Just In
- 26 min ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 1 hr ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 5 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 6 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
ডায়ারিয়া হলেই সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া শুরু করুন এই খাবারগুলি! না হলে কিন্তু মৃত্যু নিশ্চিত...
ডায়ারিয়াতে কেউ মরে নাকি? আরে আলবাৎ প্রাণ যায় বন্ধু! যার প্রমাণ সম্প্রতি প্রকাশিত নিউমোনিয়া অ্যান্ড ডায়ারিয়া প্রোগ্রেস রিপোর্ট ২০১৮। এই সমীক্ষাটি অনুসারে ২০১৬ সালে প্রায় ২৬১,০০০ জন ভারতীয় বাচ্চা।
ডায়ারিয়াতে কেউ মরে নাকি? আরে আলবাৎ প্রাণ যায় বন্ধু! যার প্রমাণ সম্প্রতি প্রকাশিত নিউমোনিয়া অ্যান্ড ডায়ারিয়া প্রোগ্রেস রিপোর্ট ২০১৮। এই সমীক্ষাটি অনুসারে ২০১৬ সালে প্রায় ২৬১,০০০ জন ভারতীয় বাচ্চা পাঁচ বছরের আগেই মারা গিয়েছিল। কারণ ডায়ারিয়া। অর্থাৎ এই হিসেবে প্রতিদিন ৭৩৫ জন এবং মিনিটে একজন করে বাচ্চা মারা যাচ্ছে এই রোগে। আর বড়দের হালও সমানভাবে খারাপ। তাই এমন পরিস্থিতিতে আপাত "সাধারণ" রোগ নামে পরিচিত ডায়ারিয়াকে নিয়ে যদি সচেতন হওয়া না যায়, তাহলে আগামী দিনে বিপদ যে আরও বাড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
"বারে বারে পায়খানা হচ্ছে, তাতে কী! আপনা থেকেই কমে যাবে। বরং নুন-চিনির জল খাওয়াও বারে বারে।" এই তো ভাবনা ডায়ারেয়িকে নিয়ে আমাদের দেশে। ফলে চিকিৎসা শুরু হতে এমন দেরি হয়ে যায় যে অকাল মৃত্যু ঘটে অনেকের। আর সবথেকে দুঃখের বিষয় কি জানেন, হাতের কাছে চিকিৎসক না পেলেও ডায়ারিয়ার মতো রোগের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু কীভাবে?
আসলে বন্ধু কয়েকটি খাবার আছে যা এই সময় খাওয়ালে পায়খানা বন্ধ হয়ে যায় নিমেষে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ কারও নেই। তাই তো এই প্রবন্ধে সেই সব খাবারগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলি খাওয়া মাত্র ডায়ারিয়া বা পেটে খারাপ মতো রোগ দূরে পালাতে বাধ্য হয়। প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. কমলা লেবুর খোসা দিয়ে বানানো চা:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! এই পানীয়টি ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতে বিশষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে কমলা লেবুর খোসায় উপস্থিত পেকটিন, শরীরে প্রবেশ করার পর পেটের অন্দরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে বারে বারে পায়খানা চাপার প্রবণতা কমে চোখের নিমেষে। প্রসঙ্গত, এই পানীয়টি বানাতে প্রয়োজন পরবে ২ চামচ কমলা লেবুর খোসার গুঁড়ো, হাফ কাপ গরম জল, লেবু এবং মধুর। সবকটি উপাদান একসঙ্গে মেশানোর পর পানীয়টি একটা ঠান্ডা করে যদি খেতে পারেন, তাহলে দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!
২. ওটস:
পেট খারাপ হলেই হাফ কাপ গরম দুধে ১ কাপ ওটস মিলিয়ে খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন ফল পাবেন নিমেষে। আসলে ওটসে উপস্থিত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর পেটের স্বাস্থ্যের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটায় যে ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাওয়া সম্ভবানাও কমে। ফলে ধীরে ধীরে ক্লান্তি তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে শরীরও সার্বিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৩. মৌরি:
পেট ঠান্ডা করতে মৌরিকে অনেকেই কাজে লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি পেট খারাপের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে? অসলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমি পালন করে। ১ কাপ গরম জলে ২ চামচ মৌরি মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে জলটা ছঁকে নিয়ে পান করুন। এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে।
৪. দারচিনি:
এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা চোখের নিমেষে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে দিনে ৪ বার দারচিনি পাউডার দিয়ে তৈরি চা খেলেই উপকার মিলতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, ১ কাপ গরম জলে ১ চামচ দারচিনি পাইডার মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে চা-টা পান করুন। দেখবেন পেটের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
৫. আপেল:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! লুজ মোশানের মতো রোগের চিকিৎসায় বাস্তবিকই আপেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত পেকটিন নামক একটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে বারে বারে টয়লেট যাওয়ার প্রবণতা কমতে সময় লাগে না। তাই তো প্রতিদিন যদি একটা করে আপেল খাওয়া যায়, তাহলে দেখবেন ডায়ারিয়া বা পেটের রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
৬. কলা:
শুধু পেট খারাপ নয়, যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারাতেই এই ফলটি দারুন কাজে আসে। আসলে কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্যাকটিন, যা পটিকে শক্তি করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া বা পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ১ গ্লাস বাটার মিল্কে ১ টা কলা চটকে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার করে খান। তাহলেই আরাম মিলতে শুরু করবে।
৭. দই:
বারে বারে পায়খানা হলেই এক বাটি তাজা টক দই খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন বারে বারে আর বাথরুম ছুটতে হবে না। আসলে টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্য়াতটেরিয়াম নামে দু ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডায়ারিয়া কমাতে দারুন উপকারে লাগে। প্রসঙ্গত, যতদিন না পেটের ব্যথা এবং পটি হওয়া কমবে, ততদিন দৈনিক ২-৩ কাপ টক দই খেয়ে যেতে হবে।
৮. লেবুর জল:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! পেটের রোগের চিকিৎসায় বাস্তবিকই লেবুর জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে! আসলে লেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ পেটের অন্দরে প্রদাহ কমায়, সেই সঙ্গে এই ফলটিতে থাকা নানাবিধ খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯. আদা:
পেট খারাপডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমাতে আদার কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এমন ধরনের রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে ১ কাপ বাটার মিল্কে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। এই পানীয়টি দিনে ৩-৪ বার খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও এই ঘরোয় পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাবেন না।
১০. ডাবের জল:
পেট খারাপের সময় দেহের অন্দরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য দূর করতে এবং জলের চাহিদা মেটাতে ডাবের জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দূর করে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, পেট খারাপের মোকাবিলা করতে দিনে কম করে ২ গ্লাস ডাবের জল খেতেই হবে। তবেই কিন্তু সুফল মিলবে!
১১. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতে এই উপাদানটি দারুন কাজে আসে। আসলে এতে থাকা প্যাকটিন নামে একটি উপাদান পেটের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি পেটকে একেবারে চাঙ্গা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল সরাসরি তো অ্যাপেল সিডার ভিনাগার খাওয়া যাবে না, তাহলে? কোনও চিন্তা নেই! ১ গ্লাস জলে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে ১ গ্লাস করে এই পানীয় খেলে দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, ইচ্ছা হলে এই মিশ্রনে এঅল্প করে মধুও মিসিয়ে দিতে পারেন। তাতে স্বাদ ভাল হয়ে যাবে।