Just In
Don't Miss
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বন্ধু বানান খেজুরকে!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যু ঘটছে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ান মানুষের, যেখানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় ১ বিলিয়ান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যু ঘটছে প্রায় ৭.৫ মিলিয়ান মানুষের, যেখানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় ১ বিলিয়ান। আর সব থেকে ভয়ের বিষয় হল এই রোগের প্রসার ক্রমাগত বাড়ছে। আগে যেখানে ৫০-এর পর এই ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকতো , সেখানে আজকাল ৩০-৪৫ বছর বয়সিরাও উচ্চ রক্তচাপের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে কমছে আয়ু, বাড়ছে মৃত্যুহার।
আমাদের দেশের অবস্থায়ও যে খুব এমন আশাব্যাঞ্জক এমন নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্থানে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে ১-২ জন এই রোগের শিকার। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সাবধনতা না নিলে কিন্তু খুব বিপদ! কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা কী করবেন। এক্ষেত্রে আধুনিক মেডিসিনের সাহায্য় নেওয়া চলতেই পারে। কিন্তু চিকিৎসক যদি অনুমতি দেন, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে একবার কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। ফল যে পাবেনই, সেকথা হলফ করে বলতে পারি।
উচ্চ রক্তচাপ হল সেই রোগ, যেখানে ধমনী দিয়ে স্বাভাবিকের থেকে বেশি গতিতে রক্ত প্রবাহ হতে থাকে। ফলে আর্টারির দেওয়ালে মারাত্মক চাপ পরে। আর এমনটা যদি দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকে, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! সেক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, অনেক কারণ এই রোগ হতে পারে। তবে মূল কারণ হল জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই প্রবন্ধে যে ঘরোয়া ওষুধটির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেটি বানাতে প্রয়োজন পরবে...
১.
বীজ
ছাড়া
খেজুর-
৩টে
২.
গরম
জল-
১
গ্লাস
এই ঘরোয়া ওষুধটি প্রতিদিন খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এবং ডায়েটের দিকে নজর রাখলে অল্প দিনেই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করে। কেন এমনটা হয় জানেন? কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই সবকটি উপাদান রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে, কনস্টিপেশন সারাতে এবং কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই উপাদানগুলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এখানেই শেষ নয়, খেজুরে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম ধমনীদের ইলাস্ট্রিসিটি বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্লাড ফ্লো স্বাভাবিক হতে শুরু করে। যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময়ই লাগে না।
এখন প্রশ্ন হল কীভাবে এক্ষেত্রে খেজুরকে কাজে লাগাতে হবে?
পদ্ধতি:
১.
প্রতিদিন
সকালে
খালি
পেটে
৩
টে
খাজুর
খেতে
হবে।
২.
খাজুর
খাওয়ার
প্রায়
সঙ্গে
সেঙ্গেই
১
গ্লাস
গরম
জল
খাওয়া
মাস্ট!
৩.
টানা
একমাস
এই
ভাবে
খেজুর
এবং
গরম
জল
খেলে
দারুন
উপকার
পাবেন।
৪.
যদি
খেজুর
খেতে
মন্দ
না
লাগে
তাহলে
এক
মাসের
পরেও
খেয়ে
যেতে
পারেন।