্লেন্ডারে সবকটি উপকরণ এক সঙ্গে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। দেখবেন পানীয়টি যেন বেশি ঘন না হয়ে যায়।
ওষুধটি খাওয়ার নিয়ম:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে, ওষুধটি খেতে হবে ডিনার শেষ করার ৩০ মিনিট পরে। টানা কয়েক দিন খাওয়ার পরেই দেখবেন ওজন হ্রাস হতে শুরু করেছে!
পার্সলে শাক কেন ব্যবহার করা হল:
এই শকটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফলে এক কাপ পার্সলে শাক খেলেই পেট ভরে যায়। ফলে বারতি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা যেমন চলে যায়, তেমনি নানাভাবে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এক কথায় বলা যেতে পারে ফাইবার কোনও একটা কাজে নয়, বরং একই সঙ্গে নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে কোনও দিন ভুলবেন না।
আর কী কী কাজে লাগে পার্সলে:
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং ব্লাডার ইনফেকশনের প্রকোপ কমাতেও এই শাকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পার্সলে শাকের আরও কিছু উপকারিতা:
এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্ট্রেস লেভেল কমানোর পাশাপাশি একাধিক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে। প্রসঙ্গত, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে বেশ কিছু ক্য়ান্সারকে দূরে রাখতেও পার্সলে শাক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভিটামিন এবং মিনারেল:
এক কাপ পার্সলে শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং আয়রণ, যা শরীরে প্রদাহ বা জ্বালা কমানোর পাশাপাশি রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীরে জল জমা আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।