Just In
- 3 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 4 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 4 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 19 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
ঘরের প্রতিটি কোণায় পিঁয়াজ রাখলে কী হতে পারে জানেন?
পিঁয়াজে রয়েছে সালফিউরিক অ্যাসিডের কম্পাউন্ড, যা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর কাজটা করে থাকে। সেই সঙ্গে এই উপাদানটি ব্যাকটেরিয়াদের মারতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বর্ষাকাল তো এসেই গেল। সঙ্গে নিয়ে এল হাজারও জিবাণুদের। যারা প্রতি মুহূর্তে অপেক্ষায় রয়েছে আমাদের ক্ষতি করার জন্য। তাই তো সময় থাকতে থাকতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা নিতেই হবে। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কিন্তু জীবাণুদের তো খালি চোখে দেখা যায় না। তাহলে লড়ব কীভাবে?
উপায় আছে! এক্ষেত্রে বাজার থেকে অল্প করে পিঁয়াজ কিনে আনুন। তাহলেই কেল্লাফতে! মানে, পিঁয়াজের সঙ্গে জাবীণুদের কী সম্পর্কে? একাধিক গবষণায় দেখা গেছে হাওয়ায় ভাসতে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফলতে পিঁয়াজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ফলে পিঁয়াজকে যদি কাছাকাছি রাখা যায়, তাহলে জীবাণুদের সংক্রমণের হাত থেকে সহজেই বেঁচে থাকা সম্ভব, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পিঁয়াজে রয়েছে সালফিউরিক অ্যাসিডের কম্পাউন্ড, যা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর কাজটা করে থাকে। সেই সঙ্গে এই উপাদানটি ব্যাকটেরিয়াদের মারতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু প্রশ্নটা হল, এক্ষেত্রে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে পিঁয়াজকে?
খুব সহজ! একটা পিঁয়াজ নিয়ে তাকে চার টুকরো করে দিন। তারপর এক একটা টুকরো ঘরের এক একটা কোণায় রেখে দিন। তাহলেই চলবে, আর কিছু করতে হবে না। পিঁয়াজ তার শরীরে থাকা একাধিক উপাদানকে বাতাসে ছড়াতে থাকবে। ফলে ঘরে উপস্থিত ব্য়াকটেরিয়া এবং জীবাণুরা ধীরে ধীরে মারা পরতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে কমবে ইনফেকশনের আশঙ্কা, যা বর্ষাকালে মারাত্মকভাবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
আরেকভাবেও পিঁয়াজকে কাজে লাগিয়ে সংক্রমণকে দূরে রাখতে পারেন। কীভাবে? রাতে শুতে যাওয়ার আগে অল্প করে পিঁয়াজ মোজার মধ্যে নিয়ে সেটা পরে ফেলুন। সারা রাত পরে থাকার পর সকালে মোজাটা খুলে ফেলুন। এমনটা নিয়মিত করলে দেখবেন ইনফেকশন ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
এই পদ্ধতিটাও পছন্দ হল না? সেক্ষেত্রে প্রতিদিন পেঁয়াজের রস খাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায়া নেই। এমনটা করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে। প্রসঙ্গত, পেঁয়াজে কুয়েরসেটিন নামে একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
পিঁয়াজের স্যুপ বানাতে প্রয়োজন মতো পরবে নুন, ৪ কাপ জল, ৩ টে পিঁয়াজ এবং ৩ টে রসুনের কোয়ার। এক্ষেত্রে প্রথমে পিঁয়াজটা কেটে নিন। তারপর বাকি উপাদানগুলি মিলিয়ে কম করে ২০ মনিট বয়েল করুন। তারপর সেই মিশ্রনটি পান করুন। এই পানীয়টি প্রতিদিন পান করতে হবে। তবেই কিন্তু উপকার মিলবে।